ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারে নতুন সাজে আয়োজন হয়েছে বইমেলা। মেলার স্টল ও প্যাভিলিয়ন সেজে ওঠেছে নতুন আঙ্গিকে। একটি নান্দনিক বইমেলা আয়োজন কোন ঘাটতি রাখেনি বাংলা একাডেমি। এই মেলা বাঙালির প্রাণের মেলা, আবেগের মেলা এবং মিলনমেলা। ভাষা মাসের আবেগ নিয়ে বছুরজুড়ে অপেক্ষায় পালা শেষে আজ শনিবার বিকাল ৩ টায় মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অমর একুশে বাইমেলায় গণ অভ্যুত্থানকে ফুটিয়ে তোলা হবে। বইমেলায় থাকছে জুলাই চত্বর। এবার মেলার রঙ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাল, কালো ও সাদা। বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে লাল, শোকের প্রতীক হিসেবে কালো এবং আশার প্রদীপ হিসেবে চিরকালীন সাদা। মেলায় বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হবে গণঅভ্যুত্থানকে। চলতি বইমেলায় মোট ৭৮০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকছে। এরমধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯ টি স্টল। এবছর ১৩৮টি বেড়ে মোট ইউনিটের সংখ্যা ১০৮৪টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২ টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬ টি)। এবারে প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১ টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬ টি (গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭ টি। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশু চত্বরে রয়েছে ৭৬টি প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিট ১২০ টি (গত বছর ছিল ৬৮ টি এবং ইউনিট ১০৯ টি)। এবারের বইমেলা সম্পর্কে লেখক সাংবাদিক আবু আলী বলেন, গণঅভ্যুত্থানের রেশ কাটতে না কাটতেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলার আকাশে-বাতাসে যখন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকারের ধ্বনিÑঠিক তখনই দুয়ারে এলো ভাষামাস। আর ভাষামাস মানেই বইমেলা। বইমেলা মানেই প্রকাশক-লেখক আর পাঠকের মিলনমেলা।

যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ দুনিয়াব্যাপী বাংলা ভাষার বিকাশ ঘটেছে, ৫২’র সেই ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আবু আলী বলেন, সেদিন মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী রফিক, বরকত, জব্বারসহ ভাষা শহিদদের এদেশের গণমানুষ ভুলে যায়নি। এবছর একটি পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমরা বইমেলায় অংশ নিয়েছি। নবসাজের এই বইমেলায় আগত লাখো মানুষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর শহিদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে, একজন লেখন হিসাবে এটিই প্রত্যাশা।
এবারে বইমেলা পলিথিনমুক্ত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ বান্ধব বইমেলা উপহার দিতেই আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির এই উদ্যোগ। উদ্যোক্তারা বলছেন, বইমেলার আয়োজনকে পরিবেশ সুরক্ষা সচেতন এবং জিরো ওয়েস্ট বইমেলায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে আয়োজনস্থল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সকল স্টল, দোকান, মঞ্চ, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, ফাস্টফুড, কফিশপ, খাবারের দোকান ইত্যাদি প্রস্তুতে সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার শতভাগ পরিহার করে পুনঃব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ, যেমন পাট, কাপড়, কাগজ ইত্যাদির ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।

অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন বলেছেন, এবার বইমেলার বিন্যাস আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানের কারণে এবারে থেকে বেরুনোর পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৪ টি প্রবেশ ও বের হবার পথ রাখা হয়েছে। অমর একুশে বইমেলায় এবার বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শতকরা ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। মেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮ টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া)। একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮ টায় এবং চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, খাবারের স্টলগুলোকে এবার বিশেষভাবে সুবিন্যাস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান,ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। এবারে শিশু চত্বরের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। শিশু চত্বর মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা

আপডেট সময় : ১২:০৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারে নতুন সাজে আয়োজন হয়েছে বইমেলা। মেলার স্টল ও প্যাভিলিয়ন সেজে ওঠেছে নতুন আঙ্গিকে। একটি নান্দনিক বইমেলা আয়োজন কোন ঘাটতি রাখেনি বাংলা একাডেমি। এই মেলা বাঙালির প্রাণের মেলা, আবেগের মেলা এবং মিলনমেলা। ভাষা মাসের আবেগ নিয়ে বছুরজুড়ে অপেক্ষায় পালা শেষে আজ শনিবার বিকাল ৩ টায় মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অমর একুশে বাইমেলায় গণ অভ্যুত্থানকে ফুটিয়ে তোলা হবে। বইমেলায় থাকছে জুলাই চত্বর। এবার মেলার রঙ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাল, কালো ও সাদা। বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে লাল, শোকের প্রতীক হিসেবে কালো এবং আশার প্রদীপ হিসেবে চিরকালীন সাদা। মেলায় বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হবে গণঅভ্যুত্থানকে। চলতি বইমেলায় মোট ৭৮০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকছে। এরমধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯ টি স্টল। এবছর ১৩৮টি বেড়ে মোট ইউনিটের সংখ্যা ১০৮৪টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২ টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬ টি)। এবারে প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১ টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬ টি (গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭ টি। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশু চত্বরে রয়েছে ৭৬টি প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিট ১২০ টি (গত বছর ছিল ৬৮ টি এবং ইউনিট ১০৯ টি)। এবারের বইমেলা সম্পর্কে লেখক সাংবাদিক আবু আলী বলেন, গণঅভ্যুত্থানের রেশ কাটতে না কাটতেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলার আকাশে-বাতাসে যখন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকারের ধ্বনিÑঠিক তখনই দুয়ারে এলো ভাষামাস। আর ভাষামাস মানেই বইমেলা। বইমেলা মানেই প্রকাশক-লেখক আর পাঠকের মিলনমেলা।

যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ দুনিয়াব্যাপী বাংলা ভাষার বিকাশ ঘটেছে, ৫২’র সেই ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আবু আলী বলেন, সেদিন মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী রফিক, বরকত, জব্বারসহ ভাষা শহিদদের এদেশের গণমানুষ ভুলে যায়নি। এবছর একটি পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমরা বইমেলায় অংশ নিয়েছি। নবসাজের এই বইমেলায় আগত লাখো মানুষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর শহিদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে, একজন লেখন হিসাবে এটিই প্রত্যাশা।
এবারে বইমেলা পলিথিনমুক্ত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ বান্ধব বইমেলা উপহার দিতেই আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির এই উদ্যোগ। উদ্যোক্তারা বলছেন, বইমেলার আয়োজনকে পরিবেশ সুরক্ষা সচেতন এবং জিরো ওয়েস্ট বইমেলায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে আয়োজনস্থল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সকল স্টল, দোকান, মঞ্চ, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, ফাস্টফুড, কফিশপ, খাবারের দোকান ইত্যাদি প্রস্তুতে সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার শতভাগ পরিহার করে পুনঃব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ, যেমন পাট, কাপড়, কাগজ ইত্যাদির ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।

অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন বলেছেন, এবার বইমেলার বিন্যাস আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানের কারণে এবারে থেকে বেরুনোর পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৪ টি প্রবেশ ও বের হবার পথ রাখা হয়েছে। অমর একুশে বইমেলায় এবার বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শতকরা ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। মেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮ টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া)। একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮ টায় এবং চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, খাবারের স্টলগুলোকে এবার বিশেষভাবে সুবিন্যাস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান,ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। এবারে শিশু চত্বরের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। শিশু চত্বর মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে।