ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অপেক্ষার প্রহর শিক্ষার্থীদের

মহিউদ্দিন তুষার
  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বছরের শুরুতে বই না পেয়ে হতাশ হয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ভেবেছিল জানুয়ারির মধ্যেই পেয়ে যাবে সব বই। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের এক মাস পেরিয়ে গেলেও সব শিক্ষার্থী এখনও পায়নি সব বই। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি করে বই পেলেও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পায়নি একটিও। এর মধ্যে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে তিন-চারটি করে বই। তবে প্রাথমিকের বেশিরভাই শিক্ষার্থীই বই পেয়েছে। হাতে পাঠ্য বই না থাকায় অনীহা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। শ্রেণি পাঠে মনোযোগ হারাচ্ছে তারা। অনলাইন থেকে পিডিএফ কপি ডাউনলোড করে শিক্ষকরা পাঠ নিচ্ছেন। কোনো কোনো শিক্ষার্থী ফটোকপি করে শ্রেণি পাঠ চালাচ্ছে।

শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই প্রণয়ন এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে এনসিটিবি। করোনাকাল ছাড়া ২০১০ সাল থেকে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসব করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে বই তুলে দেওয়া হতো। তবে কোনো কোনো বছর কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয়ও হয়েছে। তবে এবার নতুন বছরের জন্য সমস্যাটি আরও তীব্র হয়েছে। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারিতেও সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা আছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সূত্রমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ২২ কোটি বই এখনো সরবরাহ হয়নি। মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) বইয়ের সংখ্যা ৩০ কোটি ৯৬ লাখের মতো। এর মধ্যে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাধ্যমিকের ১১ কোটি ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৪২টি পাঠ্যবই ছাড়পত্র বা সরবরাহ হয়েছে। তবে সরবরাহসহ ছাপা হয়েছে ১৪ কোটি ১৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫টি। এর মানে হলো ১৯ কোটি ৭৮ লাখের মতো বই এখনো সরবরাহ হয়নি। আর ছাপার হিসাব করলে প্রায় পৌনে ১৭ কোটি বই ছাপা বাকি।

মাধ্যমিকে বেশি পিছিয়ে রয়েছে নবম শ্রেণির বই ছাপার কাজ। এই শ্রেণিতে মোট বইয়ের সংখ্যা ৬ কোটি ২৮ লাখের মতো। এর মধ্যে ছাপা হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখের কাছাকাছি। তবে মাধ্যমিকের তুলনায় প্রাথমিকের ছাপা ও বিতরণের পরিস্থিতি ভালো। প্রাথমিকের মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখের মতো। এর মধ্যে ছাড়পত্র হয়েছে ৭ কোটি ৩ লাখের বেশি। এখনো সোয়া ২ কোটি বই সরবরাহ হয়নি। আফরোজা খানম ভেদরগঞ্জ হেডকোয়াটার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি জানান গতকাল পর্যন্ত নবম শ্রেণির একটি বইও হাতে পায়নি। বই ছাড়া কিভাবে লেখাপড়া করছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ক্লাসে শিক্ষকরা যা পড়ান ঐ পর্যন্তই। তবে অনলাইনে মাঝে মাঝে পিডিএফ দেখেন। অভিভাবকরা বলছেন, পাঠ্যবই না পেলেও যদি সহায়ক বই পাওয়া যেত, তাহলেও অন্তত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া যেত। রাজধানীতে একজন শিক্ষকের কাছে ব্যাচে পড়লেও দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়। সেই হিসাবে কমপক্ষে তিনজন শিক্ষকের কাছে পড়লে অনেক টাকার ব্যাপার। অথচ সহায়ক বই থাকলে চার-পাঁচ শ টাকায় কিনে পড়ালেখাটা চালিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু বাজারে সহায়ক বইও পাওয়া যাচ্ছে না।
স্কুল-কলেজে এক শিক্ষাবর্ষে সাধারণত ৭৬ দিনের ছুটি থাকে। এর সঙ্গে দুই দিন করে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ করলে আরো ১০৪ দিন বন্ধ থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই হিসাবে এক বছরে ক্লাস-পরীক্ষা চলে ১৮৫ দিন। আর এই অনুসারেই শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আগামী মার্চের প্রায় শুরু থেকেই রোজা ও ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার কথা। এখন বই হাতে পাওয়ার পর যদি ছুটি শুরু হয়ে যায়, তাহলে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ ছাড়া পুরোপুরিভাবে ক্লাস শুরু করা সম্ভব নয়। এতে এক বছরের সিলেবাস আট মাসে শেষ করতে হবে। শিক্ষকরা এই সময়ে জোর করে পড়া চাপিয়ে দিলেও শিক্ষার্থীরা তা ঠিকমতো আয়ত্তে নিতে পারবে না।

শিক্ষকরা বলছেন, গত দুই বছর নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ালেখা করেছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে ভিন্নধর্মী পড়ালেখায় শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো চাপ নিতে হয়নি। কিন্তু এখন হঠাৎ করেই আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যেতে হয়েছে। এতে এমনিতেই বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীই তাল মেলাতে পারছে না। তারা এ বছরের বার্ষিক পরীক্ষায় খুব খারাপ করেছে। এখন যদি আবার বই পেতে পেতে তিন মাস সময় চলে যায়, তাহলে বড় ধরনের দুর্ভোগে পড়বে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা আরও জানান, জানুয়ারি মাস শেষে ফেব্রুয়ারি মাস চরছে কিন্তু শিক্ষার্থীরা এখনও সব বই হাতে পায়নি। অভিভাবকদের মধ্যে তাদের সন্তানদের জন্য হতাশা কাজ করছে। সরকার সিলেবাস দিয়েছে ১২ মাসের হিসাব করে। তার মধ্যে নভেম্বর মাসে আমরা বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে থাকি। মার্চে বই পেলে শিক্ষার্থীরা সময় পাবে সাত মাস। সব বই আসলে শিক্ষার্থীদের ওপর একসঙ্গে অনেক প্রেসার হবে সিলেবাস শেষ করার।বইয়ের কাজ শেষ হতে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে প্রেস মালিকরা জানিয়েছেন। সব শিক্ষার্থীর হাতে সময় মত বিনা মূল্যের সব পাঠ্যবই তুলে দিতে না পারায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অপেক্ষার প্রহর শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ১২:৩৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বছরের শুরুতে বই না পেয়ে হতাশ হয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ভেবেছিল জানুয়ারির মধ্যেই পেয়ে যাবে সব বই। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের এক মাস পেরিয়ে গেলেও সব শিক্ষার্থী এখনও পায়নি সব বই। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি করে বই পেলেও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পায়নি একটিও। এর মধ্যে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে তিন-চারটি করে বই। তবে প্রাথমিকের বেশিরভাই শিক্ষার্থীই বই পেয়েছে। হাতে পাঠ্য বই না থাকায় অনীহা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। শ্রেণি পাঠে মনোযোগ হারাচ্ছে তারা। অনলাইন থেকে পিডিএফ কপি ডাউনলোড করে শিক্ষকরা পাঠ নিচ্ছেন। কোনো কোনো শিক্ষার্থী ফটোকপি করে শ্রেণি পাঠ চালাচ্ছে।

শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই প্রণয়ন এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে এনসিটিবি। করোনাকাল ছাড়া ২০১০ সাল থেকে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসব করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে বই তুলে দেওয়া হতো। তবে কোনো কোনো বছর কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয়ও হয়েছে। তবে এবার নতুন বছরের জন্য সমস্যাটি আরও তীব্র হয়েছে। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারিতেও সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা আছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সূত্রমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ২২ কোটি বই এখনো সরবরাহ হয়নি। মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) বইয়ের সংখ্যা ৩০ কোটি ৯৬ লাখের মতো। এর মধ্যে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাধ্যমিকের ১১ কোটি ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৪২টি পাঠ্যবই ছাড়পত্র বা সরবরাহ হয়েছে। তবে সরবরাহসহ ছাপা হয়েছে ১৪ কোটি ১৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫টি। এর মানে হলো ১৯ কোটি ৭৮ লাখের মতো বই এখনো সরবরাহ হয়নি। আর ছাপার হিসাব করলে প্রায় পৌনে ১৭ কোটি বই ছাপা বাকি।

মাধ্যমিকে বেশি পিছিয়ে রয়েছে নবম শ্রেণির বই ছাপার কাজ। এই শ্রেণিতে মোট বইয়ের সংখ্যা ৬ কোটি ২৮ লাখের মতো। এর মধ্যে ছাপা হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখের কাছাকাছি। তবে মাধ্যমিকের তুলনায় প্রাথমিকের ছাপা ও বিতরণের পরিস্থিতি ভালো। প্রাথমিকের মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখের মতো। এর মধ্যে ছাড়পত্র হয়েছে ৭ কোটি ৩ লাখের বেশি। এখনো সোয়া ২ কোটি বই সরবরাহ হয়নি। আফরোজা খানম ভেদরগঞ্জ হেডকোয়াটার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি জানান গতকাল পর্যন্ত নবম শ্রেণির একটি বইও হাতে পায়নি। বই ছাড়া কিভাবে লেখাপড়া করছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ক্লাসে শিক্ষকরা যা পড়ান ঐ পর্যন্তই। তবে অনলাইনে মাঝে মাঝে পিডিএফ দেখেন। অভিভাবকরা বলছেন, পাঠ্যবই না পেলেও যদি সহায়ক বই পাওয়া যেত, তাহলেও অন্তত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া যেত। রাজধানীতে একজন শিক্ষকের কাছে ব্যাচে পড়লেও দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়। সেই হিসাবে কমপক্ষে তিনজন শিক্ষকের কাছে পড়লে অনেক টাকার ব্যাপার। অথচ সহায়ক বই থাকলে চার-পাঁচ শ টাকায় কিনে পড়ালেখাটা চালিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু বাজারে সহায়ক বইও পাওয়া যাচ্ছে না।
স্কুল-কলেজে এক শিক্ষাবর্ষে সাধারণত ৭৬ দিনের ছুটি থাকে। এর সঙ্গে দুই দিন করে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ করলে আরো ১০৪ দিন বন্ধ থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই হিসাবে এক বছরে ক্লাস-পরীক্ষা চলে ১৮৫ দিন। আর এই অনুসারেই শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আগামী মার্চের প্রায় শুরু থেকেই রোজা ও ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার কথা। এখন বই হাতে পাওয়ার পর যদি ছুটি শুরু হয়ে যায়, তাহলে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ ছাড়া পুরোপুরিভাবে ক্লাস শুরু করা সম্ভব নয়। এতে এক বছরের সিলেবাস আট মাসে শেষ করতে হবে। শিক্ষকরা এই সময়ে জোর করে পড়া চাপিয়ে দিলেও শিক্ষার্থীরা তা ঠিকমতো আয়ত্তে নিতে পারবে না।

শিক্ষকরা বলছেন, গত দুই বছর নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ালেখা করেছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে ভিন্নধর্মী পড়ালেখায় শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো চাপ নিতে হয়নি। কিন্তু এখন হঠাৎ করেই আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যেতে হয়েছে। এতে এমনিতেই বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীই তাল মেলাতে পারছে না। তারা এ বছরের বার্ষিক পরীক্ষায় খুব খারাপ করেছে। এখন যদি আবার বই পেতে পেতে তিন মাস সময় চলে যায়, তাহলে বড় ধরনের দুর্ভোগে পড়বে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা আরও জানান, জানুয়ারি মাস শেষে ফেব্রুয়ারি মাস চরছে কিন্তু শিক্ষার্থীরা এখনও সব বই হাতে পায়নি। অভিভাবকদের মধ্যে তাদের সন্তানদের জন্য হতাশা কাজ করছে। সরকার সিলেবাস দিয়েছে ১২ মাসের হিসাব করে। তার মধ্যে নভেম্বর মাসে আমরা বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে থাকি। মার্চে বই পেলে শিক্ষার্থীরা সময় পাবে সাত মাস। সব বই আসলে শিক্ষার্থীদের ওপর একসঙ্গে অনেক প্রেসার হবে সিলেবাস শেষ করার।বইয়ের কাজ শেষ হতে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে প্রেস মালিকরা জানিয়েছেন। সব শিক্ষার্থীর হাতে সময় মত বিনা মূল্যের সব পাঠ্যবই তুলে দিতে না পারায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।