ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:২৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১১৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশে ব্যাপক হারে বেড়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি-বিদেশি অবৈধ সিগারেট, গুল, জর্দা ও সমজাতীয় তামাকপণ্যের ব্যবহার। অভিযোগ রয়েছে দেশীয় কিংবা বহুজাতিক কোম্পানি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সিগারেট বাজারজাত করছে। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে এনবিআর। সম্প্রতি এনবিআর থেকে সব কমিশনারেটকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্য থেকে আহরিত ভ্যাটের প্রায় ২৫% রাজস্ব আদায় হয়। অবৈধ তামাক জাতীয় পণ্যের কারণে দেশের সামগ্রিক রাজস্ব আদায় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেশের শহর বা গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের দেশি ও বিদেশি অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্য ব্যাপাক হারে বাজারজাতের সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি এনবিআরের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এই বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য সব কমিশনারেটের অধীন সার্কেল পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হলো। কমিটিতে প্রতিটি সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সেক্টর বা ব্যাটালিয়নের বিজিবি প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট জেলা বা ব্যাটালিয়নের আনসার ও ভিডিপি প্রতিনিধি। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৮২(১) এর ক্ষমতাবলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মূসক কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা দেওয়ার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে অভিযান

আপডেট সময় : ১২:২৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে ব্যাপক হারে বেড়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি-বিদেশি অবৈধ সিগারেট, গুল, জর্দা ও সমজাতীয় তামাকপণ্যের ব্যবহার। অভিযোগ রয়েছে দেশীয় কিংবা বহুজাতিক কোম্পানি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সিগারেট বাজারজাত করছে। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে এনবিআর। সম্প্রতি এনবিআর থেকে সব কমিশনারেটকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্য থেকে আহরিত ভ্যাটের প্রায় ২৫% রাজস্ব আদায় হয়। অবৈধ তামাক জাতীয় পণ্যের কারণে দেশের সামগ্রিক রাজস্ব আদায় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেশের শহর বা গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের দেশি ও বিদেশি অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্য ব্যাপাক হারে বাজারজাতের সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি এনবিআরের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এই বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য সব কমিশনারেটের অধীন সার্কেল পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হলো। কমিটিতে প্রতিটি সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সেক্টর বা ব্যাটালিয়নের বিজিবি প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট জেলা বা ব্যাটালিয়নের আনসার ও ভিডিপি প্রতিনিধি। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৮২(১) এর ক্ষমতাবলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মূসক কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা দেওয়ার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।