ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জনতার বিক্ষোভে পুলিশ অবরুদ্ধ Logo পাথরঘাটায় প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আন্দোলন Logo সাভারে বাবাকে হত্যার পর মেয়ের আত্মসমর্পণ Logo বদলগাছীতে ব্রিজের নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮৪ প্যাকেট মাংস উদ্ধার Logo সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অ্যালকোহল পানে দু’জনের মৃত্যু Logo ঔষধ কোম্পানির দৌরাত্ম্য নওগাঁর রোগীদের কাছে দিনদিন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে Logo ভারতীয় হামলার কঠোর জবাব দিলো পাকিস্তান Logo খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা, রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ Logo কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে বর্ণিল সাজে সেজেছে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি শাহজাদপুরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo মানবিক করিডোরের চেয়ে রাখাইনে সেফ জোন করলে  রোহিঙ্গা সংকট কাটবে

বাগেরহাটে সাবেক এমপি শেখ হেলাল, তন্ময়, বাদশাসহ ৩৫ জনের নামে মামলা, সাবেক এসপি কারাগারে

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্রজনতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও সরকারি স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, বাগেরহাট- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা শ্রমিকদল নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম মিঠু বাদী হয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় দ্রুত বিচার আইনে এই মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় রংপুর মেট্রোপটিন পুলিশের হাতে আটক সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে রবিবার বিকালে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. মতিউর রহমান আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরপর কড়া পুলিশ প্রহরায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে বাগেরহাট করাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, আ.লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বাবু, আ.লীগ নেতা ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মিনা হাসিবুর রহমান শিপন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, বাগেরহাট পৌর আওয়ামা লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, আ.লীগ নেতা শামীম আহসান, কাড়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা মহিতুর রহমান পল্টন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদের সরদার, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সৈয়দ বাদশা হোসেন, দুলাল আকন, মো. ফারুক, হোসেন বাদল, মমিনুল হক আকাশ, বাগেরহাট পৌর যুবলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির পলি, জেলা যুবলীগ নেতা সুমর রাহি, বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা দোলন মোল্লা, বাগেরহাট পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা ফারুক তালুকদার, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান সুলতান ওশান, কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মেহেদী হাসান বাবু, কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লিটন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্র জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামীরা গত বছরের ৪ আগষ্ট দুপুরে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্তর এলাকায় জড়ো হয়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস, ছাত্র জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকগুলি ছোড়ে। এছাড়া, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি আসামীদের ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, সরকারি স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। এই মামলায় বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে রবিবার বিকালে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. মতিউর রহমান আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে সাবেক এমপি শেখ হেলাল, তন্ময়, বাদশাসহ ৩৫ জনের নামে মামলা, সাবেক এসপি কারাগারে

আপডেট সময় : ০২:২৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছাত্রজনতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও সরকারি স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, বাগেরহাট- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা শ্রমিকদল নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম মিঠু বাদী হয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় দ্রুত বিচার আইনে এই মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় রংপুর মেট্রোপটিন পুলিশের হাতে আটক সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে রবিবার বিকালে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. মতিউর রহমান আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরপর কড়া পুলিশ প্রহরায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে বাগেরহাট করাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, আ.লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বাবু, আ.লীগ নেতা ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মিনা হাসিবুর রহমান শিপন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, বাগেরহাট পৌর আওয়ামা লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, আ.লীগ নেতা শামীম আহসান, কাড়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা মহিতুর রহমান পল্টন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদের সরদার, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সৈয়দ বাদশা হোসেন, দুলাল আকন, মো. ফারুক, হোসেন বাদল, মমিনুল হক আকাশ, বাগেরহাট পৌর যুবলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির পলি, জেলা যুবলীগ নেতা সুমর রাহি, বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা দোলন মোল্লা, বাগেরহাট পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা ফারুক তালুকদার, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান সুলতান ওশান, কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মেহেদী হাসান বাবু, কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লিটন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্র জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামীরা গত বছরের ৪ আগষ্ট দুপুরে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্তর এলাকায় জড়ো হয়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস, ছাত্র জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকগুলি ছোড়ে। এছাড়া, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি আসামীদের ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, সরকারি স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। এই মামলায় বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে রবিবার বিকালে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. মতিউর রহমান আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।