ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জনতার বিক্ষোভে পুলিশ অবরুদ্ধ Logo পাথরঘাটায় প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আন্দোলন Logo সাভারে বাবাকে হত্যার পর মেয়ের আত্মসমর্পণ Logo বদলগাছীতে ব্রিজের নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮৪ প্যাকেট মাংস উদ্ধার Logo সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অ্যালকোহল পানে দু’জনের মৃত্যু Logo ঔষধ কোম্পানির দৌরাত্ম্য নওগাঁর রোগীদের কাছে দিনদিন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে Logo ভারতীয় হামলার কঠোর জবাব দিলো পাকিস্তান Logo খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা, রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ Logo কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে বর্ণিল সাজে সেজেছে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি শাহজাদপুরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo মানবিক করিডোরের চেয়ে রাখাইনে সেফ জোন করলে  রোহিঙ্গা সংকট কাটবে

শর্ত দিয়ে ভোজ্যতেল বিক্রি করলে কঠোর শাস্তি

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১১০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভোজ্যতেল বিক্রিতে শর্তজুড়ে দিলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
তিনি বলেন, বাজারে তেলের সঙ্গে চাল, আটা ও চা পাতাসহ নানা ধরনের পণ্য কিনতে ভোক্তাদের শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। বাজারে এসবের প্রমাণ মিলেছে কিন্তু তেল রিফাইনারিকারী কোম্পানিগুলো তা অস্বীকার করছে। আমরা বাজারে কোথাও এ অবস্থা দেখতে পেলে কোম্পানি ও ডিলারদের জরিমানা করবো। পবিত্র রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেলের হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে অবহিত, মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ভোক্তার পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন ভোজ্যতেল মিল মালিক, বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এ সময় ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা রাজধানীর ৪টি বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি খুচরা দোকানে তেল কম, ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তেলের সঙ্গে শর্তজুড়ে দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে রশিদ দেখাতে পারছে না। এসও করে নির্দিষ্ট সময়ে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। তা ছাড়া খোলা ভোজ্যতেলের দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বোতলজাত তেলের চেয়ে বেশি।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, বাজারে পাম তেল সরকারি দরের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে সয়াবিন তেল নিয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। তেলের ক্ষেত্রে আমরা ৬টি রিফাইন প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। গত ৩-৪ মাস যাবত তেল নিয়ে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ভোজ্যতেল মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, পরস্পরের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিতে হবে। কোম্পানিগুলো তেল এনে রিফাইন করে, আর আমরা তা বিক্রি করি। কয়েক বছর ধরে ট্যারিফ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিলে দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে।

তিনি কোম্পানিগুলোকে বলেন, দরকার পড়লে আবার দাম ঠিক করে নেন, তারপরও বাজার ঠিক রাখেন। ভোক্তাদের হয়রানি করবেন না। আমরা এবারের রমজানটা হালালভাবে ব্যবসা করতে পারি সেই কথা দিতে হবে কোম্পানিগুলোকে। তিনি সামান্য ব্যত্যয়ের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জরিমানা না করার আহ্বান জানান। ভোক্তার তদন্ত সম্পর্কে নিউ মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, বাজারে ৫ লিটারের তেল নেই, আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। ডিলাররা জানাচ্ছেন সরকারের সঙ্গে কোম্পানির আলোচনা হচ্ছে, দাম বাড়ালে তেল বাজারে চলে আসবে। কেননা কোম্পানির কাছে পর্যাপ্ত তেল আছে। বর্তমানে বাজারে তেলটাই বড় সমস্যা। তিনি বলেন, এখন ৫ কার্টন চাইলে ১ কার্টন দেওয়া হয়। তেল দিলে পোলাওয়ের চাল, আটা, লবণ, চা পাতাসহ অন্যান্য পণ্য কেনার শর্তজুড়ে দেয়। তেলের অর্ডার নিয়ে না জানিয়ে এসব পণ্য দিয়ে যায়।

এ পর্যায়ে ডিজি বলেন, প্রতিদিন তেলের উৎপাদন কত কোম্পানিগুলোকে তা দৈনিক ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। এ জন্য সফটওয়ার তৈরির দায়িত্ব দেন কোম্পানিগুলোকে। এ পর্যায়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, এসওতে হাতবদলে দাম বেড়ে যায়। আমাদের অর্ডার নিয়ে ১৫-২০ দিন ধরে ট্রাক বসিয়ে রাখা হয়। ময়দার বস্তায়একটি কোম্পানি ২০০ টাকা বাড়িয়েছে। তারা মাল দিচ্ছে না। নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার বলেন, ৫ তারিখে ৭ কার্টন মাল পেয়েছি, তখন ৪০ কেজি পোলাওয়ের চাল দিয়েছে। রুপচাঁদা ২০ কার্টন তেলে ১ বস্তা পোলাওয়ের চাল ও ১ কার্টন সরিষার তেল দিয়েছে। এজন্য কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করার আহ্বান জানান। এ সময় ভোক্তার ডিজি বলেন, শর্তযুক্ত বিক্রি নিন্দনীয়। এ অবস্থা করলে শাস্তি দেওয়া হবে। বর্তমানে যে পরিমাণ রিফাইন হচ্ছে তা দ্বিগুণ করতে হবে।

এরপর টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম বলেন, সরকার মূল্য কমিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল, এজন্য কিছু কমানো হয়। বিদেশ থেকে সয়াবিন আসতে ৫০-৬০ দিন ও পাম তেল ১০-১২ দিন সময় লাগে। বর্তমানে সবাই গতানুগতিক সরবরাহ করছে। এমনকি সরকারি দরের চেয়ে ১৫ টাকা কম দামে পাম তেল বিক্রি হচ্ছে। রোজা উপলক্ষে টিকে দ্বিগুণ এলসি করেছে। সেপ্টেম্বরের এলসি অক্টোবরে করা হয়েছে। এসব ডিসেম্বরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ব্রাজিলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা দেরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ তারিখে বড় ধরনের চালান আসবে ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পর তেলের সংকট হবে না। এ সময় তিনি টিসিবি কেনো তেল আমদানি করে না বলেও প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, তারা কেনো প্রাইভেট কোম্পানি থেকে কিনবে? দেশে এক সময় ৪৮টি রিফাইনারি ছিল লোকসান দিতে দিতে তার মধ্যে ৮টি টিকে আছে। সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা দাবি করেন, নিয়মিত ড্রাম ও বোতলে ডিলারদের কাছে তেল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শর্ত দিয়ে ভোজ্যতেল বিক্রি করলে কঠোর শাস্তি

আপডেট সময় : ১২:৫৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেল বিক্রিতে শর্তজুড়ে দিলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
তিনি বলেন, বাজারে তেলের সঙ্গে চাল, আটা ও চা পাতাসহ নানা ধরনের পণ্য কিনতে ভোক্তাদের শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। বাজারে এসবের প্রমাণ মিলেছে কিন্তু তেল রিফাইনারিকারী কোম্পানিগুলো তা অস্বীকার করছে। আমরা বাজারে কোথাও এ অবস্থা দেখতে পেলে কোম্পানি ও ডিলারদের জরিমানা করবো। পবিত্র রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেলের হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে অবহিত, মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ভোক্তার পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন ভোজ্যতেল মিল মালিক, বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এ সময় ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা রাজধানীর ৪টি বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি খুচরা দোকানে তেল কম, ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তেলের সঙ্গে শর্তজুড়ে দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে রশিদ দেখাতে পারছে না। এসও করে নির্দিষ্ট সময়ে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। তা ছাড়া খোলা ভোজ্যতেলের দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বোতলজাত তেলের চেয়ে বেশি।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, বাজারে পাম তেল সরকারি দরের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে সয়াবিন তেল নিয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। তেলের ক্ষেত্রে আমরা ৬টি রিফাইন প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। গত ৩-৪ মাস যাবত তেল নিয়ে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ভোজ্যতেল মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, পরস্পরের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিতে হবে। কোম্পানিগুলো তেল এনে রিফাইন করে, আর আমরা তা বিক্রি করি। কয়েক বছর ধরে ট্যারিফ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিলে দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে।

তিনি কোম্পানিগুলোকে বলেন, দরকার পড়লে আবার দাম ঠিক করে নেন, তারপরও বাজার ঠিক রাখেন। ভোক্তাদের হয়রানি করবেন না। আমরা এবারের রমজানটা হালালভাবে ব্যবসা করতে পারি সেই কথা দিতে হবে কোম্পানিগুলোকে। তিনি সামান্য ব্যত্যয়ের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জরিমানা না করার আহ্বান জানান। ভোক্তার তদন্ত সম্পর্কে নিউ মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, বাজারে ৫ লিটারের তেল নেই, আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। ডিলাররা জানাচ্ছেন সরকারের সঙ্গে কোম্পানির আলোচনা হচ্ছে, দাম বাড়ালে তেল বাজারে চলে আসবে। কেননা কোম্পানির কাছে পর্যাপ্ত তেল আছে। বর্তমানে বাজারে তেলটাই বড় সমস্যা। তিনি বলেন, এখন ৫ কার্টন চাইলে ১ কার্টন দেওয়া হয়। তেল দিলে পোলাওয়ের চাল, আটা, লবণ, চা পাতাসহ অন্যান্য পণ্য কেনার শর্তজুড়ে দেয়। তেলের অর্ডার নিয়ে না জানিয়ে এসব পণ্য দিয়ে যায়।

এ পর্যায়ে ডিজি বলেন, প্রতিদিন তেলের উৎপাদন কত কোম্পানিগুলোকে তা দৈনিক ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। এ জন্য সফটওয়ার তৈরির দায়িত্ব দেন কোম্পানিগুলোকে। এ পর্যায়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, এসওতে হাতবদলে দাম বেড়ে যায়। আমাদের অর্ডার নিয়ে ১৫-২০ দিন ধরে ট্রাক বসিয়ে রাখা হয়। ময়দার বস্তায়একটি কোম্পানি ২০০ টাকা বাড়িয়েছে। তারা মাল দিচ্ছে না। নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার বলেন, ৫ তারিখে ৭ কার্টন মাল পেয়েছি, তখন ৪০ কেজি পোলাওয়ের চাল দিয়েছে। রুপচাঁদা ২০ কার্টন তেলে ১ বস্তা পোলাওয়ের চাল ও ১ কার্টন সরিষার তেল দিয়েছে। এজন্য কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করার আহ্বান জানান। এ সময় ভোক্তার ডিজি বলেন, শর্তযুক্ত বিক্রি নিন্দনীয়। এ অবস্থা করলে শাস্তি দেওয়া হবে। বর্তমানে যে পরিমাণ রিফাইন হচ্ছে তা দ্বিগুণ করতে হবে।

এরপর টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম বলেন, সরকার মূল্য কমিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল, এজন্য কিছু কমানো হয়। বিদেশ থেকে সয়াবিন আসতে ৫০-৬০ দিন ও পাম তেল ১০-১২ দিন সময় লাগে। বর্তমানে সবাই গতানুগতিক সরবরাহ করছে। এমনকি সরকারি দরের চেয়ে ১৫ টাকা কম দামে পাম তেল বিক্রি হচ্ছে। রোজা উপলক্ষে টিকে দ্বিগুণ এলসি করেছে। সেপ্টেম্বরের এলসি অক্টোবরে করা হয়েছে। এসব ডিসেম্বরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ব্রাজিলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা দেরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ তারিখে বড় ধরনের চালান আসবে ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পর তেলের সংকট হবে না। এ সময় তিনি টিসিবি কেনো তেল আমদানি করে না বলেও প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, তারা কেনো প্রাইভেট কোম্পানি থেকে কিনবে? দেশে এক সময় ৪৮টি রিফাইনারি ছিল লোকসান দিতে দিতে তার মধ্যে ৮টি টিকে আছে। সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা দাবি করেন, নিয়মিত ড্রাম ও বোতলে ডিলারদের কাছে তেল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।