ঢাকা ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন

আব্দুল মজিদ পাইকগাছা, (খুলনা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা অসদাচারনের অভিযোগ এনে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এক মানব বন্ধন ও পথসভা গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক কর্মচারীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহনে দীর্ঘ এ মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন সহকারি শিক্ষক অনিশ রঞ্জন চক্রবর্তী, রেবেকা সুলতানা, হাবিবুর রহমান, প্রকাশ ঘোষ, হরিঢালী ইউনিয়ন বিএনপির সাঃ সম্পাদক সরদার তোফাজ্জেল হোসেন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম, অভিভাবক গফ্ফার মজলিশ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাজমুল হোসেন, শিক্ষার্থী শেখ আব্দুল মুহিন, রাকিবুল ইসলাম রকি, সাদিয়া আক্তার, লাকি আক্তার, রিনা আক্তার প্রমূখ। পথসভা সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম। বক্তারা প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের লাগামহীন দূর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচারনের ফিরিস্তি তুলে ধরে তার পদ ত্যাগ দাবী করেন। তারা বলেন, বিদ্যালয়টি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে তার অপসারণের বিকল্প নেই। এর আগে একই অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ে ১৪ জন শিক্ষক গত চলতি মাসের ৫ ফেব্রয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন, প্রতিকার না পেয়ে তারা এ মানববন্ধন করেছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানান।

এদিকে মানববন্ধন চলাকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাস বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর লেখা পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে অফিস কক্ষের টেবিলে উপর রেখে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন বলে জানাযায়। এলাকাবাসী জানান, তার মত একজন দুর্জন ব্যক্তি এই মহান পেশায় একেবারেই বেমানান। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে হেড স্যার দূর্নীতি করে অদক্ষদের নিয়োগ দিয়েছেন। তাছাড়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে তিনি খারাপ আচারণ করেন। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ফোন ধরেন নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ শাজাহান আলী বলেন, “কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগ পত্রটি এনেছিলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে সেটি আমি রিসিভ করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা অসদাচারনের অভিযোগ এনে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এক মানব বন্ধন ও পথসভা গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক কর্মচারীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহনে দীর্ঘ এ মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন সহকারি শিক্ষক অনিশ রঞ্জন চক্রবর্তী, রেবেকা সুলতানা, হাবিবুর রহমান, প্রকাশ ঘোষ, হরিঢালী ইউনিয়ন বিএনপির সাঃ সম্পাদক সরদার তোফাজ্জেল হোসেন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম, অভিভাবক গফ্ফার মজলিশ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাজমুল হোসেন, শিক্ষার্থী শেখ আব্দুল মুহিন, রাকিবুল ইসলাম রকি, সাদিয়া আক্তার, লাকি আক্তার, রিনা আক্তার প্রমূখ। পথসভা সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম। বক্তারা প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের লাগামহীন দূর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচারনের ফিরিস্তি তুলে ধরে তার পদ ত্যাগ দাবী করেন। তারা বলেন, বিদ্যালয়টি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে তার অপসারণের বিকল্প নেই। এর আগে একই অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ে ১৪ জন শিক্ষক গত চলতি মাসের ৫ ফেব্রয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন, প্রতিকার না পেয়ে তারা এ মানববন্ধন করেছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানান।

এদিকে মানববন্ধন চলাকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাস বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর লেখা পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে অফিস কক্ষের টেবিলে উপর রেখে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন বলে জানাযায়। এলাকাবাসী জানান, তার মত একজন দুর্জন ব্যক্তি এই মহান পেশায় একেবারেই বেমানান। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে হেড স্যার দূর্নীতি করে অদক্ষদের নিয়োগ দিয়েছেন। তাছাড়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে তিনি খারাপ আচারণ করেন। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ফোন ধরেন নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ শাজাহান আলী বলেন, “কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগ পত্রটি এনেছিলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে সেটি আমি রিসিভ করেছি।