ধামরাই উপজেলায় একাধিক মামলায় অভিযুক্ত দিপু গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ২০৭ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলাসহ একাধিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দিপু বাহিনীর ফাস্ট ইন কমান্ড মিজানুর রহমান পলাতক থাকায় সেকেন্ড ইন কমান্ড মোঃ দিপু কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) ভোর রাতে ডেভিলহান্ট অভিযা পরিচালনা করে ধামরাই এলাকা থেকে যৌথবাহিনী তাকে গ্রেফতার করে।
জানাযায়, দিপুবাহিনীর ফাস্ট ইন কমান্ড তার বাবা মোঃ মিজানুর রহমান। ৪নং যাদবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও তার ছেলে দিপু(৩২) গত ০৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রত্যক্ষ ভাবে উপস্থিত থেকে গণহত্যার সাথে জরিতো ছিল, এমনটাই জানান এলাকাবাসি। তাছাড়া, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের দুই বাবা-ছেলের গুম-খুন ও নিরিহ মানুষের জমি জোর জুলুমে দখল এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নির্ঘুম আতঙ্কে রাত কেটেছে সাধারণ মানুষের। ইতিপুর্বে লালমিয়া হত্যায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী হয়ে সাত বছর সাজা খেটে হাইকোট থেকে জামিনে মুক্তি পায়। এমন কিছু মামলার তথ্য জানায় ভুক্তভোগিরা।যেমন-১. কুশুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান(বিএনপি নেতা) জোবায়ের আহম্মেদ হত্যা মামলায় জেলখাটেন,২.ঐ ইউনিয়নের আর এক বিএনপি নেতা লিটন হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন,৩.আমছিমুর গ্রামের বিপ্লব নামে একজন-কে গুম করে রাখায় বাবা ছেলে দুজনেই আসামী এবং তার ছেলে দিপু গ্রেফতার হয়, ৪. একই গ্রামের সিয়াম হত্যা মামলায় বাপ-ছেলে দুইজনই গ্রেপ্তার হন। ঐ গ্রামের নান্নু হত্যার ”তীর” বাপ-ছেলের দিকেই ইশারা করছে বলে জানায় এলাকার কিছু জনগণ।এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজকে হত্যার চেষ্টা করে তাকে আহত করে ফেলে যায়,আর এক মুক্তিযোদ্ধা ইউসোব বিডিয়ারকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।বিএনপির সাবেক যুবদল নেতা এনামুলকে হত্যার পরিকল্পনায় পিছন থেকে আঘাত করলেও এনামুল প্রানে বেচে যায় এবং গুরুতর আহত হয়।আওয়ামী লীগ এর এক নেতা রেজোয়ানকে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়, একই গ্রামের আলমগীর হোসেন নামে একজনকে মেরে চিরতরে পঙ্গু করে দিয়েছেন ঐ চেয়ারম্যান ও তার ছেলে দিপু।আমছিমুর গ্রামের এক নিরিহ সাংবাদিক পিয়াস আল-মুনসুর-কে বিনা কারণেই হঠাৎ পিছন থেকে আচম্ঙ্কা আঘাত করে এবং বেধরক মারধর করেন এবং ঐ সাংবাদিকের হাতের একটি আঙ্গুল কেটে নেন। সেই থেকে সাংবাদিক পিয়াস আল মুনসুর আঙ্গুল প্রতিবন্ধিত্ব রয়েছেন। সবই করেছেন আওয়ামী ক্ষমতার শাসন আমলে।মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান এর ছেলের রয়েছে একদল সন্ত্রাস বাহিনী। সেই সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের উপর চলে জুলুম ও নির্মম নির্যাতন, সরকারী জমিদখল, অন্যের জমি দখল,মাছের প্রকল্প দখল,জোর করে নদী থেকে বালু উত্তলনসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততার কথা জানান এলাকার ভুক্তভোগিগণ।
এলাকাবাসি আরো জানান,চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এবং তার ছেলে দিপু ধামরাইয়ের সাদ হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী এবং গুলি বর্ষণ মামলারও বাপ-ছেলে দুইজনেই আসামী থাকার পরেও বর্তমান পরিস্থিতিতেও থেমে ছিল না চেয়ারম্যান ও তার ছেলে দিপু ।এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আতংক ও জিম্মি করে রেখে ছিল। বিভিন্ন সময় দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সু-সজ্জিত অবস্থায় দিপু বাহিনী তার দলবল নিয়ে এলাকার মধ্যে মাঝে মধেই মহরা দিয়ে নিজেকে দ্রুত আড়াল করে নিতো । মোঃ দিপু গ্রেফতার হওয়ার কথা ছরিয়ে পড়লে, যাদবপুরবাসি খুশিতে কয়েকমন মিষ্টি বিতরণ করেন বলেও জানান তারা। মোঃ দিপুকে গ্রেফতার অন্তে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জিয়া নিশ্চিত করেন।



















