ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

শাহজাদপুরে ধর্ষণের শিকার চার বছরের শিশু সুমাইয়া মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে 

শাহান আলী, শাহজাদপুর  উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
মাগুরার আছিয়া  ধর্ষণ ও মৃত্যুর খবরে যখন পুরো দেশটা শোকাহত ঠিক সেই সময়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার মামাতো ভাই রিশাদের বিরুদ্ধে । মুমূর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ও   পর্যবেক্ষণ ইউনিটে রাখা হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষক রিশাদকে (১৪) আটক করে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
জানা যায় মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবর মোবাইলে দেখে তখন সুমাইয়া প্রতিবেশী রাজ্জাক মেম্বারের স্ত্রী মামানিকে জানায় যে তার মামাতো ভাই রিশাদ তার সাথে একই জঘন্য  কাজ করেছে। ঠিক ওই সময়ে রাজ্জাক মেম্বারের  শিশুপুত্র বলে যে রিশাদ  তার সাথেও এমনটি করেছে। সাথে সাথে রাজ্জাক মেম্বারের স্ত্রী রিশাদের দাদীকে সব খুলে বলে ।ধীরে ধীরে এ ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে ।আজ শুক্রবার দুপুরে খবর পেয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী সহ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষিত শিশুটির নানির সাথে কথা বলেছেন। শিশুটির বাবা মা ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করে এবং তাদের মেয়ে নানীর কাছে থাকে গত একমাস যাবত ।
ধর্ষক রিশাদ ভুক্তভোগী শিশুটির মামাতো ভাই, সে শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি উত্তর পাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি জাহিদুল ইসলামের ছেলে ও হাবিবুল্লাহ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির নানী খোদেজা বেগম জানান, গত শনিবার রাতে আমার চার বছরের নাতনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম ছোট মেয়ে সারাদিন খেলাধুলা করে। একটু অসুস্থ হতেই পারে তার জন্য কান্নাকাটি করছে। পরদিন মোবাইলের মাধ্যমে শিশু আছিয়ার ধর্ষণের এবং মৃত্যুর খবর দেখি এবং রাজ্জাক মেম্বারের স্ত্রী আমাকে বিষয়টি জানালে  তার কাছ থেকেই আমি জানতে পারি।
সুমাইয়াকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রাম্য ডাক্তার উৎপল এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় অবস্থা খারাপ দেখে সিরাজগঞ্জ ভর্তির কথা বলে পরে সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি সেখানেই নিবির  পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
 এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামানের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি এখনই বিস্তারিত জানাতে চাননি, অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিষয় তুলে ধরবেন বলে জানাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শাহজাদপুরে ধর্ষণের শিকার চার বছরের শিশু সুমাইয়া মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে 

আপডেট সময় : ০৩:২৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
মাগুরার আছিয়া  ধর্ষণ ও মৃত্যুর খবরে যখন পুরো দেশটা শোকাহত ঠিক সেই সময়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার মামাতো ভাই রিশাদের বিরুদ্ধে । মুমূর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ও   পর্যবেক্ষণ ইউনিটে রাখা হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষক রিশাদকে (১৪) আটক করে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
জানা যায় মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবর মোবাইলে দেখে তখন সুমাইয়া প্রতিবেশী রাজ্জাক মেম্বারের স্ত্রী মামানিকে জানায় যে তার মামাতো ভাই রিশাদ তার সাথে একই জঘন্য  কাজ করেছে। ঠিক ওই সময়ে রাজ্জাক মেম্বারের  শিশুপুত্র বলে যে রিশাদ  তার সাথেও এমনটি করেছে। সাথে সাথে রাজ্জাক মেম্বারের স্ত্রী রিশাদের দাদীকে সব খুলে বলে ।ধীরে ধীরে এ ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে ।আজ শুক্রবার দুপুরে খবর পেয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী সহ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষিত শিশুটির নানির সাথে কথা বলেছেন। শিশুটির বাবা মা ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করে এবং তাদের মেয়ে নানীর কাছে থাকে গত একমাস যাবত ।
ধর্ষক রিশাদ ভুক্তভোগী শিশুটির মামাতো ভাই, সে শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি উত্তর পাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি জাহিদুল ইসলামের ছেলে ও হাবিবুল্লাহ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির নানী খোদেজা বেগম জানান, গত শনিবার রাতে আমার চার বছরের নাতনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম ছোট মেয়ে সারাদিন খেলাধুলা করে। একটু অসুস্থ হতেই পারে তার জন্য কান্নাকাটি করছে। পরদিন মোবাইলের মাধ্যমে শিশু আছিয়ার ধর্ষণের এবং মৃত্যুর খবর দেখি এবং রাজ্জাক মেম্বারের স্ত্রী আমাকে বিষয়টি জানালে  তার কাছ থেকেই আমি জানতে পারি।
সুমাইয়াকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রাম্য ডাক্তার উৎপল এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় অবস্থা খারাপ দেখে সিরাজগঞ্জ ভর্তির কথা বলে পরে সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি সেখানেই নিবির  পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
 এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামানের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি এখনই বিস্তারিত জানাতে চাননি, অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিষয় তুলে ধরবেন বলে জানাই।