ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জয়পুরহাটে ডাসকো ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ত্রৈ-মাসিক সংলাপ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিনামূল্যে ভিজিএফ খাদ্য বিতরণ  Logo ঠাকুরগাঁও বাস মালিক সমিতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা Logo হাতিয়ায় জনগনের সহায়তায় ফখরুল ডাকাতের সহযোগী নাসির আটক Logo চকরিয়ায় প্রেস ক্লাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo শরীয়তপুরে ইউরো বাংলা ফাউন্ডেশন মডেল স্কুলের শিক্ষক কে লাঞ্ছিত Logo কপিলমুনিতে চালে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারে ১০ হাজার টাকা জরিমানা  Logo কেশবপুরে উপজেলা  জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল Logo শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ভারতীয় পণ্য জব্দ করলো কোস্টগার্ড  Logo ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর অংশ করা যাবে না, শর্ত রাশিয়ার

ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর অংশ করা যাবে না, শর্ত রাশিয়ার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ইউক্রেনকে কোনোভাবেই সামরিক জোট ন্যাটোর অংশ করা যাবে না, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়া এমনই শর্ত দিয়েছে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার একটি গণমাধ্যমে দেশটির সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুইটি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এক, ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর অংশ করা যাবে না এবং দুই, যেকোনও শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো জানিয়েছেন, “আমরা আশা করব, এই শান্তিচুক্তিতে নিরাপত্তার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে। এবং সে জন্যই ইউক্রেনকে এই আলোচনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনে ন্যাটো কোনোরকম কাজ করতে পারবে না। এমনকি, ন্যাটোর সেনাও ইউক্রেনে থাকতে পারবে না।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ জানিয়েছেন,ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তারা একটি বিষয়ে সম্পূর্ণ দ্বিমত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চায় ইউক্রেনে ন্যাটোর শান্তি সেনা মোতায়েন করতে। কিন্তু রাশিয়া কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স দুদেশই জানিয়েছিল, তারা ইউক্রেনে শান্তিসেনা মোতায়েন করতে চায়। এটাই হবে শান্তিপ্রতিষ্ঠার গ্যারান্টি। কিন্তু রাশিয়ার আপত্তি ঠিক এই জায়গাতেই। বস্তুত, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধানের এই পরিকল্পনাকে ‘বোকা’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। তার কথায়, ন্যাটোর শান্তিসেনা যদি ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয়, তাহলে রাশিয়া ধরে নেবে এবার তাদের যুদ্ধ ন্যাটোর সঙ্গে।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মিশেল ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে দুটি ত্যাগ স্বীকার করতে হতে পারে। রাশিয়া তাদের যে ভূখণ্ড দখল করেছে, তা ছেড়ে দিতে হতে পারে এবং ন্যাটোয় যোগ দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে হতে পারে।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি ইউক্রেনকে সম্ভবত পুরোপুরি ভুলে যেতে হবে। কারণ, ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিলে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়। এদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল অধিগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল এখন তাদের দখলে। জারোরিঝিয়া এবং খেরসনেও রাশিয়ার সেনা আছে। এই অঞ্চলের বদলে শান্তিচুক্তিতে যেতে রাজি মস্কো। অর্থাৎ, ইউক্রেনকে ওই ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। ঠিক এভাবেই একসময় ক্রিমিয়াকে ছেড়ে দিতে হয়েছিল ইউক্রেনকে। সৌদি আরবে আমেরিকার সঙ্গে ইউক্রেনের যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিতে রাজি হয়নি কিয়েভ। অন্যদিকে, আমেরিকার আনা ৩০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েও ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কিছু শর্তের কথা বলেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর অংশ করা যাবে না, শর্ত রাশিয়ার

আপডেট সময় : ০২:২৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

ইউক্রেনকে কোনোভাবেই সামরিক জোট ন্যাটোর অংশ করা যাবে না, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়া এমনই শর্ত দিয়েছে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার একটি গণমাধ্যমে দেশটির সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুইটি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এক, ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর অংশ করা যাবে না এবং দুই, যেকোনও শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো জানিয়েছেন, “আমরা আশা করব, এই শান্তিচুক্তিতে নিরাপত্তার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে। এবং সে জন্যই ইউক্রেনকে এই আলোচনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনে ন্যাটো কোনোরকম কাজ করতে পারবে না। এমনকি, ন্যাটোর সেনাও ইউক্রেনে থাকতে পারবে না।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ জানিয়েছেন,ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তারা একটি বিষয়ে সম্পূর্ণ দ্বিমত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চায় ইউক্রেনে ন্যাটোর শান্তি সেনা মোতায়েন করতে। কিন্তু রাশিয়া কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স দুদেশই জানিয়েছিল, তারা ইউক্রেনে শান্তিসেনা মোতায়েন করতে চায়। এটাই হবে শান্তিপ্রতিষ্ঠার গ্যারান্টি। কিন্তু রাশিয়ার আপত্তি ঠিক এই জায়গাতেই। বস্তুত, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধানের এই পরিকল্পনাকে ‘বোকা’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। তার কথায়, ন্যাটোর শান্তিসেনা যদি ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয়, তাহলে রাশিয়া ধরে নেবে এবার তাদের যুদ্ধ ন্যাটোর সঙ্গে।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মিশেল ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে দুটি ত্যাগ স্বীকার করতে হতে পারে। রাশিয়া তাদের যে ভূখণ্ড দখল করেছে, তা ছেড়ে দিতে হতে পারে এবং ন্যাটোয় যোগ দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে হতে পারে।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি ইউক্রেনকে সম্ভবত পুরোপুরি ভুলে যেতে হবে। কারণ, ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিলে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়। এদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল অধিগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল এখন তাদের দখলে। জারোরিঝিয়া এবং খেরসনেও রাশিয়ার সেনা আছে। এই অঞ্চলের বদলে শান্তিচুক্তিতে যেতে রাজি মস্কো। অর্থাৎ, ইউক্রেনকে ওই ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। ঠিক এভাবেই একসময় ক্রিমিয়াকে ছেড়ে দিতে হয়েছিল ইউক্রেনকে। সৌদি আরবে আমেরিকার সঙ্গে ইউক্রেনের যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিতে রাজি হয়নি কিয়েভ। অন্যদিকে, আমেরিকার আনা ৩০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েও ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কিছু শর্তের কথা বলেছেন।