ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo পুষ্টির সচেতনতা বিষয়ক  প্রশিক্ষন কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

স্কুল খুললেই সব পাঠ্যবই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছুটির মধ্যেও উপজেলাপর্যায়ে বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেগুলো স্কুলেও পৌঁছে গেছে। কোথাও কোথাও ছুটিতেও শিক্ষার্থীদের ডেকে বই বিতরণ করা হয়েছে। আবার কোথাও ছুটি শেষে বই বিতরণ করছে স্কুলগুলো

 

শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রায় তিন মাস পর অবশেষে সব পাঠ্যবই বিতরণ শেষ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ঈদের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রতিষ্ঠানটি সব বইয়ের ছাড়পত্র (পিডিআই) দিয়েছে। ছুটির মধ্যেও উপজেলাপর্যায়ে বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেগুলো স্কুলেও পৌঁছে গেছে। কোথাও কোথাও ছুটিতেও শিক্ষার্থীদের ডেকে বই বিতরণ করা হয়েছে। আবার কোথাও ছুটি শেষে বই বিতরণ করছে স্কুলগুলো। সব বই স্কুলপর্যায়ে অথবা উপজেলায় পৌঁছে দেওয়ার দাবি করেছে এনসিটিবি।
এনসিটিবির কর্মকর্তার জানান, গত ২৪ মার্চ সব বই ছাড় করা শেষ হয়। ঈদের ছুটির মধ্যেও ছাপাখানাগুলো উপজেলা পর্যায়ে বই পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছে। কোথাও বই না পৌঁছানোর ব্যাপারে তাদের কাছে অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব বই আগেই বিতরণ শেষ হয়েছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কিছু বই বাকি ছিল। সেগুলো মার্চের ২০ তারিখের মধ্যে ছাড় করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই সবার আগে বিতরণ শেষ করে এনসিটিবি। এরপর ষষ্ঠ-সপ্তমের বই অগ্রাধিকার দিয়ে সরবরাহ করা হয়। অষ্টম-নবমের বই নিয়ে সংকট ছিল। সেটাও মার্চের শেষ সপ্তাহে সব উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মাদরাসার ইবতেদায়ি ও দাখিলের বইও সরবরাহ শেষ। আজ মাদরাসা খোলার পর তা বিতরণ করা হয়ে যাবে। কোথাও কোথাও কারিগরি স্তরের নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী সব বই পেতে অসুবিধায় পড়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে ৩৯ কোটির বেশি বই ছাপানো হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিকে ইবতেদায়িসহ মোট বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ৬৯২টি। আর প্রাথমিকে মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজারের মতো।
প্রতিবার বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেয় সরকার। শুরুতে সব বই না দেওয়া গেলেও জানুয়ারির মধ্যেই অধিকাংশ সময় তা শেষ হয়। এবার শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু কারণে বই পেতে প্রায় তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে অন্তর্বর্তী সরকার। এনসিটিবির চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে রয়েছেন শিক্ষাক্রম ইউনিটের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি বলেন, পাঠ্যবই সবই সরবরাহ শেষ। হয়তো কোথাও কোথাও স্কুলে ছুটি চলায় শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। চলতি সপ্তাহে সবাই বই হাতে পেয়ে যাবে বলে আশা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্কুল খুললেই সব পাঠ্যবই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ১২:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

ছুটির মধ্যেও উপজেলাপর্যায়ে বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেগুলো স্কুলেও পৌঁছে গেছে। কোথাও কোথাও ছুটিতেও শিক্ষার্থীদের ডেকে বই বিতরণ করা হয়েছে। আবার কোথাও ছুটি শেষে বই বিতরণ করছে স্কুলগুলো

 

শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রায় তিন মাস পর অবশেষে সব পাঠ্যবই বিতরণ শেষ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ঈদের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রতিষ্ঠানটি সব বইয়ের ছাড়পত্র (পিডিআই) দিয়েছে। ছুটির মধ্যেও উপজেলাপর্যায়ে বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেগুলো স্কুলেও পৌঁছে গেছে। কোথাও কোথাও ছুটিতেও শিক্ষার্থীদের ডেকে বই বিতরণ করা হয়েছে। আবার কোথাও ছুটি শেষে বই বিতরণ করছে স্কুলগুলো। সব বই স্কুলপর্যায়ে অথবা উপজেলায় পৌঁছে দেওয়ার দাবি করেছে এনসিটিবি।
এনসিটিবির কর্মকর্তার জানান, গত ২৪ মার্চ সব বই ছাড় করা শেষ হয়। ঈদের ছুটির মধ্যেও ছাপাখানাগুলো উপজেলা পর্যায়ে বই পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছে। কোথাও বই না পৌঁছানোর ব্যাপারে তাদের কাছে অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব বই আগেই বিতরণ শেষ হয়েছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কিছু বই বাকি ছিল। সেগুলো মার্চের ২০ তারিখের মধ্যে ছাড় করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই সবার আগে বিতরণ শেষ করে এনসিটিবি। এরপর ষষ্ঠ-সপ্তমের বই অগ্রাধিকার দিয়ে সরবরাহ করা হয়। অষ্টম-নবমের বই নিয়ে সংকট ছিল। সেটাও মার্চের শেষ সপ্তাহে সব উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মাদরাসার ইবতেদায়ি ও দাখিলের বইও সরবরাহ শেষ। আজ মাদরাসা খোলার পর তা বিতরণ করা হয়ে যাবে। কোথাও কোথাও কারিগরি স্তরের নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী সব বই পেতে অসুবিধায় পড়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে ৩৯ কোটির বেশি বই ছাপানো হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিকে ইবতেদায়িসহ মোট বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ৬৯২টি। আর প্রাথমিকে মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজারের মতো।
প্রতিবার বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেয় সরকার। শুরুতে সব বই না দেওয়া গেলেও জানুয়ারির মধ্যেই অধিকাংশ সময় তা শেষ হয়। এবার শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু কারণে বই পেতে প্রায় তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে অন্তর্বর্তী সরকার। এনসিটিবির চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে রয়েছেন শিক্ষাক্রম ইউনিটের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি বলেন, পাঠ্যবই সবই সরবরাহ শেষ। হয়তো কোথাও কোথাও স্কুলে ছুটি চলায় শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। চলতি সপ্তাহে সবাই বই হাতে পেয়ে যাবে বলে আশা করছি।