ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

ক্লু লেস মামলায় দশ দিনে আসামি সনাক্ত করে আটক করলেন ওসি 

নজরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ
  • আপডেট সময় : ১৭৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ঝিনাইদের কালীগঞ্জে মনোহরপুর গ্রামের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবুজার গিফারী পার্শ্ববর্তী কয়ার বিলে মাছ ধরে ফেরার পথে এক ব্যক্তির কাঁচির আঘাতে ঘাড়ে মারাত্মকভাবে যখমপ্রাপ্ত হয়। ৪ এপ্রিল তারিখ এ ঘটনার পর পরই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চাচা আজিজুর রহমান উজ্জ্বল কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে।
বাদী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার আসামি সনাক্তের ব্যাপারে পুলিশকে কার্যকারী তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। তবুও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি দল তদন্ত করে এ ঘটনার মূল আসামিকে মামলা গ্রহণের মাত্র ১০ দিনে সনাক্ত ও আটক করতে সক্ষম হয়। ভুক্তভোগী গিফারী ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করার খবর জেনে ওসি নিজে ফলের ঝুড়ি সাজিয়ে সুস্থতার ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে তার বাড়িতে হাজির হন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোজখবর নেন। এ সময় তিনি তার মুঠোফোনে গিফারীকে আসামির ছবি ও ভিডিও দেখালে প্রকৃত অপরাধী সনাক্ত হয়। মনোহরপুর গ্রামের আনসার আলী বিশ্বাসের ছেলে শাহিন বিশ্বাস (৪২) নামের ব্যক্তিটি সেদিন আবুজার গিফারীকে তার হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে যখম করেছিল বলে নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী নিজেই।
পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল বিকালে তাকে আটক করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ কোর্টে প্রেরণ করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত আসামিকে আটক করায় ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার এর মুঠোফোন কথা হলে তিনি বলেন, পুলিশ জনতার। ক্লু লেস ঘটনাগুলো তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্ত করতে একটু সময় লাগতে পারে। এজন্য তদন্তের স্বার্থে  সকলকেই ধৈর্য ধারণ করতে হবে।  আমাদেরকে কাজ করার সময় দিলে অবশ্যই প্রকৃত অপরাধীকে আমরা ধরতে সক্ষম হব। একই সাথে তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবুজার গিফারী দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ক্লু লেস মামলায় দশ দিনে আসামি সনাক্ত করে আটক করলেন ওসি 

আপডেট সময় :
ঝিনাইদের কালীগঞ্জে মনোহরপুর গ্রামের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবুজার গিফারী পার্শ্ববর্তী কয়ার বিলে মাছ ধরে ফেরার পথে এক ব্যক্তির কাঁচির আঘাতে ঘাড়ে মারাত্মকভাবে যখমপ্রাপ্ত হয়। ৪ এপ্রিল তারিখ এ ঘটনার পর পরই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চাচা আজিজুর রহমান উজ্জ্বল কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে।
বাদী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার আসামি সনাক্তের ব্যাপারে পুলিশকে কার্যকারী তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। তবুও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি দল তদন্ত করে এ ঘটনার মূল আসামিকে মামলা গ্রহণের মাত্র ১০ দিনে সনাক্ত ও আটক করতে সক্ষম হয়। ভুক্তভোগী গিফারী ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করার খবর জেনে ওসি নিজে ফলের ঝুড়ি সাজিয়ে সুস্থতার ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে তার বাড়িতে হাজির হন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোজখবর নেন। এ সময় তিনি তার মুঠোফোনে গিফারীকে আসামির ছবি ও ভিডিও দেখালে প্রকৃত অপরাধী সনাক্ত হয়। মনোহরপুর গ্রামের আনসার আলী বিশ্বাসের ছেলে শাহিন বিশ্বাস (৪২) নামের ব্যক্তিটি সেদিন আবুজার গিফারীকে তার হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে যখম করেছিল বলে নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী নিজেই।
পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল বিকালে তাকে আটক করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ কোর্টে প্রেরণ করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত আসামিকে আটক করায় ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার এর মুঠোফোন কথা হলে তিনি বলেন, পুলিশ জনতার। ক্লু লেস ঘটনাগুলো তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্ত করতে একটু সময় লাগতে পারে। এজন্য তদন্তের স্বার্থে  সকলকেই ধৈর্য ধারণ করতে হবে।  আমাদেরকে কাজ করার সময় দিলে অবশ্যই প্রকৃত অপরাধীকে আমরা ধরতে সক্ষম হব। একই সাথে তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবুজার গিফারী দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেন।