ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

নোয়াখালীতে অনুমোদন ছাড়াই চলছে কোরবানীর পশুর হাট

গাজী রুবেল, নোয়াখালী ব্যুরোপ্রধান
  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলার ভূঁইয়ার হাটে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বসানো হয়েছে কুরবানের পশুর হাট। সড়কে খামারী ও ব্যপারীদের পশু বোঝাই গাড়ী আটকিয়ে, ঐ বাজারে বিক্রী করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, ভূঁইয়ারহাটে গরু বেচা-কেনার জন্য সরকার কর্তৃক কোন স্থান নির্ধারণ না থাকলেও সড়কে এবং ব্যাক্তি মালিকানা জায়গা ব্যবহার করে কোরবানীর পুশুর হাট বসানো হয়েছে।  বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ভূঁইয়ারহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা বলেন, গরু বাজারের জন্য ডিসি থেকে অনুমোদন নিতে হয়না। সড়কে ২/৪টা গরু রাখা হয়েছে, মানুষের চোখে পড়ার জন্য।
কোষাধ্যক্ষ আবুল বাসার বলেন, “ইজারাদার উপজেলা থেকে ডাক এনেছে, আমরা বাজার কমিটি সহযোগিতা করছি।”
সূবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা জানান, “তারা দাবি করে আগে থেকেই গরু বাজার মিলতো, কিন্তু আমি আশপাশে খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, তারা এবারই প্রথম কোরবানীর ঈদ কে সামনে গরু উঠাচ্ছে। গরু বাজারের জন্য তাদের আলাদা কোন অনুমোদন নাই। তাদের অনুমতি নেয়া প্রয়োজন ছিল।”

ভূঁইয়ার হাট থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দুরত্বে হাতিয়া বাজার। তাও আবার, সাপ্তাহিক দুইদিন শনি-মঙ্গলবারে একই সময়ে পাশাপাশি এ দু’টি বাজার বসে। অথচ হাতিয়া বাজারের ইজারা মূল্য ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হলেও এই গরু বাজারটি চলছে সরকার/ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই। তবুও প্রভাবশালী একটি চক্র অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা (হাসিল) টোল আদায় করছে। অথচ চুপচাপ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর আঙুল ফুলে-ফেঁপে উঠছে একটি চক্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নোয়াখালীতে অনুমোদন ছাড়াই চলছে কোরবানীর পশুর হাট

আপডেট সময় : ০২:৫৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলার ভূঁইয়ার হাটে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বসানো হয়েছে কুরবানের পশুর হাট। সড়কে খামারী ও ব্যপারীদের পশু বোঝাই গাড়ী আটকিয়ে, ঐ বাজারে বিক্রী করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, ভূঁইয়ারহাটে গরু বেচা-কেনার জন্য সরকার কর্তৃক কোন স্থান নির্ধারণ না থাকলেও সড়কে এবং ব্যাক্তি মালিকানা জায়গা ব্যবহার করে কোরবানীর পুশুর হাট বসানো হয়েছে।  বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ভূঁইয়ারহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা বলেন, গরু বাজারের জন্য ডিসি থেকে অনুমোদন নিতে হয়না। সড়কে ২/৪টা গরু রাখা হয়েছে, মানুষের চোখে পড়ার জন্য।
কোষাধ্যক্ষ আবুল বাসার বলেন, “ইজারাদার উপজেলা থেকে ডাক এনেছে, আমরা বাজার কমিটি সহযোগিতা করছি।”
সূবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা জানান, “তারা দাবি করে আগে থেকেই গরু বাজার মিলতো, কিন্তু আমি আশপাশে খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, তারা এবারই প্রথম কোরবানীর ঈদ কে সামনে গরু উঠাচ্ছে। গরু বাজারের জন্য তাদের আলাদা কোন অনুমোদন নাই। তাদের অনুমতি নেয়া প্রয়োজন ছিল।”

ভূঁইয়ার হাট থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দুরত্বে হাতিয়া বাজার। তাও আবার, সাপ্তাহিক দুইদিন শনি-মঙ্গলবারে একই সময়ে পাশাপাশি এ দু’টি বাজার বসে। অথচ হাতিয়া বাজারের ইজারা মূল্য ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হলেও এই গরু বাজারটি চলছে সরকার/ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই। তবুও প্রভাবশালী একটি চক্র অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা (হাসিল) টোল আদায় করছে। অথচ চুপচাপ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর আঙুল ফুলে-ফেঁপে উঠছে একটি চক্র।