সংবাদ শিরোনাম ::
জলঢাকায় খাসে যাওয়া মীরগঞ্জ হাটে গরু ছাগলের অতিরিক্ত টোল আদায়, ভোগান্তিতে ক্রেতা বিক্রেতা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৩:২৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ইজারাবিহীন খাসে যাওয়া মীরগঞ্জের হাট প্রশাসনের লোকজনকে চাপে ফেলে গরু-ছাগল ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার ০৩ এপ্রিল সরেজমিনে গেলে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরু ক্রেতা বিক্রেতাদের নিকট হইতে ৬০০ টাকা রশিদ ও ২০০ টাকা চাঁদা গরু প্রতি মোট ৮০০ টাকা নেয়ার দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়াও প্রশাসনের এমন কাউকে দেখা যায়নি, তবে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে আসতে দেখা যায়। তাঁরা হলেন গোলনা ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও কাঁঠালী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ইজারা আদায়ের মুল দায়িত্বে ছিলেন, জহুরুল ইসলাম। তিনি জানান, আমরা সঠিক সময়ে হাটে এসেছি তাঁরা আমাদের চাপে ফেলে হাট কালেকশন করছেন। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করেছি। তাঁরা কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা বিএনপি জামাতের লোক। সংবাদকর্মীদের দেখে শতাধিক গরু ক্রেতা বিক্রেতা এগিয়ে এসে বলেন, গত ৩ হাটে শুধু মাত্র গরু ক্রেতার কাছে রশীদের ফি বাবদ ৬০০ টাকা নিয়েছে। আর যারা গরু বিক্রেতা আছি আমরা কোন চাঁদা দেইনি। কিন্তু আজকের হাটে গরু ক্রেতার কাছে রশীদের মাধ্যমে ৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে বিধি পরিপন্থি অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদা নিতেছেন। হাটের লোকজন আমাদের কাছে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদা নিতেছেন। এর মধ্যে একদল লোক দৌড়ে এসে সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হয় এবং আক্রোশমুলক গালমন্দ করতে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন হয়রানিমুলক মামলা এবং হত্যার হুমকি প্রদর্শন করেন। লোকমুখে জানা যায়, এরা উপজেলা বিএনপির একাংশ একটি গ্রুপের বাহিনী।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরের বাংলা ১৪৩২ সালে উপজেলার ২৬টি হাট ইজারা প্রদানের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে ১৭টি হাটের দরপত্র জমা হলে বিধিমোতাবেক দরপত্র দাতাদের হাট-বাজার গুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়। এদিকে ৯টি হাটের কোন দরপত্র জমা না হওয়ায় হাট-বাজার গুলো খাস খতিয়ানে চলে যায়। খাস খতিয়ানে যাওয়া হাট-বাজার গুলো হলো, মীরগঞ্জ হাট-বাজার, পাঠানপাড়া হাট-বাজার, হলদিবাড়ী নালারপাড় হাট-বাজার, হলদিবাড়ী জয়বাংলা হাট-বাজার, নবাবগঞ্জ হাট-বাজার, ডিয়াবাড়ী হাট-বাজার, বালারপুকুর চৌধুরীর হাট-বাজার, হরিশ্চন্দ্রপাঠ হাট-বাজর, খুটামারা রহমানিয়া হাট-বাজার ইত্যাদি। এই হাটগুলো বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন তাদের নিজেদের নিয়োগকৃত জনবল দিয়ে হাট-বাজারের টোল আদায় করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, লিখিত ভাবে কাউকে হাট-বাজার দেওয়া হয়নি। কিন্তু খাস খতিয়ানের হাট-বাজারে কিছু লোকের সহযোগিতা নিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ২০০ টাকা টোল আদায়ের কোন এখতিয়ার নেই। যদি এরকম কোন প্রমাণ আপনারা দিতে পারেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।