ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জে নিরাপদ সড়ক দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo মোংলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন Logo কক্সবাজারে পর্যটক নিরাপত্তায় রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিআইজি আপেল মাহমুদ Logo সিরাজদিখানে গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ Logo কালিগঞ্জে মাংসের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত Logo পলাশবাড়ী পৌরসভার বহুমুখী উন্নয়নে কাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালা Logo টেকনাফে পাহাড়ের পর সাগর পথে পাচার কালে ২৯ জন ভুক্তভোগী সহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক Logo তিতাসে বিএনপির লিপলেট বিতরণ Logo গোমস্তাপুরে জোরপূর্বক ধানীজমি দখলের চেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে রেলের গাছ কেটে বিক্রি করলেন কর্মচারীরা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৪৮

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উত্তর গাজার জাবালিয়া শহর ও শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় অন্তত ৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল। নিহতদের মধ্যে ২২ জন শিশু ও ১৫ জন নারী রয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে একাধিক আবাসিক ভবনে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে জাবালিয়ার একটি ঘরের মেঝেতে সারি সারি লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখছে। হামলার আগে জাবালিয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল, কারণ ওই অঞ্চল থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। গত মঙ্গলবারই দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় হাসপাতালের চত্বরে আরেকটি বড় ধরনের বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে হামাসের নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ারকে লক্ষ্য করা হয়েছিল। সিনওয়ার তার ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর গাজায় হামাসের নেতৃত্বে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইউরোপীয় হাসপাতালের নিচে থাকা হামাসের একটি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে পরিচালিত হয়েছিল এই নির্ভুল হামলা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে গাজায় ‘গণহত্যা প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানান। নিউ ইয়র্কে এক সভায় তিনি বলেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে এবং নির্লজ্জভাবে বেসামরিক মানুষের ওপর অমানবিক অবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি গাজার ওপর চলমান ১০ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জানান এবং ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে সেখানে মানবিক সহায়তা বিতরণ পরিকল্পনার সমালোচনা করেন। জবাবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন অভিযোগ করেন, বিদেশি সহায়তা হামাসের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও অ্যাডাম বোহলার জানিয়েছেন, তারা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির সম্ভাব্য সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করতে কাতার সফরে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাস ৫৮ জন জিম্মি মুক্তি না দিলে গাজায় অভিযান আরও বিস্তৃত করা হবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় হামাস নির্মূল অভিযানে নামে ইসরায়েল। সেই হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এরপর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৪৮

আপডেট সময় :

উত্তর গাজার জাবালিয়া শহর ও শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় অন্তত ৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল। নিহতদের মধ্যে ২২ জন শিশু ও ১৫ জন নারী রয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে একাধিক আবাসিক ভবনে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে জাবালিয়ার একটি ঘরের মেঝেতে সারি সারি লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখছে। হামলার আগে জাবালিয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল, কারণ ওই অঞ্চল থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। গত মঙ্গলবারই দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় হাসপাতালের চত্বরে আরেকটি বড় ধরনের বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে হামাসের নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ারকে লক্ষ্য করা হয়েছিল। সিনওয়ার তার ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর গাজায় হামাসের নেতৃত্বে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইউরোপীয় হাসপাতালের নিচে থাকা হামাসের একটি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে পরিচালিত হয়েছিল এই নির্ভুল হামলা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে গাজায় ‘গণহত্যা প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানান। নিউ ইয়র্কে এক সভায় তিনি বলেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে এবং নির্লজ্জভাবে বেসামরিক মানুষের ওপর অমানবিক অবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি গাজার ওপর চলমান ১০ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জানান এবং ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে সেখানে মানবিক সহায়তা বিতরণ পরিকল্পনার সমালোচনা করেন। জবাবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন অভিযোগ করেন, বিদেশি সহায়তা হামাসের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও অ্যাডাম বোহলার জানিয়েছেন, তারা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির সম্ভাব্য সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করতে কাতার সফরে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাস ৫৮ জন জিম্মি মুক্তি না দিলে গাজায় অভিযান আরও বিস্তৃত করা হবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় হামাস নির্মূল অভিযানে নামে ইসরায়েল। সেই হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এরপর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।