ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাংবাদিক ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাত জনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা Logo শরিয়তপুরে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর বসতভিটা আত্নসাতের চেস্টা! Logo ফ্যাসিস্ট দোসর কিবরিয়া দম্পতি বহাল তবিয়তে Logo জজের ড্রাইভারের দাপটে অসহায় পরিবারের সংবাদ সম্মেলন Logo ঝিনাইদহে মেধা মূল্যায়ন ২০২৪ এর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ Logo মায়ানমারে অবৈধভাবে পাচারকালে সিমেন্টসহ ৫ পাচারকারী আটক Logo শহীদ পরিবারদের সম্মানে নওগাঁয় ৮০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র হস্তান্তর Logo নীলফামারীতে তিনদিন ব্যাপী ভূমি মেলা ২০২৫ উদ্বোধন  Logo তালের শাঁসে ঠান্ডা প্রশান্তি, মুক্তাগাছায় গরমে স্বস্তির উৎস Logo ফুলপুরে শ্রমিকদলের নয়া কমিটি গঠন

জজের ড্রাইভারের দাপটে অসহায় পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

কাঞ্চন সিকদার, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কিশোরগঞ্জে জজ কোর্টের এক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পুকুরের মাছ চুরি, মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী এক পরিবার।
রবিবার (২৫ মে) দুপুরে সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়েনের মুসলিম পাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি মুসলিম পাড়া এলাকার আব্দুল হামিদ খন্দকারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের ড্রাইভার।
অভিযোগ করে একই এলাকার মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি সাইফুল ইসলাম সর্ম্পকে সৎ মামা। তার সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিভিন্ন সময় সামাজিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেও এর সমাধান হয়নি। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় গত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন করে। শুধু তাই নয় অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলা জজ কোর্টের ড্রাইভার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে না এবং আদালতে গেলে আমরা সঠিক বিচার পাবো না বলে হুমকি দেয়। এর প্রভাব আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময় থানায় ও কোর্টে অভিযোগ করা হলেও কোন বিচার পাইনি। তার কারণে ৫-৬ বছর বাড়ি ছাড়া ছিলাম। বাড়িতে আসতে পারিনি। ঘর করার জন্য ইট কিনে রাখলেও কাজ শুরু করা হলে স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে আমাদের মারধর করে। বাড়ির সাথে পুকুরের জায়গাটা আমার নানী আমাকে দান করে গিয়েছে। সেই জায়গাটা জোরপূর্বক দখল করার জন্য আমাদের উপর অত্যাচার করে। সে জজ কোর্টের ড্রাইভার হওয়ায় সেই সুবাদে তার স্ত্রী মোছাঃ সরুফা খাতুনকে দিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। মামলার চাপে অসহায়ের মতো পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
খায়রুল ইসলামের মা মোছাঃ সালেহা বেগম জানান, আমার মা হাছেন বানু জীবিত থাকা অবস্থায় খায়রুল ইসলামকে আর এস ৭৬৮ নং দাগে বাড়ি তেকে ১৪.৬৬ শতাংশ এবং ৭৭৩ নং দাগে ৩.৩৩ শতাংশ দুই দাগে ১৮ শতাংশ জমি খায়রুল ইসলামকে লিখে দেন। এরপর এতে খায়রুল ইসলাম নিজ নামে নাম জারীসহ বছর বছর হাল নাগাদ করে ভোগদখল করে আসছে। এমতাবস্থায় ২০২৪ সালে জুন মাসে  বাড়িতে ঢুকে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায় সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন। তারপরও আমার ছেলের দখলে থাকা পুকুর দখল করে কাটা তারে বেড়া দেয়। এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি সাইফুল ইসলাম। গত এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ ভোর রাতে জোরপূর্বক পুকুরের সকল মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিতে আসলে হত্যার হুমকি দেয়। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জজের ড্রাইভারের দাপটে অসহায় পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
কিশোরগঞ্জে জজ কোর্টের এক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পুকুরের মাছ চুরি, মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী এক পরিবার।
রবিবার (২৫ মে) দুপুরে সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়েনের মুসলিম পাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি মুসলিম পাড়া এলাকার আব্দুল হামিদ খন্দকারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের ড্রাইভার।
অভিযোগ করে একই এলাকার মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি সাইফুল ইসলাম সর্ম্পকে সৎ মামা। তার সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিভিন্ন সময় সামাজিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেও এর সমাধান হয়নি। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় গত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন করে। শুধু তাই নয় অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলা জজ কোর্টের ড্রাইভার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে না এবং আদালতে গেলে আমরা সঠিক বিচার পাবো না বলে হুমকি দেয়। এর প্রভাব আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময় থানায় ও কোর্টে অভিযোগ করা হলেও কোন বিচার পাইনি। তার কারণে ৫-৬ বছর বাড়ি ছাড়া ছিলাম। বাড়িতে আসতে পারিনি। ঘর করার জন্য ইট কিনে রাখলেও কাজ শুরু করা হলে স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে আমাদের মারধর করে। বাড়ির সাথে পুকুরের জায়গাটা আমার নানী আমাকে দান করে গিয়েছে। সেই জায়গাটা জোরপূর্বক দখল করার জন্য আমাদের উপর অত্যাচার করে। সে জজ কোর্টের ড্রাইভার হওয়ায় সেই সুবাদে তার স্ত্রী মোছাঃ সরুফা খাতুনকে দিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। মামলার চাপে অসহায়ের মতো পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
খায়রুল ইসলামের মা মোছাঃ সালেহা বেগম জানান, আমার মা হাছেন বানু জীবিত থাকা অবস্থায় খায়রুল ইসলামকে আর এস ৭৬৮ নং দাগে বাড়ি তেকে ১৪.৬৬ শতাংশ এবং ৭৭৩ নং দাগে ৩.৩৩ শতাংশ দুই দাগে ১৮ শতাংশ জমি খায়রুল ইসলামকে লিখে দেন। এরপর এতে খায়রুল ইসলাম নিজ নামে নাম জারীসহ বছর বছর হাল নাগাদ করে ভোগদখল করে আসছে। এমতাবস্থায় ২০২৪ সালে জুন মাসে  বাড়িতে ঢুকে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায় সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন। তারপরও আমার ছেলের দখলে থাকা পুকুর দখল করে কাটা তারে বেড়া দেয়। এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি সাইফুল ইসলাম। গত এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ ভোর রাতে জোরপূর্বক পুকুরের সকল মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিতে আসলে হত্যার হুমকি দেয়। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন।