ফেনী-৩ বিএনপির নির্বাচনী মাঠে এগিয়ে আকবর হোসেন

- আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পৈতৃক ভিটা হওয়ায় ফেনী জেলাজুড়ে রয়েছে দলটির প্রভাব। তার নিজের আসন ছাড়া অন্য আসনগুলোতেও আধিপত্য কম নয়। সোনাগাজী ও দাগনভূঞা নিয়ে ফেনী-৩ আসনে কখনো জিততে পারেননি আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী। আলোচিত নেতা জয়নাল হাজারীও জয়ী হতে পারেননি এ আসন থেকে। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে না আসায় সেবার পাস করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জয় পান জাতীয় পার্টির (জাপা) লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। জনবিচ্ছিন্ন এই এমপির কারণে এলাকায় হয়নি কোন উন্নয়ন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (দাগনভূঁইয়া-সোনাগাজী) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে সক্রিয় আছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ভাই আকবর হোসেন। তিনি এলাকায় একজন সজ্জন, পরিচ্ছন্ন ও আদর্শবান রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত।
অবিভক্ত ফেনীর এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া আকবর হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার মানুষের পাশে থেকে নানা সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।
দাগনভূঞার বেকের বাজার এলাকার প্রবাসী শাকিল আমজাদ। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে ওমানে থাকা এই প্রবাসী জানান সদরে উন্নয়ন হলেও সোনাগাজী-দাগনভূঞা নিয়ে গঠিত ফেনী-৩ আসনে ফেরেনি মানুষের ভাগ্য।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আকবর হোসেন একজন কর্মীবান্ধব ও তৃণমূলমুখী রাজনীতিক। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য জনগণের মন জয় করতে হলে তাদের পাশে থাকতে হয়। এজন্যই দাগনভূঁইয়া ও সোনাগাজীর বিভিন্ন গ্রামে তিনি নিয়মিত জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
দলের নেতাকর্মীদের কাছেও তিনি একজন নির্ভরযোগ্য ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। বিএনপির কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারক মহলেও তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও জনসম্পৃক্ততা ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জনগণের প্রত্যাশা, আসন্ন নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলে আকবর হোসেন এলাকার উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।
ঐতিহাসিকভাবে আসনটিতে বিএনপির অবস্থান পোক্ত। এ আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিএনপি প্রার্থীকে হারাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। এমনকি ১৯৯৬ এর নির্বাচনে আলোচিত জয়নাল হাজারীও ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারেন বিএনপির মোশাররফ হোসেনের কাছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী পান ২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭ ভোট। বিএনপি সমর্থিত ঐক্যফ্রন্টের আকবর হোসেন পান ১৪ হাজার ৬৭৪ ভোট।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, ফেনী জেলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পৈতৃক ভিটা হওয়ায় জনগণের সহানুভূতি ও সমর্থন আছে। ফেনী-৩ আসন থেকে এবার নির্বাচন করতে চান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ভাই আকবর হোসেন।
আকবর হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই মিন্টু ভাই দেশের জন্য কাজ করেছেন, আমি চাই আমার এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে। ফেনী-৩ আসনকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমার অঙ্গীকার। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের আমলে অনেক মামলা হামলার শিকার হয়েছি। আমার বাড়ি ঘরে আগুন দিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দল আমাকে নমিনেশন দিলেও আওয়ামী সরকারের সন্ত্রাসীরা ভয়ে আমাকে নির্বাচনের প্রচারনা করতে দেয়নি। প্রচারনায় আমাকে কয়েকবার মামলা করেছে। আমি যখন জেলে ছিলাম তখন আমার স্ত্রী শাহিনা আকবর দলের হাল ধরেছেন। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সে দলীয় নেতা কর্মীদের একত্রিত করে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, দল আমাকে যোগ্য মনে করে যদি নমিনেশন দেয় তাহলে ভোট করবো। এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়াতে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার চেষ্টা করছি।