ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতিতে নেমেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
আন্দোলনরত স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, সমমর্যাদার অন্য দফতরের কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় নির্বাহী আদেশে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য সহকারীরা এখনও পূর্বের গ্রেডেই রয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগবিধি সংশোধন ও ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তারা বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরা যখন উচ্চ গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন, তখন স্বাস্থ্য সহকারীরা উপেক্ষিত থাকায় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এটি আমাদের জন্য অপমানজনক। এ অবস্থায় দ্রুত দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবি হলো, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা অনুযায়ী ১৪তম গ্রেড প্রদান। ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী কর্মীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা। সব স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শককে প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা। বেতন স্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় প্রাপ্ত টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা। ইতোমধ্যে ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) কোর্স সম্পন্নকারীদের সমমান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
আন্দোলনকারীরা জানান, দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে দুই হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য সহকারী এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে বারবার আলোচনা হলেও আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এখন তারা দ্রুত লিখিত নির্দেশনা চান।
এই আন্দোলন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে স্বাস্থ্য সহকারীরা বলছেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হোক, তা তারা চান না। দাবি পূরণ হলেই তারা কর্মস্থলে ফিরে যাবেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু

আপডেট সময় : ০১:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

 

নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতিতে নেমেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
আন্দোলনরত স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, সমমর্যাদার অন্য দফতরের কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় নির্বাহী আদেশে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য সহকারীরা এখনও পূর্বের গ্রেডেই রয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগবিধি সংশোধন ও ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তারা বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরা যখন উচ্চ গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন, তখন স্বাস্থ্য সহকারীরা উপেক্ষিত থাকায় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এটি আমাদের জন্য অপমানজনক। এ অবস্থায় দ্রুত দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবি হলো, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা অনুযায়ী ১৪তম গ্রেড প্রদান। ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী কর্মীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা। সব স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শককে প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা। বেতন স্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় প্রাপ্ত টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা। ইতোমধ্যে ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) কোর্স সম্পন্নকারীদের সমমান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
আন্দোলনকারীরা জানান, দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে দুই হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য সহকারী এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে বারবার আলোচনা হলেও আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এখন তারা দ্রুত লিখিত নির্দেশনা চান।
এই আন্দোলন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে স্বাস্থ্য সহকারীরা বলছেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হোক, তা তারা চান না। দাবি পূরণ হলেই তারা কর্মস্থলে ফিরে যাবেন।