বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশন পর্যন্ত চালুর জোর দাবি

- আপডেট সময় : ০৩:০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
আজ শনিবার অনেক দিন ধরে লক্ষ করা যায়,দেওয়ানগঞ্জ – ঢাকা রেলপথ এলাকার বাশিন্দারা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ বাজার পর্যন্ত চালুর দাবি দাওয়া জানিয়ে আসছে বহুদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য মানব বন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে এলাকাবাসী।
এই ট্রেন টি দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত চালু করা হলে একদিকে ইনকাম বাড়বে রেলের,অন্য দিকে জন দুুর্ভোগ কমবে মানুষের। বাড়বে সুযোগ সুবিধা। আশির দশকের শেষের দিকে আমি বিয়ে করেছি চট্টগ্রামে। সেই সুবাদে তখন থেকেই যাতায়াত আমার সেখানে।কিভাবে সেখানে গিয়েছি, এসেছি, কতটা কষ্ট করেছি তা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবেনা।
আন্তঃ নগর ট্রেন তখন ও চালু হয়নি।বাসা থেকে বের হয়েছি বিকেলে। ট্রেনে সিট পেতে।সিট না পেলে মহা বিপদ। বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে এই ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে রাত ১২ টায়। মুরগির খাচায় মুরগী ভরার মত অবস্থা। এরপর দেওয়ানগঞ্জ হয়ে জামালপুর , ময়মনসিংহ । সেখানে লাইন বদল করতে লং টাইম।ফের যাত্রা চিটাগাং লাইনে। পথে পথে হাজারো সমস্যা।বগিতে নেই বাতি,নেই পানি, নেই অনেক কিছু।
আমার আব্বা রেলে চাকুরী করার সুবাদে পাশ পেতাম। তাতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম যেতে এবং আসতে কোন টিকিট লাগতো না। ভালো বগি ভাগ্যে জুটতো কখনো। যাত্রীরা নিজেরা আলোর ব্যবস্থা করতেন,সাথে রাখতেন পানি।যারা সিট পেতেন না,তারা পায়ের কাছে বা বাথরুম ঘেঁষে বসে থাকতেন। সচেতন যাত্রীরা খাবার, পানি ও আলোর ব্যবস্থা নিজেরাই করতেন।পরদিন সকালে গিয়ে পৌছতাম চট্টগ্রামে।
যাত্রীদের অবস্থা কাহিল।যেন হাজত খেটে বের হলো। পায়ে জুতা ঢুকতোনা।দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে পায়ে রস নেমে যেতো।সাথে রাখা স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে শ্বশুরের বাসায় যেতাম। গোছল শেষে খেয়ে ঘুম।ঘুম ভাঙ্গতো সন্ধ্যায়। এখন ও এ রেলপথে চলাচলে সমস্যা রয়ে গেছে।আর তাইতো যাত্রী সাধারন সহ এলাকাবাসী বিজয় এক্সপ্রেস দেওয়ানগঞ্জ অবধি চলাচলের দাবি অব্যাহত রেখেছে।