মুন্সীগঞ্জে ইজারাদারের বিরুদ্ধে মারধর করে জোরপূর্বক বালু ভরাটের অভিযোগ আহত ৪

- আপডেট সময় : ১২:৪৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

filter: 0; jpegRotation: 0; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:0facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 98.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;
মুন্সীগঞ্জে ইজারার নামে মারধর করে জোরপূর্বক বালু কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ইজারাকৃত বালু মহলের বিরুদ্ধে। এসময় বাল্কহেড শ্রমিকরা বালু নিতে রাজি না হলে শারীরিক নির্যাতণের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় একাধিক বাল্কহেডের ৪ শ্রমিক আহত হয়।
ফলে চরম আতঙ্ক নিয়ে ধলেশ্বরী নদীতে চলাচল করছে বাল্কহেড জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা।
জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের কাছে ড্রেজিং এর মাধ্যমে বালু কাটার অনুমোদন পায় শহীদুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান । সেখানে বালু উত্তোলন কারীরা বাল্কহেড শ্রমিকদের মারধর করে জোরপূর্বক নৌপথে চলাচল কৃত বাল্কহেডে বালু নিতে বাধ্য করছে বালু দস্যুরা এতে করে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি শারীরিক ভাবে নির্যাতনের শিকান হচ্ছে বাল্কহেড শ্রমিকরা। এঘটনায় বিসমিল্লাহ নামের একটি বাল্কহেডের সুখানি মোকারম হোসেন (২৮)। ইঞ্জিন মিস্তিরি মনির হোসেন (৪৬)কে মারধর করে আহত করে। অপর আহত দুইজনের নাম তাৎক্ষণিক নেয়া সম্ভব হয়নি।
বিসমিল্লাহ বাল্কহেডের মালিক মো. আহমদ আলী বলেন, আমরা বাল্কহেড দিয়ে যমুনা নদী থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আস্তর বালু সরবরাহ করি৷ কিন্তু আজ রবিবার আমার খালি বাল্কহেডটি আস্তর বালু আনার উদ্দেশ্য যমুনা নদীতে যাওয়ার সময় মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের কাছে পৌছালে সেখানে চলমান বালুর মহলের সন্ত্রাসীরা আমার বাল্কহেডটি আটক করে দুই শ্রমিককে মারধর করে জোর করে ভিটি বালু কিনতে বাধ্য করে। আমিসহ আমার শ্রমিকরা বারবার অনুরোধ করলেও তারা কোনরুপ কর্ণপাত করছেনা। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান।
এছাড়াও তাওহিদ নামের একটি বাল্কহেডের শ্রমিক শামিম জানান, লঞ্চঘাটের কাছে নতুন মহলের লোকজন আমার বাল্কহেড আটক করে তাদের মহল থেকে বালু নেয়ার জন্য চাপ দেয় পরে আমি ভরট বালু আনা নেয়া করিনা জানালে আমার থেকে জোর করে ৫ শত টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। পরে তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় মুক্তারপুর পুলিশ ফাড়িকে অবহিত করলেও এখন পর্যন্ত কোনরুপ ব্যবস্থা নেয়নি নৌ-পুলিশ।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বালু মহলের ইজারাদার সেচ্ছা সেবক দলের নেতা শহীদুল ইসলাম।
জোরকরে বাল্কহেড আটক করে বালু নিতে বাধ্য করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন মুক্তারপুর ফাড়ি ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান।