ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদার দাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ

- আপডেট সময় : ১৭৮ বার পড়া হয়েছে
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার কামাড়পট্টি এলাকায় সংঘটিত হয়েছে এক নির্মম ও লোমহর্ষক ঘটনা।
চাঁদা না দেওয়ায় শম্ভুপুর ইউনিয়নের গন্ডা বাড়ির বাসিন্দা মোঃ রুবেলকে বেঁধে রেখে তার বড় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে একদল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। ‘ভাই’ বলে কেঁদে কেঁদে রক্ষা চাইলেও থামেনি ধর্ষকেরা, পায়ে ধরেও তাদের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পায়নি ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী দম্পতির অভিযোগ থেকে জানা যায়, শনিবার রাতে স্বামী রুবেলকে বাসায় ডেকে নেয় তার ছোট স্ত্রী, এসময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী রুবেলকে আটকে রেখে চাঁদার দাবিতে রাতভর নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে তার বড় স্ত্রীকে টাকা নিয়ে এসে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়।
পরবর্তীতে রবিবার সকালে বড় স্ত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে পূণরায় স্বামী রুবেলকে এসএস পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
এক পর্যায়ে বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে স্বামীকে অন্যত্র সরিয়ে তার স্ত্রীকে তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিকদলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন ও আলাউদ্দিন সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করেন। এসময় তাদেরকে বাবা ও ভাই ডেকে হাতে পায়ে ধরেও শেষ রক্ষা পায়নি ভুক্তভোগী নারী।
ধর্ষণ শেষে স্বামী স্ত্রী দুজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে সেখান থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের স্বীকার হওয়া নারী দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বাড়ির আশে পাশের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় মুচিবাড়িরকোনা বাজারে এনে সবাইকে ঘটনাটি জানায়। ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ জানালে রাতের দিকে পুলিশ এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করেনি তজুমদ্দিন থানার পুলিশ।
দিনে দুপুরে উপজেলা সদরে এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের দাবি, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এই বিষয়ে জানতে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।