ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘কারো মুখে হাসি ফুটানোর সুযোগ পাওয়া মানেই ভালো কিছু করার তৃপ্তি’

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নীলফামারীর জলঢাকায় এক স্কুলছাত্র প্রতিনিয়ত স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাইসাইকেল হারিয়ে মহাবিপাকে পড়েছিল। সে জলঢাকা সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। প্রায় দুই মাস আগে চোর তার বাইসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। এতে করে তার স্কুলে যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। একদিন বন্ধুদের সাথে পরামর্শ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিস কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনও মোঃ জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন এর কাছে নিজের কষ্টের কথাগুলো খুলে বলেন এবং বাইসাইকেল ছাড়া স্কুলে যেতে পাড়ছে না সেটিও জানায়। এরে একপর্যায়ে।সরলভাবে ইউএনও’র কাছে একটি বাইসাইকেল আবদার করে এবং বলে ‘স্যার, আমার যাতায়াতের জন্য একটা বাইসাইকেল কিনে দিন।’ তাহলে আমি ঠিক সময় মত স্কুলে যেতে পারবো। তার কথাগুলোর গুরুত্ব দিয়ে ছাত্রটিকে ইউএনও বলেন, ‘তোমাকে কথা দিচ্ছি, আমি চেষ্টা করবো।’ ছাত্রকে দেয়া কথা রেখেছেন ইউএনও। বুধবার দুপুরে তিনি নিজ হাতে ছাত্রটির হাতে একটি নতুন বাইসাইকেল তুলে দেন। বাইসাইকেল পেয়ে ছাত্রটির মুখে তখন আনন্দের হাসি,যেটা দেখে উপস্থিত সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন,”কারো মুখে হাসি ফুটানোর সুযোগ পাওয়া মানেই ভালো কিছু করার তৃপ্তি। কথা রাখতে পেরে আমি আনন্দিত।” ইউএনও’র এমন মহতি উদ্যোগ সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে মন্তব্য সচেতন মহলের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘কারো মুখে হাসি ফুটানোর সুযোগ পাওয়া মানেই ভালো কিছু করার তৃপ্তি’

আপডেট সময় :

 

নীলফামারীর জলঢাকায় এক স্কুলছাত্র প্রতিনিয়ত স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাইসাইকেল হারিয়ে মহাবিপাকে পড়েছিল। সে জলঢাকা সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। প্রায় দুই মাস আগে চোর তার বাইসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। এতে করে তার স্কুলে যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। একদিন বন্ধুদের সাথে পরামর্শ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিস কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনও মোঃ জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন এর কাছে নিজের কষ্টের কথাগুলো খুলে বলেন এবং বাইসাইকেল ছাড়া স্কুলে যেতে পাড়ছে না সেটিও জানায়। এরে একপর্যায়ে।সরলভাবে ইউএনও’র কাছে একটি বাইসাইকেল আবদার করে এবং বলে ‘স্যার, আমার যাতায়াতের জন্য একটা বাইসাইকেল কিনে দিন।’ তাহলে আমি ঠিক সময় মত স্কুলে যেতে পারবো। তার কথাগুলোর গুরুত্ব দিয়ে ছাত্রটিকে ইউএনও বলেন, ‘তোমাকে কথা দিচ্ছি, আমি চেষ্টা করবো।’ ছাত্রকে দেয়া কথা রেখেছেন ইউএনও। বুধবার দুপুরে তিনি নিজ হাতে ছাত্রটির হাতে একটি নতুন বাইসাইকেল তুলে দেন। বাইসাইকেল পেয়ে ছাত্রটির মুখে তখন আনন্দের হাসি,যেটা দেখে উপস্থিত সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন,”কারো মুখে হাসি ফুটানোর সুযোগ পাওয়া মানেই ভালো কিছু করার তৃপ্তি। কথা রাখতে পেরে আমি আনন্দিত।” ইউএনও’র এমন মহতি উদ্যোগ সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে মন্তব্য সচেতন মহলের।