ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় ‘প্রশংসাপত্র’ পেল কোস্টগার্ড

মনির হোসেন
  • আপডেট সময় : ৯৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টাগ ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদেরকে ‘প্রশংসাপত্র’ প্রদান করলো ‘আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO)’।
আজ শনিবার সকালে কোস্টগার্ড সদর দপ্তর মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির নোঙ্গরে থাকা অবস্থায় গত ৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ও কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ এবং সামুদ্রিক পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টাগ ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে।
উক্ত ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা সামুদ্রিক জীবন এবং সামগ্রিক পরিবেশের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
তৎক্ষণাৎ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’, তার দক্ষ নৌ-সদস্যদের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করে। কোস্ট গার্ড উদ্ধার অভিযান চালিয়ে জাহাজের সর্বমোট ৪৮ জন ক্রুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ অভিযানে প্রচণ্ড ঝড়ো আবহাওয়া ও খরোস্রোতের মধ্যে অগ্নি নির্বাপণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয় এবং একযোগে তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে কার্যকর ব্যারিয়ার স্থাপন ও বর্জ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র এলাকায় দূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
এই দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানের জন্য, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO) কর্তৃক বিজিজিটি প্রমত্ত এবং এর ক্রুদেরকে “Letters of Commendation” প্রদান করা হয়েছে।
IMO কর্তৃপক্ষ এই অভিযানে প্রদর্শিত পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন এবং আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তা রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে মূল্যায়ন করেছে।
বাংলাদেশের জন্য ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO) হতে প্রাপ্ত এই সম্মাননা একটি বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য নয়, বরং দেশের জন্য এক গর্বের বিষয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আধুনিক ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে যেকোনো দুর্যোগে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বদা দেশের সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা বিধান, বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার, সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধ ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এ বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় ‘প্রশংসাপত্র’ পেল কোস্টগার্ড

আপডেট সময় :

 

অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টাগ ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদেরকে ‘প্রশংসাপত্র’ প্রদান করলো ‘আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO)’।
আজ শনিবার সকালে কোস্টগার্ড সদর দপ্তর মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির নোঙ্গরে থাকা অবস্থায় গত ৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ও কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ এবং সামুদ্রিক পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টাগ ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে।
উক্ত ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা সামুদ্রিক জীবন এবং সামগ্রিক পরিবেশের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
তৎক্ষণাৎ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’, তার দক্ষ নৌ-সদস্যদের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করে। কোস্ট গার্ড উদ্ধার অভিযান চালিয়ে জাহাজের সর্বমোট ৪৮ জন ক্রুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ অভিযানে প্রচণ্ড ঝড়ো আবহাওয়া ও খরোস্রোতের মধ্যে অগ্নি নির্বাপণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয় এবং একযোগে তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে কার্যকর ব্যারিয়ার স্থাপন ও বর্জ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র এলাকায় দূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
এই দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানের জন্য, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO) কর্তৃক বিজিজিটি প্রমত্ত এবং এর ক্রুদেরকে “Letters of Commendation” প্রদান করা হয়েছে।
IMO কর্তৃপক্ষ এই অভিযানে প্রদর্শিত পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন এবং আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তা রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে মূল্যায়ন করেছে।
বাংলাদেশের জন্য ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO) হতে প্রাপ্ত এই সম্মাননা একটি বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য নয়, বরং দেশের জন্য এক গর্বের বিষয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আধুনিক ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে যেকোনো দুর্যোগে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বদা দেশের সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা বিধান, বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার, সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধ ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এ বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর থাকবে।