ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

কেশবপুরে প্রথম সৌদি আরবের খেজুর উৎপাদনে সাড়া ফেলেছেন লিজা

খায়রুল আনাম, কেশবপুর (যশোর)
  • আপডেট সময় : ১৩২ বার পড়া হয়েছে

Oplus_0

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের কেশবপুরের সফল নারী উদ্যোক্তা নূসরাত জাহান লিজার বাড়ির আঙিনায় ঝুলছে লাল টসটসে সৌদি আরবের খেজুর। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে ছয় বছর আগে বাড়ির আঙিনায় সারি সারি খেজুর গাছ রোপণ করেন এই নারী উদ্যোক্তা। তার আঙিনায় রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০টি সৌদি আরবের সুমিষ্ট খেজুর গাছ। এবারই প্রথম বাগানের কয়েকটি খেজুর গাছে এসেছে ফলন। গাছের লাল টসটসে খেজুর দেখার জন্য প্রতিদিন ওই বাড়িতে ভিড় করছে মানুষ।
লিজার এ সাফল্যের কথা জানতে পেরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বলেন, এ অঞ্চলে প্রথম সৌদি খেজুর উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছেন তিনি। যা দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
নারী উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান লিজার বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী। লিজা এবার বিএ পরীক্ষার্থী। লেখাপড়া ও সংসার সামলিয়ে তিনি নিজেকে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদি আরবের খেজুর চাষে ঝুঁকেছেন।
বাড়ির আঙিনার সামনে সারি সারি রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০টি সৌদি আরবের খেজুর গাছ। এসব গাছের ভেতর এবারই প্রথম তিনটি গাছে ফলন এসেছে। বাড়ির সামনে লাগানো প্রথম গাছটিতে চার কাঁদি খেজুর ধরেছে। এক এক কাঁদিতে ১০ থেকে ১২ কেজি খেজর রয়েছে। যা ইতিমধ্যে লাল বর্ণ ধারণ করেছে।
খেজুর গাছ পরিচর্যার সময় নুসরাত জাহান লিজা বলেন, ছয় বছর আগে সৌদি আরব থেকে তাদের এক আত্মীয় হজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় ওই দেশের খেজুর নিয়ে আসেন। তাদেরকে ওই খেজুর খেতে দিলে তার বীজ সংরক্ষণ করেন। পরে ওই খেজুরের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বাড়ির আঙিনার সামনে লাগানো হয়। বর্তমানে তিনটি গাছে ফলন এসেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ গাছের গোড়া থেকে একাধিক চারা (বোগ) বের হয়েছে। এ সমস্ত গাছের গোড়ায় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ব্যবহার করা হয়। কাঁদির এসব খেজুর আগামী এক দেড় মাসের ভেতর পেকে যাবে। পাঁকলে এসব খেজুর প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। প্রথমবারেই ওই তিনটি গাছ থেকে উৎপাদিত খেজুর এক লাখ টাকার বেশি বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।
ওই বাড়িতে সৌদি খেজুর দেখতে আসা মূলগ্রামের চৈতন্য বলেন, এ অঞ্চলের মাটিতে সৌদি আরবের খেজুর উৎপাদনের কথা শুনে দেখতে এসেছি। গাছের লাল টস টসে খেজুর দেখে আমি অভিভূত।
কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, আমার জানামতে এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের খেজুর উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছেন লিজা। যা দেখে বাণিজ্যিকভাবে অন্য চাষিরাও সৌদির খেজুর চাষে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে পরামর্শ দিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেশবপুরে প্রথম সৌদি আরবের খেজুর উৎপাদনে সাড়া ফেলেছেন লিজা

আপডেট সময় :

যশোরের কেশবপুরের সফল নারী উদ্যোক্তা নূসরাত জাহান লিজার বাড়ির আঙিনায় ঝুলছে লাল টসটসে সৌদি আরবের খেজুর। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে ছয় বছর আগে বাড়ির আঙিনায় সারি সারি খেজুর গাছ রোপণ করেন এই নারী উদ্যোক্তা। তার আঙিনায় রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০টি সৌদি আরবের সুমিষ্ট খেজুর গাছ। এবারই প্রথম বাগানের কয়েকটি খেজুর গাছে এসেছে ফলন। গাছের লাল টসটসে খেজুর দেখার জন্য প্রতিদিন ওই বাড়িতে ভিড় করছে মানুষ।
লিজার এ সাফল্যের কথা জানতে পেরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বলেন, এ অঞ্চলে প্রথম সৌদি খেজুর উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছেন তিনি। যা দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
নারী উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান লিজার বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী। লিজা এবার বিএ পরীক্ষার্থী। লেখাপড়া ও সংসার সামলিয়ে তিনি নিজেকে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদি আরবের খেজুর চাষে ঝুঁকেছেন।
বাড়ির আঙিনার সামনে সারি সারি রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০টি সৌদি আরবের খেজুর গাছ। এসব গাছের ভেতর এবারই প্রথম তিনটি গাছে ফলন এসেছে। বাড়ির সামনে লাগানো প্রথম গাছটিতে চার কাঁদি খেজুর ধরেছে। এক এক কাঁদিতে ১০ থেকে ১২ কেজি খেজর রয়েছে। যা ইতিমধ্যে লাল বর্ণ ধারণ করেছে।
খেজুর গাছ পরিচর্যার সময় নুসরাত জাহান লিজা বলেন, ছয় বছর আগে সৌদি আরব থেকে তাদের এক আত্মীয় হজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় ওই দেশের খেজুর নিয়ে আসেন। তাদেরকে ওই খেজুর খেতে দিলে তার বীজ সংরক্ষণ করেন। পরে ওই খেজুরের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বাড়ির আঙিনার সামনে লাগানো হয়। বর্তমানে তিনটি গাছে ফলন এসেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ গাছের গোড়া থেকে একাধিক চারা (বোগ) বের হয়েছে। এ সমস্ত গাছের গোড়ায় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ব্যবহার করা হয়। কাঁদির এসব খেজুর আগামী এক দেড় মাসের ভেতর পেকে যাবে। পাঁকলে এসব খেজুর প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। প্রথমবারেই ওই তিনটি গাছ থেকে উৎপাদিত খেজুর এক লাখ টাকার বেশি বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।
ওই বাড়িতে সৌদি খেজুর দেখতে আসা মূলগ্রামের চৈতন্য বলেন, এ অঞ্চলের মাটিতে সৌদি আরবের খেজুর উৎপাদনের কথা শুনে দেখতে এসেছি। গাছের লাল টস টসে খেজুর দেখে আমি অভিভূত।
কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, আমার জানামতে এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের খেজুর উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছেন লিজা। যা দেখে বাণিজ্যিকভাবে অন্য চাষিরাও সৌদির খেজুর চাষে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে পরামর্শ দিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।