ঢাকা ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

বন্যাপরবর্তীতে নতুন যুদ্ধে বন্যাদুর্গত ফেনীর তিন উপজেলা

ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চায় ফেনীবাসী

শাখাওয়াত হোসেন টিপু, ফেনী (দাগনভূঞা)
  • আপডেট সময় : ৪৬ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফেনীর তিনটি উপজেলায় বন্যাকবলিত হাজারো মানুষ আশ্রয়ন থেকে ফিরে নতুন করে নেমেছেন বেঁচে থাকার যুদ্ধে। বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলেও ঘরে ফিরে নতুন সংকটে পড়েছেন ফেনীর দুর্গত এলাকার মানুষ। কর্দমাক্ত ঘরবাড়ি, ভাঙাচোরা আসবাবপত্র আর পঁচে যাওয়া খাদ্যসামগ্রী নিয়ে শুরু হয়েছে বেঁচে থাকার নতুন লড়াই।
পানি নামলেও অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ নেই, অনেকেই এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর দিন পার করছেন। এখনও ৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৩০টি পরিবারের ৪৮৪ জন রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ হাজার ৭৬ জন আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ করে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে নতুন করে বেঁচে থাকার সংগ্রাম শুরু করেছে।
ফুলগাজীর আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও ফারিয়া ইসলাম বলেন, এখনও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হয়নি। পানি নামলেও অনেক ঘর বসবাসযোগ্য নয়। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সমন্বিতভাবে কাজ করছি।
গত সোমবার (৮ জুলাই) থেকে টানা বৃষ্টি এবং ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত হয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এতে ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ১৩৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, এর মধ্যে ১২১ টি গ্রাম থেকে পানি নেমে গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ফেনী জেলায় কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন এবং এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসল, সড়ক, সেতু ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর সড়কে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ১৫টি দোকান। দোকান হারানো ব্যবসায়ীরা এখনও নদীপাড়ে দাঁড়িয়ে খুঁজে ফিরছেন তাদের জীবিকার স্থান। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আবদুল আলিম বলেন, একদিনে দোকান গেলো নদীতে। এত বছর দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালাতাম। এখন হাওয়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। সংসারে একমাত্র আয় ছিল দোকান টি, এখন পুরো পরিবার নিয়ে চিন্তায় আছি।
ফুলগাজী উপজেলার গজারিয়া গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা আক্তার বলেন, পানি নেমে গেছে, কিন্তু ঘরে ঢোকা যাচ্ছে না। মাটি, কাদা, পঁচা খাবারের গন্ধে শিশুদেরও অসুস্থ লাগছে। আশ্রয়কেন্দ্রেও এখন তেমন কিছু নেই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরামে ১৯টি ও ফুলগাজীতে ১৭টিসহ মোট ৩৬টি স্থানে ভেঙেছে। এর আগে চারদিন ধরে ২০টি ভাঙনের তথ্য জানান পাউবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধে আমরা জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেছি। তবে টেকসই বাঁধ ও নদী খননের কাজ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হতে হবে।
জেলা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এবারের বন্যায় মৎস্য খাতে ৮ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কৃষিতে ৫ হাজার ৫৬৪ দশমিক ৬১ হেক্টর ফসলি জমি দুর্যোগে আক্রান্ত ও প্রাণিসম্পদে ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরোপুরি পানি নেমে যাওয়ার পরই ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ তুলে ধরা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
ফুলগাজী উপজেলার কমুয়া এলাকার খামারি মো. হারুন বলেন, গতবছরের বন্যায় অন্তত ২০ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবারও পানিতে ডুবে মুরগি মারা গেছে। মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে।প্রতিবারই বাঁধ ভাঙে, পানি আসে, তারপর সকলে আশ্বাস দেয়। এসব এ জনপদে নিয়মে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বারবার এমন দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর তদারকি।
ফুলগাজীর সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল রসুল গোলাপ বলেন, ‘ফুলগাজীর মানুষ এখন ত্রাণ চায় না, তারা চায় টেকসই বেড়িবাঁধ। নদীখনন, বাঁধের মেরামত আর সঠিক তদারকি না থাকলে আমরা প্রতি বছর ডুববো– এই বাস্তবতা এখন মানতেই হবে।’
শনিবার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। স্থানীয় জনগণ তাকে বলছেন, ত্রাণ লাগবে না, শুধু বাঁধ দিন। তিনি বলেন, দুটোরই দরকার। এখন মানুষকে বাঁচাতে হবে ত্রাণ দিয়ে, পরে জীবন ও জীবিকার জন্য লাগবে টেকসই বেড়িবাঁধ।’
পরশুরামের ইউএনও আরিফুল ইসলাম জানান, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় অনেক কিছুই কম পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাড়ে ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে শুকনো খাবার, গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্যের আরও ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ত্রাণ কার্যক্রমে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে। পরিস্থিতি ধীরেধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বন্যাপরবর্তীতে নতুন যুদ্ধে বন্যাদুর্গত ফেনীর তিন উপজেলা

ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চায় ফেনীবাসী

আপডেট সময় :

ফেনীর তিনটি উপজেলায় বন্যাকবলিত হাজারো মানুষ আশ্রয়ন থেকে ফিরে নতুন করে নেমেছেন বেঁচে থাকার যুদ্ধে। বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলেও ঘরে ফিরে নতুন সংকটে পড়েছেন ফেনীর দুর্গত এলাকার মানুষ। কর্দমাক্ত ঘরবাড়ি, ভাঙাচোরা আসবাবপত্র আর পঁচে যাওয়া খাদ্যসামগ্রী নিয়ে শুরু হয়েছে বেঁচে থাকার নতুন লড়াই।
পানি নামলেও অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ নেই, অনেকেই এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর দিন পার করছেন। এখনও ৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৩০টি পরিবারের ৪৮৪ জন রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ হাজার ৭৬ জন আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ করে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে নতুন করে বেঁচে থাকার সংগ্রাম শুরু করেছে।
ফুলগাজীর আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও ফারিয়া ইসলাম বলেন, এখনও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হয়নি। পানি নামলেও অনেক ঘর বসবাসযোগ্য নয়। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সমন্বিতভাবে কাজ করছি।
গত সোমবার (৮ জুলাই) থেকে টানা বৃষ্টি এবং ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত হয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এতে ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ১৩৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, এর মধ্যে ১২১ টি গ্রাম থেকে পানি নেমে গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ফেনী জেলায় কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন এবং এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসল, সড়ক, সেতু ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর সড়কে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ১৫টি দোকান। দোকান হারানো ব্যবসায়ীরা এখনও নদীপাড়ে দাঁড়িয়ে খুঁজে ফিরছেন তাদের জীবিকার স্থান। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আবদুল আলিম বলেন, একদিনে দোকান গেলো নদীতে। এত বছর দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালাতাম। এখন হাওয়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। সংসারে একমাত্র আয় ছিল দোকান টি, এখন পুরো পরিবার নিয়ে চিন্তায় আছি।
ফুলগাজী উপজেলার গজারিয়া গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা আক্তার বলেন, পানি নেমে গেছে, কিন্তু ঘরে ঢোকা যাচ্ছে না। মাটি, কাদা, পঁচা খাবারের গন্ধে শিশুদেরও অসুস্থ লাগছে। আশ্রয়কেন্দ্রেও এখন তেমন কিছু নেই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরামে ১৯টি ও ফুলগাজীতে ১৭টিসহ মোট ৩৬টি স্থানে ভেঙেছে। এর আগে চারদিন ধরে ২০টি ভাঙনের তথ্য জানান পাউবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধে আমরা জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেছি। তবে টেকসই বাঁধ ও নদী খননের কাজ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হতে হবে।
জেলা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এবারের বন্যায় মৎস্য খাতে ৮ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কৃষিতে ৫ হাজার ৫৬৪ দশমিক ৬১ হেক্টর ফসলি জমি দুর্যোগে আক্রান্ত ও প্রাণিসম্পদে ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরোপুরি পানি নেমে যাওয়ার পরই ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ তুলে ধরা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
ফুলগাজী উপজেলার কমুয়া এলাকার খামারি মো. হারুন বলেন, গতবছরের বন্যায় অন্তত ২০ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবারও পানিতে ডুবে মুরগি মারা গেছে। মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে।প্রতিবারই বাঁধ ভাঙে, পানি আসে, তারপর সকলে আশ্বাস দেয়। এসব এ জনপদে নিয়মে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বারবার এমন দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর তদারকি।
ফুলগাজীর সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল রসুল গোলাপ বলেন, ‘ফুলগাজীর মানুষ এখন ত্রাণ চায় না, তারা চায় টেকসই বেড়িবাঁধ। নদীখনন, বাঁধের মেরামত আর সঠিক তদারকি না থাকলে আমরা প্রতি বছর ডুববো– এই বাস্তবতা এখন মানতেই হবে।’
শনিবার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। স্থানীয় জনগণ তাকে বলছেন, ত্রাণ লাগবে না, শুধু বাঁধ দিন। তিনি বলেন, দুটোরই দরকার। এখন মানুষকে বাঁচাতে হবে ত্রাণ দিয়ে, পরে জীবন ও জীবিকার জন্য লাগবে টেকসই বেড়িবাঁধ।’
পরশুরামের ইউএনও আরিফুল ইসলাম জানান, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় অনেক কিছুই কম পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাড়ে ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে শুকনো খাবার, গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্যের আরও ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ত্রাণ কার্যক্রমে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে। পরিস্থিতি ধীরেধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।