ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

তিতাসে উন্নয়ন কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন

মো.নাঈম সরকার, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের মান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অবহেলা ও অনৈতিক সহযোগিতার ফলে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।সম্প্রতি উপজেলার নারান্দিয়া এলাকার আসমানিয়া বাজার সংলগ্ন গোমতী নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রিজটির একটি গুরুত্বপূর্ণ পিলার না রেখেই ঢালাই সম্পন্ন করা হয়েছে। অন্য পিলারগুলোর সংযোগ (জয়েনিং) কাজও হয়েছে অত্যন্ত অবহেলায়, যেটি যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা নির্মাণেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। কাজের সঠিক তদারকি না থাকায় সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে এবং জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সচেতন মহলের প্রশ্ন—উপজেলা প্রকৌশল অফিস ও সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং সাব-অ্যাসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়াররা এসব চোখে দেখেন না? তারা কি উন্নয়ন কাজের মান নিশ্চিত করছেন, নাকি ঠিকাদারদের স্বার্থ রক্ষায় দালালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন?এলাকার সচেতন মহল এহেন অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করলে সেই পোস্টে কমেন্ট করে ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই করেন ঠিকই উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম।তার দেয়া কমেন্টটি হলো এরকম-আমাদের এখানে ১৪ টা পাইলিং ধরা, আমরা ১৪ টা পাইলিং করেছি। একটা পাইলিং ফেইল করায় পাশে আরো একটা পাইলিং করা হয়, মোট ১৫ টা করা হয়। ফেইল পাইল বেস এর সাথে সংযোগ করা হয়নি যেহেতু এইটার কোন কাজ নাই। প্রয়োজন ড্রয়িং প্লাস বেসের ছবি আছে আমার কাছ হতে নিয়ে যাবেন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ সচেতন নাগরিকরা বলছেন, “জুলাইযোদ্ধারা এ দেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন—তাদের আত্মত্যাগ কি এসব দায়িত্বশীলদের মানুষ বানাতে পারেনি?”এ নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ ও দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তিতাসে উন্নয়ন কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন

আপডেট সময় :

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের মান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অবহেলা ও অনৈতিক সহযোগিতার ফলে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।সম্প্রতি উপজেলার নারান্দিয়া এলাকার আসমানিয়া বাজার সংলগ্ন গোমতী নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রিজটির একটি গুরুত্বপূর্ণ পিলার না রেখেই ঢালাই সম্পন্ন করা হয়েছে। অন্য পিলারগুলোর সংযোগ (জয়েনিং) কাজও হয়েছে অত্যন্ত অবহেলায়, যেটি যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা নির্মাণেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। কাজের সঠিক তদারকি না থাকায় সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে এবং জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সচেতন মহলের প্রশ্ন—উপজেলা প্রকৌশল অফিস ও সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং সাব-অ্যাসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়াররা এসব চোখে দেখেন না? তারা কি উন্নয়ন কাজের মান নিশ্চিত করছেন, নাকি ঠিকাদারদের স্বার্থ রক্ষায় দালালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন?এলাকার সচেতন মহল এহেন অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করলে সেই পোস্টে কমেন্ট করে ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই করেন ঠিকই উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম।তার দেয়া কমেন্টটি হলো এরকম-আমাদের এখানে ১৪ টা পাইলিং ধরা, আমরা ১৪ টা পাইলিং করেছি। একটা পাইলিং ফেইল করায় পাশে আরো একটা পাইলিং করা হয়, মোট ১৫ টা করা হয়। ফেইল পাইল বেস এর সাথে সংযোগ করা হয়নি যেহেতু এইটার কোন কাজ নাই। প্রয়োজন ড্রয়িং প্লাস বেসের ছবি আছে আমার কাছ হতে নিয়ে যাবেন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ সচেতন নাগরিকরা বলছেন, “জুলাইযোদ্ধারা এ দেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন—তাদের আত্মত্যাগ কি এসব দায়িত্বশীলদের মানুষ বানাতে পারেনি?”এ নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ ও দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছেন এলাকাবাসী।