গোসাইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান, অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে
- আপডেট সময় : ১০০ বার পড়া হয়েছে
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি কৃত রোগীদের দুপুরে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও মজুত ঔষধ রোগীদের না দিয়ে বাইরের দোকান থেকে কিনতে বাধ্য করাসহ নানা কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায় দুদক টিম। এ নিয়ে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টা চলে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট দুদক টিমের অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদক মাদারীপুরের সহকারি পরিচালক আখতারুউজ্জামান, উপসহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অভিযানের টিম লিডার দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুউজ্জামান। তিনি বলেন, ডাক্তার সংকটসহ প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসাসেবার মান, রোগীদের নিন্মমানের খাবার পরিবেশন,দীর্ঘসময় এক্সরে মেশিন বন্ধ,দুর্ভোগসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানকালে দীর্ঘ অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানটির মাত্র একজন ডাক্তার দিয়ে রুগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে ও বহির্বিভাগের টিকেট ৫ টাকার ক্ষেত্রে ১০ টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া স্টক রেজিস্ট্রার অনুযায়ী সরকারি ওষুধ বিতরণের পর অতিরিক্ত ওষুধের মজুদ পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগীদের সেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। এখন অনুসন্ধান কার্যক্রম পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা কয়েকজন রোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে থাকতে হয় নোংরা পরিবেশে। বাথরুম ব্যবহার করার অনুপযোগী। চড়া দামে ঔষধ কিনতে হয় বাহির থেকে। এখানে অসুস্থ থেকে সুস্থ হতে এসে যেন আরো অসুস্থ হয়ে যেতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.হাফিজুর মিঞা বলেন, দুদক অভিযান চালিয়েছে। তারা অনুসন্ধান করে কী পেয়েছে, তা তারাই বলতে পারবে। এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

















