ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আসিফ খান: এ প্রজন্মের উদীয়মান কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গীতযাত্রা Logo ঠাকুরগাঁওয়ে জুলাই বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জুলাইয়ের মায়েদের গল্প শোনা ও সংবর্ধনা প্রদান Logo টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির ঘটনায় ৪ বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫ Logo সরিষাবাড়ী সাতপোয়া আল-বূশরা সামাজিক গোরস্তানের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন Logo শ্রমিকবান্ধব দেশগঠনে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণ জোয়ার সৃষ্টি করতে হবে Logo তিতাসে জুলাই বিপ্লবের বিজয় মিছিল উপলক্ষে বিএনপির প্রস্ততি সভা Logo গোবিন্দগঞ্জে এক যুবকের মরদে’হ উদ্ধার Logo মালখানগর রথবাড়ি তালতলা রাস্তার বেহাল দশা, জনগণের চরম ভোগান্তি Logo কোম্পানীগঞ্জে বাসাপ’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo হোমনা-মেঘনা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-২ আসন বহাল রাখার দাবিতে বিএনপির সাংবাদ সম্মেলন

একজন সফল কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যে কোন এলাকার উন্নয়নের পূর্ব শর্ত যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ঠিক তেমনি দেশের উন্নয়নে- জাতির উন্নয়নে- শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন নি:সন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ লক্ষ্যে পৌঁছা ঠিক তখনি সম্ভব- যখন দেশ হয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার বদৌলতে ২০২৬ সনে আমাদের এ দেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে। আর এই সফলতার পেছনে পুরোটাই কৃষি বিভাগের কৃতিত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিস গত এক বছরে যে সফলতা দেখিয়েছে তার কোন তুলনা হয়না। কৃষিবান্ধব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান ও তার অধীনস্থ সকল কর্মকর্তা ও প্রতিটি কৃষিকর্মীর নিরলস প্রচেষ্টায় এক সময়ের অবহেলিত যমুনা চরাঞ্চলের বালুময় প্রান্তরে যেন সোনা ফলতে শুরু করেছে। চরাঞ্চলের সিংহভাগ জমিই বছরের বেশির ভাগ সময় থাকতো অনাবাদী। আর আজ ফি বছর ধরেই সেখানে আবাদ হয় নানা ফসল ও শাক-সবজি। তন্মধ্যে ধান, পাট, ভুট্ট, বাদাম, তিলসহ অনেক ফসলই নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হয়ে থাকে।
২১৬ দশমিক ৩৮ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই ক্ষুদ্র উপজেলার সিংহভাগ এলাকাই হচ্ছে যমুনা নদী ঘেরা চরাঞ্চল। এতে চর ও ভর মিলিয়ে আবাদি জমির পরিমাণ মাত্র ১৬ হাজার ৪শ হেক্টর। তাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আবাদ হয় বোরো ধান- ৭ হাজার ৩শ ৬০ হেক্টর জমিতে ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আবাদ হয় ৭ হাজার ৩শ ৭০ হেক্টর জমিতে। অনুরূপভাবে আমন ৪ হাজার ৮শ ৯০ ও ৪ হাজার ৯শ ৩০ হেক্টর জমিতে, গম ৭শ ৮০ ও ৭শ ৯০ হেক্টর জমিতে, ভুট্টা ৩ হাজার ২৫ ও ৩ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে, মাসকলাই ১ হাজার ২শ ২০ ও ১ হাজার ২শ চব্বিশ হেক্টর জমিতে, মসুর ৮শ ৫০ ও ৮শ ৫৫ হেক্টর জমিতে, পেঁয়াজ ১শ ৬০ ও ১শ ৭৫ হেক্টর জমিতে, রসুন ৬৫ ও ৭০ হেক্টর জমিতে, আদা ২০ ও ২৫ হেক্টর জমিতে, হলুদ ২০ ও ৫৫ হেক্টর জমিতে, ধনিয়া ৫০ ও ১শ ৯০ হেক্টর জমিতে, মিষ্টি আলু ১শ ৪০ ও ১শ ৪৫ হেক্টর জমিতে, চিনাবাদাম ১ হাজার ৭শ ১০ ও ১ হাজার ৭শ ৩০ হেক্টর জমিতে, সরিষা ২ হাজার ৮শ ৭০ ও ৩ হাজার ২শ ১০ হেক্টর জমিতে, তিল ২ হাজার ১শ ৫ ও ২ হাজার ১শ ১০ হেক্টর জমিতে। আর এই সফলতা বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি অফিসকে যথেষ্ট শ্রম দিতে হয়েছে। এক বছরে বাস্তবায়িত হয়েছে ৫৭৭টি কৃষি প্রদর্শনী, হয়েছে ১৭টি মাঠ দিবস। সেই সাথে ৩শ কৃষক-কৃষানীকে দেয়া হয়েছে কৃষি বিষয়ক নানা প্রশিক্ষণ। আর এর নেপথ্যে যার ভূমিকা ভূঞাপুরবাসী চিরদিন মনে রাখবে তিনি হলেন কৃষিবান্ধব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

একজন সফল কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান

আপডেট সময় :

যে কোন এলাকার উন্নয়নের পূর্ব শর্ত যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ঠিক তেমনি দেশের উন্নয়নে- জাতির উন্নয়নে- শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন নি:সন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ লক্ষ্যে পৌঁছা ঠিক তখনি সম্ভব- যখন দেশ হয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার বদৌলতে ২০২৬ সনে আমাদের এ দেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে। আর এই সফলতার পেছনে পুরোটাই কৃষি বিভাগের কৃতিত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিস গত এক বছরে যে সফলতা দেখিয়েছে তার কোন তুলনা হয়না। কৃষিবান্ধব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান ও তার অধীনস্থ সকল কর্মকর্তা ও প্রতিটি কৃষিকর্মীর নিরলস প্রচেষ্টায় এক সময়ের অবহেলিত যমুনা চরাঞ্চলের বালুময় প্রান্তরে যেন সোনা ফলতে শুরু করেছে। চরাঞ্চলের সিংহভাগ জমিই বছরের বেশির ভাগ সময় থাকতো অনাবাদী। আর আজ ফি বছর ধরেই সেখানে আবাদ হয় নানা ফসল ও শাক-সবজি। তন্মধ্যে ধান, পাট, ভুট্ট, বাদাম, তিলসহ অনেক ফসলই নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হয়ে থাকে।
২১৬ দশমিক ৩৮ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই ক্ষুদ্র উপজেলার সিংহভাগ এলাকাই হচ্ছে যমুনা নদী ঘেরা চরাঞ্চল। এতে চর ও ভর মিলিয়ে আবাদি জমির পরিমাণ মাত্র ১৬ হাজার ৪শ হেক্টর। তাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আবাদ হয় বোরো ধান- ৭ হাজার ৩শ ৬০ হেক্টর জমিতে ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আবাদ হয় ৭ হাজার ৩শ ৭০ হেক্টর জমিতে। অনুরূপভাবে আমন ৪ হাজার ৮শ ৯০ ও ৪ হাজার ৯শ ৩০ হেক্টর জমিতে, গম ৭শ ৮০ ও ৭শ ৯০ হেক্টর জমিতে, ভুট্টা ৩ হাজার ২৫ ও ৩ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে, মাসকলাই ১ হাজার ২শ ২০ ও ১ হাজার ২শ চব্বিশ হেক্টর জমিতে, মসুর ৮শ ৫০ ও ৮শ ৫৫ হেক্টর জমিতে, পেঁয়াজ ১শ ৬০ ও ১শ ৭৫ হেক্টর জমিতে, রসুন ৬৫ ও ৭০ হেক্টর জমিতে, আদা ২০ ও ২৫ হেক্টর জমিতে, হলুদ ২০ ও ৫৫ হেক্টর জমিতে, ধনিয়া ৫০ ও ১শ ৯০ হেক্টর জমিতে, মিষ্টি আলু ১শ ৪০ ও ১শ ৪৫ হেক্টর জমিতে, চিনাবাদাম ১ হাজার ৭শ ১০ ও ১ হাজার ৭শ ৩০ হেক্টর জমিতে, সরিষা ২ হাজার ৮শ ৭০ ও ৩ হাজার ২শ ১০ হেক্টর জমিতে, তিল ২ হাজার ১শ ৫ ও ২ হাজার ১শ ১০ হেক্টর জমিতে। আর এই সফলতা বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি অফিসকে যথেষ্ট শ্রম দিতে হয়েছে। এক বছরে বাস্তবায়িত হয়েছে ৫৭৭টি কৃষি প্রদর্শনী, হয়েছে ১৭টি মাঠ দিবস। সেই সাথে ৩শ কৃষক-কৃষানীকে দেয়া হয়েছে কৃষি বিষয়ক নানা প্রশিক্ষণ। আর এর নেপথ্যে যার ভূমিকা ভূঞাপুরবাসী চিরদিন মনে রাখবে তিনি হলেন কৃষিবান্ধব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান।