ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

তিন মাস ধরে সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার বন্ধ

উপকূলীয় এলাকার জেলে ও বাওয়ালিদের মানবেতর জীবন

এস কে সিরাজ, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
  • আপডেট সময় : ৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রজনন মৌসুমের কারণে সুন্দরবন প্রবেশে ৩ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সুন্দরবনের উপরে নির্ভরশীল সাতক্ষীরা উপকূলের প্রায় ২৩ হাজার বনজীবী পরিবার।
এ সব পরিবারের সদস্যরা সাধারণত সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী ও তৎসংলগ্ন সাগরে মাছ, কাঁকড়া ও বনজ সম্পদ আহরণ এবং পর্যটক গাইড হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সুন্দরবনের বনজ সম্পদ রক্ষায় গত ১ জুন থেকে সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে,ইতিমধ্যে ২ মাস পার হলেও এখনও তাদের সুন্দরবনে ঢুকতে আরো এক মাস অপেক্ষা করতে হবে। সুন্দরবনে বনজ সম্পদ আহরণকারী বনজীবী পরিবারের কাছে পৌঁছায়নি তেমন কোন সরকারি সহায়তা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে সুন্দরবন নির্ভরশীল বনজীবী পরিবারগুলো।
ইতিমধ্যে শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে যত সমান্য খাদ্য শষ্য পেলেও তাদের অধিকাংশ জেলে বাওয়ালির ভাগ্যে জুটিনি পর্য্যাপ্ত সরকারী কোন সহায়তা। সে কারনে তারা দীর্ঘ সময় ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে।অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কবে যাবে তারা সুন্দরবনে মাছ কাকড়া ধরতে।
সুন্দরবন পাড়ের দাতিনাখালী গ্রামের কাশেম গাজী বলেন, আমাদের বাপ-দাদা থেকে শুরু করে আমরা সুন্দরবনের ওপর নির্ভর করে মাছ-কাঁকড়া মেরে আয় রোজগার করি। তবে পাশ পারমিট বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের এক প্রকার না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেন্জের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, জুন থেকে আগষ্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার বন্ধ রয়েছে সরকারী ভাবে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা জানান, শ্যামনগর উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে- বাওয়ালীদের নামের তালিকা রয়েছে ২৩ হাজার,ইতিমধ্যে সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত খাদ্য শষ্য তাদের পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তিন মাস ধরে সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার বন্ধ

উপকূলীয় এলাকার জেলে ও বাওয়ালিদের মানবেতর জীবন

আপডেট সময় :

 

জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রজনন মৌসুমের কারণে সুন্দরবন প্রবেশে ৩ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সুন্দরবনের উপরে নির্ভরশীল সাতক্ষীরা উপকূলের প্রায় ২৩ হাজার বনজীবী পরিবার।
এ সব পরিবারের সদস্যরা সাধারণত সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী ও তৎসংলগ্ন সাগরে মাছ, কাঁকড়া ও বনজ সম্পদ আহরণ এবং পর্যটক গাইড হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সুন্দরবনের বনজ সম্পদ রক্ষায় গত ১ জুন থেকে সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে,ইতিমধ্যে ২ মাস পার হলেও এখনও তাদের সুন্দরবনে ঢুকতে আরো এক মাস অপেক্ষা করতে হবে। সুন্দরবনে বনজ সম্পদ আহরণকারী বনজীবী পরিবারের কাছে পৌঁছায়নি তেমন কোন সরকারি সহায়তা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে সুন্দরবন নির্ভরশীল বনজীবী পরিবারগুলো।
ইতিমধ্যে শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে যত সমান্য খাদ্য শষ্য পেলেও তাদের অধিকাংশ জেলে বাওয়ালির ভাগ্যে জুটিনি পর্য্যাপ্ত সরকারী কোন সহায়তা। সে কারনে তারা দীর্ঘ সময় ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে।অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কবে যাবে তারা সুন্দরবনে মাছ কাকড়া ধরতে।
সুন্দরবন পাড়ের দাতিনাখালী গ্রামের কাশেম গাজী বলেন, আমাদের বাপ-দাদা থেকে শুরু করে আমরা সুন্দরবনের ওপর নির্ভর করে মাছ-কাঁকড়া মেরে আয় রোজগার করি। তবে পাশ পারমিট বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের এক প্রকার না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেন্জের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, জুন থেকে আগষ্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার বন্ধ রয়েছে সরকারী ভাবে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা জানান, শ্যামনগর উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে- বাওয়ালীদের নামের তালিকা রয়েছে ২৩ হাজার,ইতিমধ্যে সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত খাদ্য শষ্য তাদের পৌঁছে দেয়া হয়েছে।