ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নওগাঁ জেলা বিএনপির সম্মেলনে বিজয়ী নেতাদের অভিনন্দন

কামরুল হাসান জীবন, নওগাঁ
  • আপডেট সময় : ১১৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন গত সোমবার উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এই সম্মেলনে বিজয়ী নেতাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নওগাঁ জেলার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মাসুদ হাসান তুহিন। তিনি এক শুভেচ্ছা বার্তায় শুধু নির্বাচিত নেতৃত্ব নয়, বরং সম্মেলন সফল ও প্রাণবন্ত করে তুলতে যেসব নেতাকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা, সালাম ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বগুড়ার সংগ্রামী নেতা বাদশা, মোশারফ, খায়রুল বাশার, বাশেদসহ বগুড়ার সকল নেতা এবং বগুড়া আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দের প্রতি। নওগাঁবাসীর পক্ষ থেকেও তিনি তাদের অবদানের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
তুহিন বলেন, “রাজনীতি কোনো ব্যক্তি স্বার্থ বা কেবল নিজের জয়-পরাজয়ের ওপর নির্ভর করে না। নির্বাচন মানে হলো স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকারকে নিশ্চিত করা, কারো ওপর অন্যের মত চাপিয়ে দেওয়া নয়। দলীয় রাজনীতিতে আমরা সবাই জাতীয়তাবাদের একেকজন কর্মী। এখানে প্রতিপক্ষের মতো কারো জয়-পরাজয়ে উল্লাস বা প্রতিহিংসার সুযোগ নেই। আমাদের রাজনীতি হওয়া উচিত জনাব তারেক রহমানের নির্দেশিত রাজনীতি—দেশ ও দেশের মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রাখার রাজনীতি।”
তিনি নওগাঁ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতীয়তাবাদের রাজনীতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়বেন, যেন এ দেশ আর কখনো ফ্যাসিবাদের কবলে না পড়ে। ১৪টি ইউনিটের সকল কাউন্সিলরের ভোটাধিকার প্রয়োগে নেতৃত্ব নির্বাচনের এই প্রক্রিয়াকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাগত জানাই। আমাদের সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত জনাব তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী রাখা।”
মাসুদ হাসান তুহিন দৃঢ় কণ্ঠে জানান, “আমি বিএনপির রাজনীতিতে ছিলাম, আছি, এবং আগামীতেও আরো নিবিড়ভাবে আপনাদের পাশে থাকব। নওগাঁর রাজনীতি, নাগরিক উন্নয়ন, সুশাসন ও সম্প্রীতির নওগাঁ গড়তে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাব। ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা একসাথে চলব, বিজয় আমাদের হবেই।”
তার বক্তব্যে নওগাঁর রাজনৈতিক অঙ্গনে ঐক্য, উদারতা ও সংগ্রামী মনোভাবের স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা গেছে, যা স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নওগাঁ জেলা বিএনপির সম্মেলনে বিজয়ী নেতাদের অভিনন্দন

আপডেট সময় :

নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন গত সোমবার উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এই সম্মেলনে বিজয়ী নেতাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নওগাঁ জেলার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মাসুদ হাসান তুহিন। তিনি এক শুভেচ্ছা বার্তায় শুধু নির্বাচিত নেতৃত্ব নয়, বরং সম্মেলন সফল ও প্রাণবন্ত করে তুলতে যেসব নেতাকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা, সালাম ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বগুড়ার সংগ্রামী নেতা বাদশা, মোশারফ, খায়রুল বাশার, বাশেদসহ বগুড়ার সকল নেতা এবং বগুড়া আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দের প্রতি। নওগাঁবাসীর পক্ষ থেকেও তিনি তাদের অবদানের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
তুহিন বলেন, “রাজনীতি কোনো ব্যক্তি স্বার্থ বা কেবল নিজের জয়-পরাজয়ের ওপর নির্ভর করে না। নির্বাচন মানে হলো স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকারকে নিশ্চিত করা, কারো ওপর অন্যের মত চাপিয়ে দেওয়া নয়। দলীয় রাজনীতিতে আমরা সবাই জাতীয়তাবাদের একেকজন কর্মী। এখানে প্রতিপক্ষের মতো কারো জয়-পরাজয়ে উল্লাস বা প্রতিহিংসার সুযোগ নেই। আমাদের রাজনীতি হওয়া উচিত জনাব তারেক রহমানের নির্দেশিত রাজনীতি—দেশ ও দেশের মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রাখার রাজনীতি।”
তিনি নওগাঁ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতীয়তাবাদের রাজনীতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়বেন, যেন এ দেশ আর কখনো ফ্যাসিবাদের কবলে না পড়ে। ১৪টি ইউনিটের সকল কাউন্সিলরের ভোটাধিকার প্রয়োগে নেতৃত্ব নির্বাচনের এই প্রক্রিয়াকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাগত জানাই। আমাদের সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত জনাব তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী রাখা।”
মাসুদ হাসান তুহিন দৃঢ় কণ্ঠে জানান, “আমি বিএনপির রাজনীতিতে ছিলাম, আছি, এবং আগামীতেও আরো নিবিড়ভাবে আপনাদের পাশে থাকব। নওগাঁর রাজনীতি, নাগরিক উন্নয়ন, সুশাসন ও সম্প্রীতির নওগাঁ গড়তে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাব। ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা একসাথে চলব, বিজয় আমাদের হবেই।”
তার বক্তব্যে নওগাঁর রাজনৈতিক অঙ্গনে ঐক্য, উদারতা ও সংগ্রামী মনোভাবের স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা গেছে, যা স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।