দিরাইয়ে সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম, বাঁধা দেওয়ায় হামলা, মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

- আপডেট সময় : ৮২ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সরকারি প্রকল্পে অনিয়মে বাঁধা দেওয়ায় জামায়াতের ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোক্তার হোসেন নামের এক যুবকের উপর হামলা ঘটনা ঘটে। হামলাকারী খোকন কিবরিয়া (মেম্বার) দিরাই উপজেলা যুবলীগ নেতা। এ বিষয়ে ৯ জুলাই (বুধবার) থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ করার এক মাস পেরিয়ে গেলেও আসামিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অভিযুক্তরা এখনো তাকে বিভিন্ন পন্থায় হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানান তিনি। মোক্তার হোসেন দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের জামায়াতের ওয়ার্ড সেক্রেটারি ও লৌলারচর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগে মোক্তার হোসেন বলেন, বিগত ৩০ জুন (সোমবার) লৌলারচর গ্রাম থেকে শ্যামারচর বাজারে যাওয়ার সরকারি পাঁকা রাস্তাটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয় খোকন কিবরিয়া (মেম্বার) ও মুসলিম তালুকদার গং। এক পর্যায়ে তাদের নেতৃত্বে ১৮ জনের সন্ত্রাসী চক্র হাতে দা, কোদাল, লোহার শাবল ও লাঠি সোঠা নিয়ে রাস্তায় আসে। পরে তারা শাবল দিয়ে উক্ত রাস্তাটি ভেঙে ফেলে ও কোদাল দিয়ে মাটি কাটতে শুরু করে। সরকারি রাস্তা ভাঙতে নিষেধ করায় মুসলিম মিয়া ও খোকন কিবরিয়া (মেম্বার) গং তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমাকে বুকে আঘাত করে। রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারপিট করে, সাথে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমাকে গালের বাম পাশে ঘুষি মেরে একটি দাঁত ভেঙে ফেলে। এই সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। চিকিৎসা শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জের উপস্থিতিতে পুলিশ সুপারকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়। পুলিশ সুপার অফিসার ইনচার্জকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে আমি তাদের রাস্তা ভাঙতে বাঁধা দেওয়ায় আমি ও আমার পরিবারের জীবন আজ বিপর্যস্ত। সন্ত্রাসীরা আজও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুসলিম মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ কটেননি তিনি।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তক্রমে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।