উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত গোলাপগঞ্জের তিনটি গ্রামের মানুষ

- আপডেট সময় : ৩৪ বার পড়া হয়েছে
সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৪নং ওয়ার্ড উত্তর গোয়াসপুর (পাত্তিউরা, খাইয়াটিকর, রুইগড়) ০৩টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে পাত্তিউরা গ্রামটি অবহেলিত অবস্থায় আছে।
সেখানে সুরাম ডাইক সহ গ্রামের ভিতরে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। ২০০৪ সালে বিএনপি জোট সরকারের আমলে ততকালীন এমপি মরহুম মকবুল হোসেন লেচু মিয়ার করা এলজিইডির ৪০০ মিটার রাস্তা আজ পর্যন্ত সংস্কার হয়নি।
২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের ব্যক্তিগত আক্রোশে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
এই রাস্তা দিয়া স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট্ট ছাত্র ছাত্রীরা বর্ষাকালে কাদামাখা রাস্তায় অত্যান্ত কষ্টের মধ্যে যাতায়াত করছে।
এই রাস্তা গ্রামের ও নদীর অপর পাড়ের শত শত মানুষ চলাফেরা করে, বর্ষাকাল আসলে সুরমা ডাইক সহ গ্রামের রাস্তা দিয়ে জনগন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে, রাস্তায় কাদা সহ বড় বড় গর্তের কারণে পায়ে হেটে কিংবা যানবাহনে নিয়ে যাতায়াত করতে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে।
বিগত ১০ বছর যাবত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এক টুকরো ইট বা মাটি দিয়ে রাস্তার গর্তগুলো ভরাট করেনি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। প্রতি বছর নিজস্ব অর্থায়নে ইট কিংবা, পাথর এবং মাটি ভরাট করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করেন এলাকাবাসী।
কিন্তু এলজিইডি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এই রাস্তাটি নির্মাণ ও মেরামতে কোন গুরুত্ব দেয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তাটি এলজিইডির আওতায় বলে বরাদ্ধ দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে এলজিইডি রাস্তাটির দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় নির্মাণে আগ্রহ দেখায় না। গোলাপগঞ্জ উপজেলা ইউএনও বরাবরে অনেকবার লিখিত আবেদন জমা দিলেও কোন গুরুত্ব পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী।
স্থানীয় যুবক খালেদ আহমদ বলেন, প্রতিশ্রুতির শেষ নেই,প্রতিবার নির্বাচন আসলে শুধু প্রতিস্রুতি দেন জন প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন সময় ও নির্বাচন হলে দেখা যায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেয় যে, রাস্তাটি নির্বাচনের আগে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। কিন্তু নির্বাচন শেষে জনপ্রতিনিধির প্রতিশ্রুতি ও শেষ হয়ে যায, রাস্তা আর নির্মাণ হয় না।
যেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের রাস্তাঘাট সংস্কার করা দায়িত্ব, সেখানে জনগন তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আগামীতে এরূপ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগনের কাছে ভোট চাইতে না আসতে বারণ করছেন এলাকাবাসী
প্রতিদিন অনেক লোকজনের যাতায়াত করা হয়। বর্ষাকাল আসলে সুরমা ডাইক দিয়ে জনগন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে, রাস্তায় কাদা সহ বড় বড় গর্তের কারণে পায়ে হেটে কিংবা যানবাহনে নিয়ে যাতায়াত করিতে অনেক বিঘ্ন ঘটে।
এদিকে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে চলাচলের সুবিধার্ধে সুরমা ডাইকে নিজস্ব অর্থায়নে ইট কিংবা, পাথর এবং মাটি ভরাট করে রাস্তাটি চলাচলের কিছুটা উপযোগী করা হয়েছে।
তারা বলেন যেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের রাস্তাঘাট সংস্কার করা প্রয়োজন, সেখানে আমরা জনগনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আগামীতে এরূপ মিথ্যা করুনা নিয়া জনগনের কাছ ভোটের অধিকার নিয়ে আসবেন না। কত গেলা, কত আইলা, রাস্তাটি যেলার অলা।
পাতিউরার এই রাস্তা দ্রুত পাকাকরণ করা প্রয়োজন। এই রাস্তাটি পাকাকরন হলে মানুষের দূর্ভুগ লাগব হবে ও সকল সমস্যাগুলোর সমাধান হতে পারে এবং এই এলাকার গ্রামীণ জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।