পৌর কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় সিংহজানী খাদ্য গুদামে জলাবদ্ধতা

- আপডেট সময় : ১৪১ বার পড়া হয়েছে
জামালপুর পৌর কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় সিংহজানী খাদ্য গুদামে জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না। এলএসডি’র অভ্যন্তরে জমে থাকা পানি, বাউন্ডারির বাইরের ড্রেনের সাথে সংযোগস্থলে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় পানি বের না হয়ে গুদামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে সিংহজানী এলএসডি (১ম শ্রেণি) জামালপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এই স্থাপনায় মোট ৯ টি গুদাম রয়েছে। ৬টি ৫০০ মে.টনের এবং ৩ টি ১০০০ মে.টনের। প্রতিনিয়ত অত্র এলএসডিতে চাল ও গম মজুদ থাকে। সংগ্রহপ্রবণ এলএসডি হওয়ায় মৌসুম ভিত্তিক বোরো ও আমন চাল/ধান ও গম সংগ্রহ করা হয়। প্রায় প্রতিদিন ডিও মূলে/ভি-ইনভয়েস মূলে চাল/গম/ধান প্রেরণ, বিতরণ ও সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় গুদাম চত্ত্বরে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায় এবং মুষলধারে লাগাতার দুইদিন বৃষ্টি হলে গুদাম প্রায় বন্যার রূপ নেয়। ফলে গুদামের খাদ্য শস্যগুলোর ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দেয়। প্রায় সময়েই মুষলধারে বৃষ্টির কারণে এ ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এলএসডি’র অভ্যন্তরে জমে থাকা পানি, বাউন্ডারির বাইরের ড্রেনের সাথে সংযোগস্থলে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় পানি বের না হয়ে গুদামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জামালপুর পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক বরাবর গত ১৯/০৫/২০২৫ খ্রি. তারিখের ১৩.০১.৩৯৩৬.০০৫.৪৫.০৪০.২২-৩০৫ নং স্মারক মুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করা হলেও অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা করেন নাই। একি পত্র গত বছরেও পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল। সরকারের অতি জরুরী একটি খাদ্য গুদামে এ ধরণের জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছে গুদামে আগত সেবা প্রার্থী ও কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ। অথচ পৌরসভায় এই গুদাম হতে প্রতি বছর ৬,২৪,৬৬৩/- টাকার পৌরকর পরিশোধ করা হলেও পৌর কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় জলবদ্ধতা নিরশনের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বিষয়টি পরিচালক, প্রশাসন বিভাগ, খাদ্য অধিদপ্তর, ঢাকা, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ময়মনসিংহ, জেলা প্রশাসক, জামালপুর ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জামালপুর কে অনুলিপির মাধ্যমে জানানো হয়।
সিংহজানী এলএসডি (১ম শ্রেণী), জামালপুর এর সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা জনাব ইসরাত আহম্মেদ জানান গুদামে লোড-আনলোড করার সময়, গুদাম রক্ষণাবেক্ষণের কাজে চরম ঝুঁকির মুখে কাজ করতে হচ্ছে। ময়লা পানিতে সেবা প্রার্থী ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে অনেকেই চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিষয়টি অতিব জরুরী উল্লেখ করে পৌর প্রশাসক বরাবর স্মারক নং- ১৩.০১.৩৯৩৬.০০৫.১৬.০৪০.২২-৬১৬/তারিখ: ০৩/০৮/২০২৫ পত্র প্রেরণ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।