নকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকটে বারান্দাতেই চলছে পাঠদান

- আপডেট সময় : ৩৪ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৭৫ নং নকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের তীব্র সংকটে বারান্দাতেই চলছে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের ৩৬৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র ৪টি কক্ষ। এর মধ্যে একটি কক্ষ প্রাক-প্রাথমিকের জন্য বরাদ্দ থাকায় বাকি শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে কিংবা খোলা বারান্দায় বসেই ক্লাস করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী বারান্দায় বসে রৌদ্রের তীব্র উত্তাপ সহ্য করে ক্লাস করছে। এসময় কেউ কেউ গরমে বিরক্ত হয়ে পড়াশোনায় অনীহা অনীহা প্রকাশ করে। বিদ্যালয়টি পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত হলেও দীর্ঘদিনেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তরু মন্ডল জানায়, “বারান্দায় ক্লাস করলে বাইরে মানুষের হাঁটাহাটি ও যানবাহনের শব্দে পড়ায় মনোযোগ দেওয়া যায় না। রোদে ড্রেস ভিজে যায়। আবার বৃষ্টি হলে বই-খাতা ভিজে যাওয়ার ভয় থাকে।”
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফৌজিয়া আক্তার বলে, “বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ চমকালে খুব ভয় লাগে। দৌড়ে অন্য শ্রেণিকক্ষে ঢুকে যাই।বাতাসে ভিজে যাওয়া আমাদের নিত্যকার ঘটনা।”শিক্ষকদের অসহায়ত্ব বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “শ্রেণিকক্ষের অভাবে বারান্দায় ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছে। গরমে, বৃষ্টিতে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়।”
প্রধান শিক্ষক গ. ম. জাহাঙ্গীর ফারুক বলেন, “প্রাক-প্রাথমিকের জন্য একটি কক্ষ আলাদা রাখা হয়েছে। ফলে বাকি কক্ষে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির পাঠদান চালাতে গিয়ে চরম সংকটে পড়তে হচ্ছে। প্রতিটি শ্রেণির ২টি করে শাখা থাকায় বাধ্য হয়ে বারান্দায় ক্লাস নিতে হয়। স্কুলে জায়গার স্বল্পতা থাকলেও বহুতল ভবন নির্মাণ করা গেলে সংকট দূর করা সম্ভব। আমাদের আরও অন্তত ৮টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন।”
শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, “আগে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ডিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। তবে নতুন বরাদ্দ এলে ৭৫ নং নকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অগ্রাধিকার পাবে।”
পঞ্চগড়ের হাঁটুর উপর প্যান্ট উঠিয়ে ইউএনও ছুটঁছেন অবৈধ ড্রেজার মেশিনের সন্ধানে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় করতোয়া নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠিন ভাবে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃষ্টি ও নদীর পানিকে অপেক্ষা করে হাটুঁর উপর প্যান্ট উঠিয়ে বিশেষ অভিযানে নেমেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় নদীদে রক্ষিত অবৈধ ড্রেজার মেশিনসহ বিভিন্ন মালামাল আটক করেছে তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন৷ গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গনাগছ এলাকায় করতোয়া নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজ শাহীন খসরু।
এসময় আশপাশের বিভিন্ন এলাকাতেও অভিযান পরিচালন করে অবৈধ ভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের ৫টি ড্রেজার মেশিন,পাম্প,পাইপসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেন প্রশাসন। এসময় অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় জড়িত অসাধু চক্রের সদস্যরা৷ পরে মেশিনসহ মালামালগুলো তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং এঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা গেছে।
এ সময় অভিযানে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ, বিজিবি সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গনাগছ সংলগ্ন করতোয়া নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু উত্তোলন করে নদীর ভারসাম্য নষ্ট করছেন,নদীর মধ্যে বালুর নিচে মেশিন পুতে রেখেছেন কিনা সেটাও খোজ নেয়া হচ্ছে। বৈধ ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হলে ৫টি অবৈধ ড্রেজার মেশিনসহ বিভিন্ন মালামাল আটক করা হয়। ব্যাবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চলমান। অভিযান চলমান থাকবে।