ধামরাইয়ে দুইজনকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার ৪

- আপডেট সময় : ৫৬ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের রুপনগর বুড়ির ভিটা স্থানে ব্রীজের ঢালে দুই জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ছিনতাই কারীরা এ ঘটনায় হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন কে মৃত্যু ঘষোনা করে ডাক্তার অপরজন গুরুতর অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধামরাই থানায় পুলিশের প্রেস ব্রফিংএ ঢাকা জেলার সাভার সার্কেল এ এস পি শাহিনুর জানায় গত ২৫/০৮/২০২৫ খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকায় রাজমিস্ত্রী মোঃ ফজলুল হক (৩৫), পিতাঃ তোজাম্মেল হোসেন, মাতা- ফাতেমা বেগম, সাং-গদাই, থানা- কাউনিয়া, জেলা- রংপুর,বর্তমান সাং -দোসাইদ পশ্চিমপাড়া,আশুলিয়া, ঢাকা এবং মফিজুল ইসলাম (৪০), পিতা- মৃত নুরুল হক, মাতা- মুনসুরা বেগম, সাং-দোয়ানী হাজীপুর, মুন্সিপাড়া, থানা- বদরগঞ্জ, জেলা- রংপুর, বর্তমান সাং- আউকপাড়া,আশুলিয়া, ঢাকাদ্বয়কে কয়েকজন ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করিয়া গুরুতর জখম করে।
পরবর্তীতে পথচারী লোকজন তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ফজলুল হককে মৃত ঘোষনা করেন এবং মফিজুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
উক্ত ঘটনাযর সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ সুপার, ঢাকা জেলার নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাভার সার্কেলের সার্বিক সহযোগিতায় ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে সোর্সের দেওয়া তথ্য ও স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় উক্ত হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামী ১। রাকিব হাসান হৃদয় (২৩), পিতা- মোঃ হাসান মোল্লা, সাং- এ ১/৩ উত্তর পাড়া, থানা- সাভার, জেলা- ঢাকা, ২। মজনু শেখ (৪২), পিতা- মহর উদ্দিন মহি, সাং- রামকান্তপুর, থানা- ঘিওর, জেলা- মানিকগঞ্জ, এ/পি- আরাপাড়া মেম্বারের মোড় জব্বারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা- সাভার, জেলা- ঢাকা, ৩। হোসেন আলী (২০), পিতা- আঃ রশিদ, সাং- খেয়াঘাট, থানা ও জেলা- ভোলা, এ/পি- তোতা মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, ছায়াবিথী, সাভার পৌরসভা, থানা- সাভার, জেলা- ঢাকা, ৪। মোঃ শাহীন মিয়া @ নাইম (২২), পিতা- মৃত রমজান মিয়া, সাং-/ দুষ্ট্রবাড়ী, থানা ও জেলা- মানিকগঞ্জদের গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের নিকট হতে ০৩টি ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। আসামীগণ জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামীদের সহযোগী পলাতক আসামী আকাইল আকাশ এর স্ত্রীর সাথে ভিকটিম মোঃ ফজলুল হক পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। উক্ত পরকিয়ার সম্পর্কের জের ধরে ঘটনার দিন ভিকটিম ও তার বন্ধু মফিজুল ইসলামসহ আকাইল আকাশ এর স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে ঘুরতে আসে। উক্ত সংবাদ পেয়ে পলাতক আসামী আকাইল আকাশ ও তার সহযোগী পলাতক অন্যান্য আসামী এবং গ্রেফতারকৃত আসামীগণসহ ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে।