ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসুতে ৪০ ঘণ্টার নাটকীয়তা Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন

মাদ্রাসার লাখ টাকার গাছ সাবাড়, নেই অনুমতি বা নিলামের প্রক্রিয়া

নীলফামারী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে বড়ভিটা পশ্চিম পাড়া হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসা নামে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক লাখ টাকার মূল্যের একটি গাছ গোপনে কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সুপারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান,গত ৮ আগস্ট- শুক্রবার দিনের বেলা প্রকাশ্যে ১টি মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করেন মাদ্রাসা সুপার আবু রায়হান। তবে এ বিষয়ে মাদ্রাসাটির আহ্বায়ক কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত বা সরকারি অনুমতি ছিল না। গাছটি কেটে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে প্রায় লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করেন।
জানা যায়,শুধু গাছ কাটা বিষয় না,তিনি মাদ্রাসার নামে সকল চাষাবাদি জমির ফসলও ভোগ করতেন। তবে ২০২৪-এর জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতনের পর তিনি মাদ্রাসায় নিয়মিত আসেন না। তারপরেও কোনো জবাবদিহি নেই।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসার একজন শিক্ষক জানান, অনিয়ম বিষয়ে জানি না। তবে মাদরাসার পিছনে একটি গাছ ছিল মাদ্রাসার। বিষয়টি “আমরা পরে জেনেছি।” তবে গাছ কাটার কোনো বৈধতা ছিল কি না, তা জানি না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ অবৈধভাবে কাটা প্রসঙ্গে মাদ্রাসা সুপার আবু রায়হান এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এটি প্রতিষ্ঠানের গাছ নয়।
তবে মাদ্রাসার জমির গাছ হয় কি না আপনি এবিষয়ে জমি যাচাই -বাছাই করেছেন কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,না জমি পরিমাপ করি নাই,মাদ্রাসার শিক্ষকরা বলছে এটি প্রতিষ্ঠানের জমির মধ্যে গাছটি নেই।
ওই ইউনিয়নের সচেতন মহল জানান, তার অনেক অনিয়ম। তিনি কোনো অনুমতি না নিয়ে মাদ্রাসার গাছ কাটলেন। এর সঠিক তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
কিছু অভিভাবক জানান, নানাবিধ অনিয়মের কারণে তিনি পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজকর্ম করেন না। এটি একটি ধর্মীয় ও জনসম্পদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, সেখানে গাছ কাটা বা সম্পদ বিক্রি হলে সবার জানার অধিকার আছে। সেটা কাউকে না জানিয়ে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছেন। এজন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ নিয়ে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাদ্রাসার লাখ টাকার গাছ সাবাড়, নেই অনুমতি বা নিলামের প্রক্রিয়া

আপডেট সময় :

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে বড়ভিটা পশ্চিম পাড়া হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসা নামে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক লাখ টাকার মূল্যের একটি গাছ গোপনে কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সুপারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান,গত ৮ আগস্ট- শুক্রবার দিনের বেলা প্রকাশ্যে ১টি মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করেন মাদ্রাসা সুপার আবু রায়হান। তবে এ বিষয়ে মাদ্রাসাটির আহ্বায়ক কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত বা সরকারি অনুমতি ছিল না। গাছটি কেটে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে প্রায় লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করেন।
জানা যায়,শুধু গাছ কাটা বিষয় না,তিনি মাদ্রাসার নামে সকল চাষাবাদি জমির ফসলও ভোগ করতেন। তবে ২০২৪-এর জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতনের পর তিনি মাদ্রাসায় নিয়মিত আসেন না। তারপরেও কোনো জবাবদিহি নেই।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসার একজন শিক্ষক জানান, অনিয়ম বিষয়ে জানি না। তবে মাদরাসার পিছনে একটি গাছ ছিল মাদ্রাসার। বিষয়টি “আমরা পরে জেনেছি।” তবে গাছ কাটার কোনো বৈধতা ছিল কি না, তা জানি না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ অবৈধভাবে কাটা প্রসঙ্গে মাদ্রাসা সুপার আবু রায়হান এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এটি প্রতিষ্ঠানের গাছ নয়।
তবে মাদ্রাসার জমির গাছ হয় কি না আপনি এবিষয়ে জমি যাচাই -বাছাই করেছেন কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,না জমি পরিমাপ করি নাই,মাদ্রাসার শিক্ষকরা বলছে এটি প্রতিষ্ঠানের জমির মধ্যে গাছটি নেই।
ওই ইউনিয়নের সচেতন মহল জানান, তার অনেক অনিয়ম। তিনি কোনো অনুমতি না নিয়ে মাদ্রাসার গাছ কাটলেন। এর সঠিক তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
কিছু অভিভাবক জানান, নানাবিধ অনিয়মের কারণে তিনি পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজকর্ম করেন না। এটি একটি ধর্মীয় ও জনসম্পদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, সেখানে গাছ কাটা বা সম্পদ বিক্রি হলে সবার জানার অধিকার আছে। সেটা কাউকে না জানিয়ে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছেন। এজন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ নিয়ে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।