ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন Logo পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ‘সংবিধানবিরোধী’, পুনর্বহালের দাবি নেপালের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের

শেষ কর্মদিবসে খাজনা-খারিজ ছাড়াই জমি রেজিস্ট্রি করেছেন সাব-রেজিস্ট্রার মুক্তিওয়ারা

মেরাজ হোসেন, নওগাঁ
  • আপডেট সময় : ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সদ্য অবসরে যাওয়া নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মোছা: মুক্তিওয়ারা খাতুনের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য চাওয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সাংবাদিককে মারপিট করার ঘটনা বর্তমানে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ছিলো এই সাব-রেজিস্ট্রারের শেষ কর্মদিবস।
শেষ কর্মদিবসে অতিরিক্ত দায়িত্বের সুবাধে রাণীনগর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারীর যোগসাজসে কয়েক ঘন্টার মধ্যে দুইশতাধিক দলিলে স্বাক্ষর করেন যেগুলোর অধিকাংশ দলিলের সঙ্গে ছিলো না জমির খাজনা কিংবা খারিজের কাগজ। এতে করে নিজে লাখ লাখ টাকা অবৈধ ভাবে আয় করলেও সরকারকে ফাঁকি দেওয়া হয়েছে লাখ টাকা তথ্যঅনুসন্ধানে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
সাব-রেজিস্ট্রার মোছা: মুক্তিওয়ারা খাতুন ছিলেন জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার। তিনি রাণীনগরেও চলতি বছরের মে মাসের ৪তারিখ থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। সেই সুবাদে অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের যোগসাজসে অবৈধ ভাবে দলিলে স্বাক্ষর করতেন। বিশেষ করে গত বুধবার (২০আগস্ট) একটি দলিলের পে-অর্ডারের (চালান কপি) কপি দলিলের সঙ্গে জমা না দিয়ে গোপনে দলিল লেখক বেনাজুল ও অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের যোগসাজসে গোপনে পুনরায় তা ভেঙ্গে প্রায় ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮শত টাকা সংগ্রহ করার বিষয়টি প্রকাশ পেলে হৈচৈ পড়ে যায়। সম্প্রতি এমন ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দলিল লেখক বেনাজুল ইসলাম ও অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের অনিয়ম আর দুর্নীতির লাগাম টানতে উত্তম-মধ্যম উপহার প্রদান করে।
অপরদিকে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসুস্থ্য থাকার সুবাদে জেলা রেজিস্ট্রারকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) স্থানীয় দলিল লেখকরা একদিনের জন্য মুক্তিওয়ারাকে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়ে ওই দিন মধ্যরাত পর্যন্ত অবৈধ ভাবে দলিল সম্পন্ন করার কাজ করেন। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে মর্মে সংবাদ পেয়ে নওগাঁ থেকে সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাব-রেজিস্ট্রারের মদদে কতিপয় সন্ত্রাসীরা ডিবিসি নিউজ-এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি এ.কে সাজুর উপর বর্বর হামলা চালায়। এই ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় হামলাকারী সাব-রেজিস্ট্রার, দলিল লেখক ও দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজপথে নেমে সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে চলেছেন। এমন আলোচিত ও নাক্কারজনক ঘটনার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা নিরব ভ’মিকা পালন করে চলেছেন।
সদ্য বিদায়ী সাব-রেজিস্ট্রার মুক্তিওয়ারা খাতুন মুঠোফোনে জানান তিনি নিয়ম মেনেই শেষ কর্মদিবসে রাণীনগরে দলিল সম্পন্ন করার কাজ করেছেন। পে-অর্ডার ভাঙ্গানোর বিষয়ে তিনি জানান ভুল বশত পে-অর্ডারের চালান হলে পরে সেটি ভাঙ্গার সুযোগ থাকে। আর মহাদেবপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিককে মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে ফোন কেটে দেন।
এই বিষয়ে বক্তব্য নিতে জেলা রেজিস্ট্রার মো: সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তা রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেষ কর্মদিবসে খাজনা-খারিজ ছাড়াই জমি রেজিস্ট্রি করেছেন সাব-রেজিস্ট্রার মুক্তিওয়ারা

আপডেট সময় :

সদ্য অবসরে যাওয়া নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মোছা: মুক্তিওয়ারা খাতুনের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য চাওয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সাংবাদিককে মারপিট করার ঘটনা বর্তমানে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ছিলো এই সাব-রেজিস্ট্রারের শেষ কর্মদিবস।
শেষ কর্মদিবসে অতিরিক্ত দায়িত্বের সুবাধে রাণীনগর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারীর যোগসাজসে কয়েক ঘন্টার মধ্যে দুইশতাধিক দলিলে স্বাক্ষর করেন যেগুলোর অধিকাংশ দলিলের সঙ্গে ছিলো না জমির খাজনা কিংবা খারিজের কাগজ। এতে করে নিজে লাখ লাখ টাকা অবৈধ ভাবে আয় করলেও সরকারকে ফাঁকি দেওয়া হয়েছে লাখ টাকা তথ্যঅনুসন্ধানে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
সাব-রেজিস্ট্রার মোছা: মুক্তিওয়ারা খাতুন ছিলেন জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার। তিনি রাণীনগরেও চলতি বছরের মে মাসের ৪তারিখ থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। সেই সুবাদে অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের যোগসাজসে অবৈধ ভাবে দলিলে স্বাক্ষর করতেন। বিশেষ করে গত বুধবার (২০আগস্ট) একটি দলিলের পে-অর্ডারের (চালান কপি) কপি দলিলের সঙ্গে জমা না দিয়ে গোপনে দলিল লেখক বেনাজুল ও অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের যোগসাজসে গোপনে পুনরায় তা ভেঙ্গে প্রায় ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮শত টাকা সংগ্রহ করার বিষয়টি প্রকাশ পেলে হৈচৈ পড়ে যায়। সম্প্রতি এমন ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দলিল লেখক বেনাজুল ইসলাম ও অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের অনিয়ম আর দুর্নীতির লাগাম টানতে উত্তম-মধ্যম উপহার প্রদান করে।
অপরদিকে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসুস্থ্য থাকার সুবাদে জেলা রেজিস্ট্রারকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) স্থানীয় দলিল লেখকরা একদিনের জন্য মুক্তিওয়ারাকে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়ে ওই দিন মধ্যরাত পর্যন্ত অবৈধ ভাবে দলিল সম্পন্ন করার কাজ করেন। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে মর্মে সংবাদ পেয়ে নওগাঁ থেকে সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাব-রেজিস্ট্রারের মদদে কতিপয় সন্ত্রাসীরা ডিবিসি নিউজ-এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি এ.কে সাজুর উপর বর্বর হামলা চালায়। এই ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় হামলাকারী সাব-রেজিস্ট্রার, দলিল লেখক ও দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজপথে নেমে সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে চলেছেন। এমন আলোচিত ও নাক্কারজনক ঘটনার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা নিরব ভ’মিকা পালন করে চলেছেন।
সদ্য বিদায়ী সাব-রেজিস্ট্রার মুক্তিওয়ারা খাতুন মুঠোফোনে জানান তিনি নিয়ম মেনেই শেষ কর্মদিবসে রাণীনগরে দলিল সম্পন্ন করার কাজ করেছেন। পে-অর্ডার ভাঙ্গানোর বিষয়ে তিনি জানান ভুল বশত পে-অর্ডারের চালান হলে পরে সেটি ভাঙ্গার সুযোগ থাকে। আর মহাদেবপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিককে মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে ফোন কেটে দেন।
এই বিষয়ে বক্তব্য নিতে জেলা রেজিস্ট্রার মো: সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তা রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।