ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দাগনভূঞা যুবদলের আহবায়কের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ

শাখাওয়াত হোসেন টিপু, দাগনভূঞা
  • আপডেট সময় : ২৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কবির আহমেদ ডিপলুর বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন খোন্দকার মো. বেলাল হোসেন নামে এক যুবদল কর্মী।
সে অভিযোগে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সুবাদে দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কবির আহমেদ ডিপলুর সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে, কবির আহম্মদ ডিপলু তার ব্যক্তিগত অসুবিদা দেখিয়ে আমার থেকে ১ লক্ষ টাকা হাওলাত নেয়। কিছুদিন পর আমি সেই টাকা চইতে গেলে আমাকে ১নং সিন্দুরপুর ইউনিয়নের যুবদলের আহ্বায়ক পদ দিবে বলে, আশ্বাস দেয়। এর কিছুদিন পর কমিটি দিবে বলে আমার থেকে আরো ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। পরে আমি আরো ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ দিয়েছি। ২০২৪ সালের ৩রা আগস্ট তারিখে আমাকে আহ্বায়ক করে কমিটি হয়ে গেছে বলে সে আমার কাছে আবার টাকা দাবী করলে আমি তাকে দাগনভূঞা বাজারে গিয়ে তার হাতে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে আসি। সে আমাকে সিন্দুরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক করবে বলে আমার কাছ থেকে সর্বমোট ৩,৫০,০০০/- (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়েছে।
আমি নিরুপায় হয়ে ডিপলুর কাছ থেকে আমার টাকা গুলো ফেরৎ পেতে ও আমার সাথে প্রতারণার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা যুবদলের সভাপতি /সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগের বিষয়ে দাগনভূঞা উপজেলার আহ্বায়ক কবির আহম্মদ ডিপলুর কাছে জানতে চাইলে, তিনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কেন তার কাছ থেকে টাকা চাইব? পদ পদবী দেয়ার আমি তো কেউ না। জেলা যুবদল বিগত সময়ের ত্যাগ তিতিক্ষা বিবেচনা করে কমিটি দিবেন। সে তো যুবদল বা বিএনপির কেউ না। সে কেন পদে আসবে?
মূলত সে একটা পক্ষের সাথে ষড়যন্ত্র করে আমার চরিত্র হনন ও কমিটি বানচাল করার অপচেষ্টা করছে।
ডিপলুর বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে অভিযোগকারী বেলাল হোসেনের এলাকা ১ নং সিন্ধুর পুরের দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মনসুর আহাম্মদ জানান এ ধরনের লেন দেনের কথা আমরা কোনদিন শুনিনি, এটা কবির আহাম্মদ ডিপলুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খোন্দকার বলেন, যদি কেউ পদ দিবে এবং নিবে বলে অর্থের লেনদেন করেন তাহলে দুই জনই সমান অপরাধী, আমরা অভিযোগ তদন্ত করে যদি সত্যতা পাই তাহলে উভয়ের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দাগনভূঞা যুবদলের আহবায়কের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ

আপডেট সময় :

দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কবির আহমেদ ডিপলুর বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন খোন্দকার মো. বেলাল হোসেন নামে এক যুবদল কর্মী।
সে অভিযোগে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সুবাদে দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কবির আহমেদ ডিপলুর সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে, কবির আহম্মদ ডিপলু তার ব্যক্তিগত অসুবিদা দেখিয়ে আমার থেকে ১ লক্ষ টাকা হাওলাত নেয়। কিছুদিন পর আমি সেই টাকা চইতে গেলে আমাকে ১নং সিন্দুরপুর ইউনিয়নের যুবদলের আহ্বায়ক পদ দিবে বলে, আশ্বাস দেয়। এর কিছুদিন পর কমিটি দিবে বলে আমার থেকে আরো ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। পরে আমি আরো ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ দিয়েছি। ২০২৪ সালের ৩রা আগস্ট তারিখে আমাকে আহ্বায়ক করে কমিটি হয়ে গেছে বলে সে আমার কাছে আবার টাকা দাবী করলে আমি তাকে দাগনভূঞা বাজারে গিয়ে তার হাতে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে আসি। সে আমাকে সিন্দুরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক করবে বলে আমার কাছ থেকে সর্বমোট ৩,৫০,০০০/- (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়েছে।
আমি নিরুপায় হয়ে ডিপলুর কাছ থেকে আমার টাকা গুলো ফেরৎ পেতে ও আমার সাথে প্রতারণার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা যুবদলের সভাপতি /সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগের বিষয়ে দাগনভূঞা উপজেলার আহ্বায়ক কবির আহম্মদ ডিপলুর কাছে জানতে চাইলে, তিনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কেন তার কাছ থেকে টাকা চাইব? পদ পদবী দেয়ার আমি তো কেউ না। জেলা যুবদল বিগত সময়ের ত্যাগ তিতিক্ষা বিবেচনা করে কমিটি দিবেন। সে তো যুবদল বা বিএনপির কেউ না। সে কেন পদে আসবে?
মূলত সে একটা পক্ষের সাথে ষড়যন্ত্র করে আমার চরিত্র হনন ও কমিটি বানচাল করার অপচেষ্টা করছে।
ডিপলুর বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে অভিযোগকারী বেলাল হোসেনের এলাকা ১ নং সিন্ধুর পুরের দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মনসুর আহাম্মদ জানান এ ধরনের লেন দেনের কথা আমরা কোনদিন শুনিনি, এটা কবির আহাম্মদ ডিপলুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খোন্দকার বলেন, যদি কেউ পদ দিবে এবং নিবে বলে অর্থের লেনদেন করেন তাহলে দুই জনই সমান অপরাধী, আমরা অভিযোগ তদন্ত করে যদি সত্যতা পাই তাহলে উভয়ের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।