নওগাঁ সরকারি কলেজে অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি

- আপডেট সময় : ৪৯ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের এক ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া কথোপকথনের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদনান সাকিবসহ আরও অনেকে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ ও অন্যত্র বদলি, কলেজের চলমান অব্যবস্থাপনা তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন। কলেজ প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ জানানোর জন্য নিরপেক্ষ অভিযোগ নিষ্পত্তি সেল গঠন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, “গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। শিক্ষার পরিবেশ বলতে কিছুই নেই। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এরপর অধ্যক্ষের কুরুচিপূর্ণ কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল হলে আমরা লজ্জিত হই। আমাদের একটাই দাবি— অধ্যক্ষের পদত্যাগ।”
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ সামসুল হক, উপাধ্যক্ষ এসএম মোজাফফর হোসেন ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মনিরুজ্জামান বিদ্যুৎ দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, “দুই মাস আগে আমরা পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। কিন্তু তখন আমাদের সন্ত্রাসী ও বহিরাগত আখ্যা দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করলে ইনকোর্স পরীক্ষায় নামমাত্র নম্বর দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা অধ্যক্ষের কাছে দাবি জানালে তিনি প্রথমে বলেন, পদত্যাগ করলে অন্য দাবি পূরণের এখতিয়ার থাকবে না। পরে আবার বলেন, কেবল কয়েকজন শিক্ষার্থীর দাবিতে পদত্যাগ করবেন না, বরং সবার মতামত নেবেন।”
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজে দুর্নীতি, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি ও স্বৈরশাসনের কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশ ভেঙে পড়েছে। তাই তারা অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের পদত্যাগের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পরিবেশ ফিরে আসবে বলে আশা করছেন।