ফরিদপুরে চাকরির প্রলোভনে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

- আপডেট সময় : ৩ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মানস বসু (বর্তমানে বোয়ালমারী উপজেলা পিআইও), প্রধান সহকারী শেখ সাদী ও অফিস সহকারী রুবেলের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলহাজ্ব মো. সোবহান মুন্সি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে মানস বসু তাকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে জানান, হেড অফিসে অফিস সহকারী পদে লোক নেওয়া হবে। এজন্য দুইজনের চাকরি নিশ্চিত করতে ৩০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে তিনি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে এবং আরও ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা নগদে পরিশোধ করেন। চাকরিপ্রার্থী হিসেবে নাম দেন সাব্বির হোসেন লিমন ও মোসলেউদ্দিন ইমরান।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে জানানো হয়, অধিক অর্থের বিনিময়ে অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কুদরত এ খোদাকে অবহিত করলে, তার উপস্থিতিতে অভিযুক্তদের টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। মানস বসু তিনটি চেক প্রদান করলেও ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তা ফেরত আসে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস বসু,শেখ সাদী, রুবেল তাদের সাথে যোগাযোগ করে কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, আংশিক অর্থ ফেরত পেলেও এখনো প্রায় ২২ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী এই টাকার দায়ভার স্বীকার করেছেন প্রধান সহকারী শেখ সাদী। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন এবং তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার ভবানীপুর এলাকায়।
ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসকের নিকট শেখ সাদীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবশিষ্ট টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।