ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

- আপডেট সময় : ০২:৪০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪ ২৪৮ বার পড়া হয়েছে
বিগত ঈদুল ফিতরে ৩০৪ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত এবং ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল
ঈদুল ফিতর আসন্ন। ঈদকে সামনে রেখে পুরাতন লক্কড়-ঝক্কড় ফিটনেসবিহীন গাড়ি রঙ করে রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিবছর এটি পরিচিত দৃশ্য।
অনেক ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ চালকের হাতে পুরাতন ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি যাত্রীসেবার পরিবর্তে দুর্ঘটনায় পড়ছে। তাতে প্রাণ যাচ্ছে শত শত মানুষের। বিশেষ করে ঈদ যাত্রা সড়ক-মহাসড়ক মৃত্যুর উপত্যকায় পরিণত হয়।
সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে ঈদযাত্রায় ফিটনেস বিহিন বাস ও লঞ্চ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সোমবার (১ এপ্রিল) দেশের সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মনিটরিংয়ের দুর্বলতা ও কিছু অসাধু পরিবহন মালিক বেশি মুনাফার আশায় ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক ও লঞ্চ ঈদযাত্রায় যাত্রী পরিবহনে নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। কতিপয় অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের ম্যানেজ করে এসব যানবাহন প্রতিবছর ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করে থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে মোজ্জাম্মেল হক চৌধুরী দাবি করেন, বাস ও লঞ্চে ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন কম ভাড়ায় যাতায়াত করতে এসব ফিটনেসবিহীন বাস, লঞ্চ ও পন্যবাহী যানবাহনে আতায়ত করতে বাধ্য হন।
সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কাগুজে বাঘের মত হুশিয়ারী উচ্চারণ করলেও প্রকৃতপক্ষে ঈদে এসব যানবাহন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার কারণে প্রতি ঈদে সড়ক দুঘটনায় শত শত মানুষের প্রাণ হারাচ্ছে। বিগত ঈদুল ফিতরে ৩০৪ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত এবং ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল।
বিআরটিএ তরফে সারাদেশে ৫ লাখ ফিটনেস যানবাহনের তথ্য কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। নৌ-পথে কয়েক হাজার ফিটনেস বিহিন নৌযান ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের বহরে যোগ দেয়। বিআরটিএ ও বিআইডাব্লিউটিএ এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে প্রতি ঈদে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এবারের ঈদযাত্রা বহরে এমন যানবাহন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে যাত্রী অধিকার সুরক্ষায় নিয়োজিত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।