আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এখন টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২আসনে অর্থাৎ (নাচোল,গোমস্তাপুর,ভোলাহাট) তিন উপজেলায় ভোটের মাঠ ইতোমধ্যেই জমে উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত নাম বিএনপির জনপ্রিয় নেতা সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলন। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি বিএনপির অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং একজন অভিভাবকের মতোই পাশে থেকে কাজ করছেন। মানুষের দুঃসময়ে তিনি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আন্দোলন-সংগ্রামের সময়ে কর্মী-সমর্থককদের রক্ষা করেছেন। ফলে বর্তমান সময়েও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জনগণ তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান।
রাজনৈতিক প্রতিকূল সময়েও তিনি ছিলেন অবিচল; রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, মামলা-হামলা ও নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলন বিএনপির হয়ে মাঠে সক্রিয় থেকেছেন। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমলে বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন দমন-পীড়নের শিকার হন, তখনও তিনি সাহসিকতার সাথে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার এই ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস তাকে শুধু কর্মী-সমর্থকদের কাছেই নয়, সাধারণ ভোটারদের কাছেও একজন গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
নির্বাচনী মাঠে সরব উপস্থিতি: আসন্ন নির্বাচনের আগে থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের গ্রামগঞ্জে সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলনের সমর্থকদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পোস্টার, ব্যানার, গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভায় তার নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল কর্মীরা তাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হচ্ছে। মাঠের কর্মীরা বিশ্বাস করেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিজয় নিশ্চিত করবেন সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলন । প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ: এ আসনে জামাত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও সক্রিয় রয়েছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং অতীতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপির তরফ থেকে সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলন সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড : তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন (নাচোল ,গোমস্তাপুর ,ভোলাহাট ) এর সাবেক এমপি মঞ্জুর হোসেনের ভাতিজা সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলন I
তার চাঁচা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা কালীন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হাত ধরে মরহুম মঞ্জুর হোসেন ১৯৭৯ সাল থেকে পাঁচ বারের সাবেক সফল সংসদ সদস্য ছিলেন ও মন্ত্রীও ছিলেন । তিনি নাচোল ,গোমস্তাপুর ,ভোলাহাট স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সড়কের উন্নয়ন কৃষির উন্নয়ন গভীর নলকূপ ,ডিপ এর ব্যবস্থা করেন জনগণের উন্নয়ন ও জনগণের পাশে থেকে তার সুযোগ্য ভাতিজা সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রায় প্রতিটা প্রোগ্রামে ঢাকায় শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা অপরিসীম তার আশা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ত্যাগিদের মূল্যায়ন হবে কোন সন্দেহ নাই বলেন তিনি। বিএনপির দুর্দিনে সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলন আন্দোলন সংগ্রামে থাকার কারণে এবং তার পরিবার রাজনৈতিক পরিবার হওয়ার দল তাকে মূল্যায়ন করবে বলে তিনি আশা করছেন।
স্থানীয় জনমত: তিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এমন একজন জনপ্রতিনিধি চান যিনি সত্যিকারের অর্থে এলাকাবাসীর জন্য কাজ করবেন। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, অতীতে সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলনের উদ্যোগে তারা নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন। তরুণ ভোটাররা মনে করেন, অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তার রয়েছে নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা। নারী ভোটারদের মতে, তিনি সবসময় সমাজে নারী শিক্ষা ও উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন।
সম্ভাব্য নির্বাচনী সমীকরণ : রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ – ২ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এ আসনে বিএনপি শক্তিশালীভাবে মাঠে থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হাড্ডাহাড্ডি হবে। সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলনের জনপ্রিয়তা, দলের প্রতি তার ত্যাগ ও অবদান এবং জনগণের প্রত্যাশার কারণে তিনি এই আসনে বিএনপির প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ভোটের মাঠে সবচেয়ে আলোচিত নাম সৈয়দ আতাউর হোসেন মিলন । তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, তৃণমূলের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে তিনি হবেন জনগণের প্রধান ভরসা—এমনটাই আশা করছেন তার কর্মী-সমর্থক ও এলাকাবাসী।