‘নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আমিই শ্রেষ্ঠ’
- আপডেট সময় : ২১৪ বার পড়া হয়েছে
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, সাবেক ছাত্রদল, বিএনপি নেত্রী এবং নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার পারভীর কাউসার মুন্নী বলেন, এ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সব সুচকে আমিই শ্রেষ্ঠ। সবদিক বিবেচনায় মনোনয়ন পাওয়ার দাবীদার আমিই। কোম্পানীগঞ্জ সরকারী কলেজে ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে আইন পেশায় নিয়োজিত, দলীয় সকল কর্মসুচী ও সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম।
গত সোমবার রাতে তাঁর গ্রামের বাড়ী চরকাঁকড়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মুন্নী তাঁর ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আইন পেশাসহ নানা অঙ্গনে জড়িত থেকে কর্মকান্ডের বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করেন। পরবর্তীতে গণমাধ্যম কর্মীদের নানা প্রশ্নে জবাব দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মুন্নী বলেন, মুখে অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু দায়িত্বশীল ব্যাক্তিগণ দলীয় প্রামানিক কাগজ ব্যতীত নিজকে “সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত” নেতা দাবী করা কতটা সঠিক তা আপনারাও ভালো বলতে পারবেন। দলের কেন্দ্রীয় সহ পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ নিজকে সাংগঠনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত দাবী করে এলাকায় চষে বেড়ানোর পর এখানে আধিপত্য নিয়ে নিজ দলীয় নেতা তোতা চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা এরশাদ মাঝি হত্যা, দলীয় বিভাজন বৃদ্ধি, দৃশ্যমান কয়েকটি গ্রুপ, বালু-ঘাট দখল, চাঁদাবাজি, নানা অনিয়ম ও বিলুপ্ত করার পর নতুন করে কোন বিএনপির কমিটি ঘোষণা না দেয়া বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাবলীন ভাষায় বলেন, এসব ঘটনা সবই সত্যি। কিন্তু আমি এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে বলতে চাই, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় অর্জনে এসব ঘটনা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু উর্ধ্বতন সিনিয়র নেতৃবৃন্দের উচিত, সময় ক্ষেপন না করে এসব মিটিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করা। তিনি কোন গ্রুপিংয়ে নেই বলেই, তার কোন নেতিবাচক সমালোচনা নেই বলে তিনি দাবী করেন।
দলের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় এ আসনে দলীয় কর্মকান্ড ঝিমিয়ে পড়েছে বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রুপিং এখনও সবার কাছে দৃশ্যমান। এখন কমিটি ঘোষণা করলে গ্রুপিং হয়তো আরও চাঙ্গা হতে পারে। তবে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশমতে ঐক্যবদ্ধ না হলে নির্বাচনী ফলাফলে আমাদের হয়তো কঠিন খেশারত দিতে হবে।
নিজের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির শত ভাগ আশা পোষণ করলেও তিনি বলেন, দেখুন আবেদ সাহেব গত ১৭ বছরে এখানে তেমন দলীয় কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন না। ফখরুল সাহেব অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এখানকার নির্বাচনী পরিবেশটা অন্য প্রতিযোগিদের জন্য একটু কঠিন করে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে আমি সম্পুর্ণ ব্যাতিক্রম। আমার সাথে দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকরা রয়েছেন। ২০১৯ সালে করোনাকালীন সময় থেকে অদ্যাবদি দলীয় সকল কর্মকান্ডসহ জনগণকে ত্রাণ সামগ্রী, ঈদ উপহার, আইনী সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। আমার স্বামী এডভোকেট নুরুল আলমও আইন পেশায় রয়েছেন, তারাও বিএনপির পরিবারে অন্তভুক্ত রয়েছেন।
সর্বশেষ তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, এখানে দলীয় মনোনয়ন যিনিই “ধানের শীষ প্রতিক পাবেন, তাকে জয়ী করার জন্য আমি আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাবো। তিনি মনোনয়ন পেলে অন্যরা তার পক্ষে কাজ করবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি দল বিবেচনা করবে। অন্যকরা আমার পক্ষে থাকবেন কি থাকবেন না তা একান্তই দল ও তাদের বিষয়।





















