ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

অতি বৃষ্টিতে লালপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ভাটা

লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় : ৫৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অতি বৃষ্টির কারণে এবছর নাটোরের লালপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ পিছিয়ে পড়েছে। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শুরুতেই চাষীরা প্রচুর পরিমানে শীতকালীন সবজি পাইকারী বাজার সহ বিভিন্ন হাটে বাজারে নিয়ে আসতেন। অথচ এবার সবজির পাইকারি বাজারে সামান্য শিম ও বরবটি ছাড়া অন্য কোন শীতকালীন সবজির দেখা মেলেনি। চাষিরা বলছেন, অতিবৃষ্টিতে বার বার সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়া চরাঞ্চলে বন্যার কারণে আগাম সবজি চাষ সম্ভব হয়নি। এদিকে শীতকালীন সবজি বাজারে না আসায় শাক সবজির দাম আকাশ ছোয়া।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে শিম, বরবটি, বেগুন, লাউ, ফুল কপি, বাঁধা কপি, মুলা, টমেটো, পালং শাক, লালশাক ইত্যাদি শীতকালীন শাক সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৫০ হেক্টর জমিতে শাক সবজি আবাদ হয়েছে। অন্যান্য বছর অক্টোবর মাসেই অনেক চাষী সবজি বাজার জাত করেছেন। অথচ এবছর শাক সবজি বাজারজাত করা তো দুরের কথা অনেকে বৃষ্টির পানির কারণে সবজি চাষ শুরুই করতে পারেননি।
উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৯ দিন। এতে ৬০ ইঞ্চি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। অথচ গত বছর এই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৮ দিন। বৃষ্টির পরিমান ছিল ৫১.৬৬ ইঞ্চি।
শ্রীরামগাড়ী গ্রামের সবজি চাষী আব্দুর করিম, রবিউল ইসলাম সহ অন্যান্যরা বলেন, ‘ আগাম সবজি চাষ তো দুরের কথা। বৃষ্টির কারণে সবজির আবাদ শুরুই করতে পারিনি। দুই দিন একটু রোদে জমি শুকালে পরে আবার বৃষ্টির পানিতে যা তাই হয়ে যায়।’ তারা জানান, হাতে গোনা দু’চারজন চাষী শিম ও বরবটির আবাদ করেছেন।
রামকান্তপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে দেরিতে শিম চাষ করেছি। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শিম ক্ষেতে পানি জমে আছে।’
বৃহস্পতিবার উপজেলার সবচেয়ে বড় সবজির আড়ৎ আবেদ মোড়ে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, অন্যান্য বছরের মত শীতকালীন সবজি এবছর অড়তে আসছে না। সামান্য কিছু শিম ও বরবটি আসছে। তারা জানান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ২০/২৫ কেজি শিম ও ১০/১২ কেজি বরবটি কিনেছেন। আড়তে প্রতিকেজি শিম ১৩০ টাকা ও বরবটি ৮০/৯০ টাকা।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার প্রীতম কুমার হোড় জানান, অতি বৃষ্টির কারণে আগাম শীতকালীন সবজিচাষ অশানুরুপ হয়নি। তবে চাষীদের উৎপাদিত শিম, বরবটি ও লাউ বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অতি বৃষ্টিতে লালপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ভাটা

আপডেট সময় :

অতি বৃষ্টির কারণে এবছর নাটোরের লালপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ পিছিয়ে পড়েছে। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শুরুতেই চাষীরা প্রচুর পরিমানে শীতকালীন সবজি পাইকারী বাজার সহ বিভিন্ন হাটে বাজারে নিয়ে আসতেন। অথচ এবার সবজির পাইকারি বাজারে সামান্য শিম ও বরবটি ছাড়া অন্য কোন শীতকালীন সবজির দেখা মেলেনি। চাষিরা বলছেন, অতিবৃষ্টিতে বার বার সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়া চরাঞ্চলে বন্যার কারণে আগাম সবজি চাষ সম্ভব হয়নি। এদিকে শীতকালীন সবজি বাজারে না আসায় শাক সবজির দাম আকাশ ছোয়া।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে শিম, বরবটি, বেগুন, লাউ, ফুল কপি, বাঁধা কপি, মুলা, টমেটো, পালং শাক, লালশাক ইত্যাদি শীতকালীন শাক সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৫০ হেক্টর জমিতে শাক সবজি আবাদ হয়েছে। অন্যান্য বছর অক্টোবর মাসেই অনেক চাষী সবজি বাজার জাত করেছেন। অথচ এবছর শাক সবজি বাজারজাত করা তো দুরের কথা অনেকে বৃষ্টির পানির কারণে সবজি চাষ শুরুই করতে পারেননি।
উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৯ দিন। এতে ৬০ ইঞ্চি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। অথচ গত বছর এই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৮ দিন। বৃষ্টির পরিমান ছিল ৫১.৬৬ ইঞ্চি।
শ্রীরামগাড়ী গ্রামের সবজি চাষী আব্দুর করিম, রবিউল ইসলাম সহ অন্যান্যরা বলেন, ‘ আগাম সবজি চাষ তো দুরের কথা। বৃষ্টির কারণে সবজির আবাদ শুরুই করতে পারিনি। দুই দিন একটু রোদে জমি শুকালে পরে আবার বৃষ্টির পানিতে যা তাই হয়ে যায়।’ তারা জানান, হাতে গোনা দু’চারজন চাষী শিম ও বরবটির আবাদ করেছেন।
রামকান্তপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে দেরিতে শিম চাষ করেছি। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শিম ক্ষেতে পানি জমে আছে।’
বৃহস্পতিবার উপজেলার সবচেয়ে বড় সবজির আড়ৎ আবেদ মোড়ে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, অন্যান্য বছরের মত শীতকালীন সবজি এবছর অড়তে আসছে না। সামান্য কিছু শিম ও বরবটি আসছে। তারা জানান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ২০/২৫ কেজি শিম ও ১০/১২ কেজি বরবটি কিনেছেন। আড়তে প্রতিকেজি শিম ১৩০ টাকা ও বরবটি ৮০/৯০ টাকা।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার প্রীতম কুমার হোড় জানান, অতি বৃষ্টির কারণে আগাম শীতকালীন সবজিচাষ অশানুরুপ হয়নি। তবে চাষীদের উৎপাদিত শিম, বরবটি ও লাউ বাজারে উঠতে শুরু করেছে।