ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জে পিতৃত্বের দাবি নিয়ে সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘুরছে রিতা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৭১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রেমের সম্পর্ক থেকে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের পর অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কয়ারখালি গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার কন্যা রিতা আক্তার ওরফে খাদিজা(১৬)। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশি বখাটে সৌরভ আলী ফারসি(২০) তার সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। একপর্যায়ে সে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে ফারসি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এমন কি রিতার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করে। বর্তমানে দুই মাসের কন্যাসন্তানকে কোলে নিয়ে পিতৃত্বের দাবি নিয়ে ঘুরছে রিতা আক্তার ওরফে খাদিজা। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। উপরন্তু আসামির পরিবারের লোকজন রিতার পরিবারকে নানারকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
রিতা আক্তার জানান, সে ঢাকায় একটি বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। মাঝে-মধ্যে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসতেন। ইতিমধ্যে প্রতিবেশি সৌরভ আলী ফারসির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক রাতে বাড়ির লোকজনদের অনুপস্থিতিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে সৌরভ। এরপর সুযোগ পেলেই সৌরভ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো। এরমধ্যে সে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি সৌরভকে জানালে সে রিতাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এমন কি তার সঙ্গে সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করে। রিতার মা রুনা আক্তার জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে সৌরভের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনন্যোপায় হয়ে রুনা আক্তার বাদী হয়ে গত ১ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় সৌরভের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ভিকটিম রিতা আক্তার জানান, বর্তমানে দুই মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে তার পিতৃত্বের দাবিতে তিনি দ্বারে দ্বরে ঘুরছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রবিউল হাসান জানান, আসামিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কিশোরগঞ্জে পিতৃত্বের দাবি নিয়ে সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘুরছে রিতা

আপডেট সময় :

প্রেমের সম্পর্ক থেকে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের পর অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কয়ারখালি গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার কন্যা রিতা আক্তার ওরফে খাদিজা(১৬)। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশি বখাটে সৌরভ আলী ফারসি(২০) তার সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। একপর্যায়ে সে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে ফারসি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এমন কি রিতার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করে। বর্তমানে দুই মাসের কন্যাসন্তানকে কোলে নিয়ে পিতৃত্বের দাবি নিয়ে ঘুরছে রিতা আক্তার ওরফে খাদিজা। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। উপরন্তু আসামির পরিবারের লোকজন রিতার পরিবারকে নানারকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
রিতা আক্তার জানান, সে ঢাকায় একটি বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। মাঝে-মধ্যে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসতেন। ইতিমধ্যে প্রতিবেশি সৌরভ আলী ফারসির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক রাতে বাড়ির লোকজনদের অনুপস্থিতিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে সৌরভ। এরপর সুযোগ পেলেই সৌরভ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো। এরমধ্যে সে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি সৌরভকে জানালে সে রিতাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এমন কি তার সঙ্গে সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করে। রিতার মা রুনা আক্তার জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে সৌরভের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনন্যোপায় হয়ে রুনা আক্তার বাদী হয়ে গত ১ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় সৌরভের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ভিকটিম রিতা আক্তার জানান, বর্তমানে দুই মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে তার পিতৃত্বের দাবিতে তিনি দ্বারে দ্বরে ঘুরছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রবিউল হাসান জানান, আসামিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।