ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

কেশবপুরের হরিহর নদীসহ ৬টি নদীর খনন কাজের উদ্ধোধন

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩০ বার পড়া হয়েছে

Oplus_0

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলাসহ ৫টি উপজেলার মরনফাঁদ ভবদহ অঞ্চলের স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিসনের লক্ষে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে হরিহর, আপারভদ্রা, হরিতেলিগাতি, টেকা ও শ্রী নদীসহ ৬টি নদীর ৮১.৫০০ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজের উদ্ধোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার যশোরের মরণ ফাঁদ ভবদহ সুইচ গেটের পাশে ২৩ ভেন্ট এলাকায় আপার ভদ্রা নদীতে এসকেভেটর দিয়ে খনন কাজের উদ্ধোধন করেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম। এ উপলক্ষে সূইচ গেটের পাশে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান মোবাইল ভার্চুয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে সকলের সাথে মতবিনিময়ের করেন। পরিবেশ উপদেষ্টার মতবিনিময়ের পর আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেনা বাহিনীর লেঃ কর্নেল মাহামুদুর রশীদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক বিএম আব্দুল মোমিন, প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর গাজী নাজমুল হাসান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুন, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ সালাউদ্দীন দিপু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাশন ব্রিগেটের অধিন ভবদহ অঞ্চলের ৬টি নদীর খনন কাজ করা হবে। এ লক্ষে গত ২২/০৯/২৫ তারিখে ঢাকার পানি ভবনে বাপাউবো ও বাংলাদেশ সেনা বহিনীর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্মাক্ষরিত হয়। পাউবোর পক্ষে খুলনার তত্ববধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক বিএম আব্দুল মোমিন ও সেনা বাহিনীর পক্ষে ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাগন ব্রিগেটের প্রকল্প পরিচালক লেঃ কর্নেল মামুনুর রশিদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় পাউবোর মহাপরিচালক ও সেনা বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যশোর জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে ভবদহের অবস্থান। চার দশক ধরে এখানকার ৩৩০ কিলোমিটার এলাকার ৩ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছেন। প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা দীর্ঘস্থায়ী একটি সমাধান। সেটা সেনাবাহিনীর অধীনে কাজটি হচ্ছে বলে শতভাগ সাফল্য অর্জন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেশবপুরের হরিহর নদীসহ ৬টি নদীর খনন কাজের উদ্ধোধন

আপডেট সময় :

যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলাসহ ৫টি উপজেলার মরনফাঁদ ভবদহ অঞ্চলের স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিসনের লক্ষে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে হরিহর, আপারভদ্রা, হরিতেলিগাতি, টেকা ও শ্রী নদীসহ ৬টি নদীর ৮১.৫০০ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজের উদ্ধোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার যশোরের মরণ ফাঁদ ভবদহ সুইচ গেটের পাশে ২৩ ভেন্ট এলাকায় আপার ভদ্রা নদীতে এসকেভেটর দিয়ে খনন কাজের উদ্ধোধন করেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম। এ উপলক্ষে সূইচ গেটের পাশে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান মোবাইল ভার্চুয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে সকলের সাথে মতবিনিময়ের করেন। পরিবেশ উপদেষ্টার মতবিনিময়ের পর আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেনা বাহিনীর লেঃ কর্নেল মাহামুদুর রশীদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক বিএম আব্দুল মোমিন, প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর গাজী নাজমুল হাসান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুন, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ সালাউদ্দীন দিপু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাশন ব্রিগেটের অধিন ভবদহ অঞ্চলের ৬টি নদীর খনন কাজ করা হবে। এ লক্ষে গত ২২/০৯/২৫ তারিখে ঢাকার পানি ভবনে বাপাউবো ও বাংলাদেশ সেনা বহিনীর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্মাক্ষরিত হয়। পাউবোর পক্ষে খুলনার তত্ববধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক বিএম আব্দুল মোমিন ও সেনা বাহিনীর পক্ষে ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাগন ব্রিগেটের প্রকল্প পরিচালক লেঃ কর্নেল মামুনুর রশিদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় পাউবোর মহাপরিচালক ও সেনা বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যশোর জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে ভবদহের অবস্থান। চার দশক ধরে এখানকার ৩৩০ কিলোমিটার এলাকার ৩ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছেন। প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা দীর্ঘস্থায়ী একটি সমাধান। সেটা সেনাবাহিনীর অধীনে কাজটি হচ্ছে বলে শতভাগ সাফল্য অর্জন হবে।