জমি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা না পাওয়ায় মারধর
- আপডেট সময় : ১৫ বার পড়া হয়েছে
module:1facing:0; ?hw-remosaic: 0; ?touch: (-1.0, -1.0); ?modeInfo: ; ?sceneMode: Auto; ?cct_value: 5468; ?AI_Scene: (16, -1); ?aec_lux: 241.52536; ?hist255: 0.0; ?hist252~255: 0.0; ?hist0~15: 0.0; ?module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 5468; AI_Scene: (16, -1); aec_lux: 241.52536; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;
রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের কোনাইলে জমি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে চাঁদার টাকা না পাওয়ায় বাদীকে মারপিট ও তার জমিতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছে বিবাদী ১ নং আাসমী মো. আ. কাইয়ুম মল্লিক।চাঁদা দাবী ও মারপিট করায় সদর বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বাদী মো. মুরাদ হোসেন।মুরাদ হোসেন কোনাইল গ্রামের আব্দুর রব মল্লিকের ছেলে।৪৪৭,৩২৩,৩২৪,৩০৭,৩৮৫,৩৮৭,৫০৬ এই ধারায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। এ মামলার আসামীরা হলেন কোনাইল গ্রামের মৃত হাসমত মল্লিকের ছেলে মো. আ. কাইয়ুম মল্লিক, ২ নং আসামী একই গ্রামের মৃত আকবর মল্লিকের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম,৩নং আসামী মোস্তফা মল্লিকের ছেলে নুর মোহাম্মদ আকাশ, ও ৪ং আসামী আব্দুল লতিফ মল্লিকের ছেলে মো. মাহাবুব অরিন। মামলায় উল্লেখ করা হয়,বাদী মো. নুর মোহাম্মদ একজন জমি (ক্রয় বিক্রয়) ব্যবসায়ী। কয়েক বছর ধরে তিনি জমির ব্যবসা করে আসছিলেন।কিন্তু আসামীরা এলাকার সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক।বাদী ও বিবাদী উভয়ই একই গ্রামের বাসিন্দা।দীর্ঘ দিন ধরে বাদী মো. মুরাদ হোসেন জমির ব্যবসা করার কারনে, বিবাদীরা তাকে এই এলাকায় ব্যবসা করতে হলে তাদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে বলে জানায়। গত শুক্রবার সকাল দশটার দিকে চাদার টাকা না পাওয়ায় আবার বাদীর কাছে টাকা চায়,বলে তুই যেখানে জমির ব্যবসা করবি সেখান থেকেই চাদার টাকা দিতে হবে।টাকা না দিলে জমির ব্যবসা করতে দেওয়া হবেনা বলে জানায়।গত দুই মাস আগে এসএ ৩৪৪ খতিয়ান ভুক্তবিএস ৫৭২, ৫৭৩,৫৭৪,৬৬০ ও ৬৫৯ দাগে ৪৪ শতাংশ জমি বাদীর স্ত্রী বিথী বেগমের নামে বায়না সুত্রে ক্রয় করেন জমির মালিক আকলিমা খাতুনের কাছ থেকে। এই জমিটি বায়না নামা করার পরে শুক্রবার সকাল দশটার দিকে বিবাদী আবার বাদীর কাছে টাকা চায়।এসময় সে টাকা কেন দেবনা বল্লে বিবাদীরা বলে টাকা চেয়েছিলাম দিস নাই। টাকা নাদিয়ে আবার জমি কিনেছিস তাই আজ তোকে ২ লক্ষ টাকা দিবি। টাকা না দিলে তোর জমি আমরা দখল করে নিব।এসময় বাদী কথা বল্লে তাকে মারপিট,থাপ্পর ,কিলঘুষি,লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীল ফোলা যখম হয়।এসময় বিবাদী ১ নং আসামী মো. আ. কাইয়ুম মল্লিক বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চাপিয়া ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে।পরে এলাকার লোকজন এসে তার হাত থেকে বাদীকে বাচায়।আসামী পক্ষ যাবার সময় বলে ২ লক্ষ টাকা দিস নাই।টাকা না পেলে তোর জমি আমরা দখলে নিব এবং তোকে মেরে লাশ গিম করে ফেলবো বলে চলে যায়।মারপিট করার পর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গীয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে।বাদী থানায় গীয়ে মামলা করতে গেলে থানা কতৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়েরে পরামর্শ দেন।এবঘটনার অনেক প্রতক্ষ সাক্ষী রয়েছে।তাদের এ ঘটনায় মতো মাংসার কথা থাকলেও আসামীরা পরে আর এগিয়ে না আসায় আদালতে মামলা দায়ের করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।এই জমিটি ক্রয় বিক্রয় নিষেধ লেখা সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়।
কোনাইল গ্রামের আ. হামিদ, বলেন আমরা জানিনা এই জমিটি কে কিনেছে।তবে এই জমির মূল মালিক পরিবর্তন হয়ে এখন জমির মালিক আকলিমা খাতুন।এই জমি বিবাদীদের কিনা জানতে চাইলে একই গ্রামের আ. রব ও মো. শহীদ মল্লিক জানান, পূর্বের মালিক তাহের উদ্দিন মুন্সী ছিলেন।তার পর তার ছেলে মোজাম্মেল হক মালিকমহন।পরে তা কাছ থেকে ক্রয় সুত্রে মালিক হন আমিরুল ইসলাম।পরে শুনেছি মুরাদ জমিটি কিনেছে।
বাদী মো. মুরাদ হেসেন,বলেন,আমি কয়েক বছর ধরে জমির ব্যবসা করছি।গত কিছুদিন আগেও আমি আমার স্ত্রী বিথী বেগমের নামে বায়না সুত্রে ৪৪ শতাংশের একটি জমি ক্রয় করেছি।কিন্তু স্থানীয় ১ নং আসামী মো. আ. কাইয়ুম মল্লিক সহ বেশ কয়েকজন আমার কাছে চাঁদর টাকা দাবী করে।চাদার টাকা দিতে না চাইলে আসামীরা আমাকে মারধর করে।আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে।পরে আমার বাড়িঘরও ভাংচুর করে।আমি এই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিবাদী মামলার ১ নং আসামী মো. আ. কাইয়ুম জানান,যেখানে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে সেখানে আমাদের জমি রয়েছে।সে কারনে আমাদের জমিটি বেদখল হওয়ার কারনে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছি।এই জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

















