ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

পুরান ঢাকায় কলেজ শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা

জবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসায় ডেকে নিয়ে সজিব (১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বংশালের আগামাসি লেনের একটি চারতলা ভবনের সিঁড়ি থেকে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় সজিবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সজিব স্থানীয় আহমেদ বাউনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা দিয়েছিলেন। বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মরদেহটি অজ্ঞাত থাকলেও পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
তিনি আরও জানান, চারতলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা মরদেহের গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল। যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে সেখানে একটি পরিবার বসবাস করত, তবে বর্তমানে ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক ধারণা, সজিবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহতের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম জানান, সজিবের বাড়ি বংশালের আগামাসি লেনেই। এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর কিছুদিন আগে সে তাবলিগ জামাতে দোহারে গিয়েছিল এবং গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাসায় ফিরে আসে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এক ফোনকল পেয়ে সে বাসা থেকে বের হয়। পরে বিকেলেই পরিবারের কাছে খবর আসে যে, কাছের একটি বাসার সিঁড়িতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
ইসলাম আরও জানান, যে বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটিই ছিল সজিবের প্রেমিকার পরিবারের বাসা। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের কেউই এলাকায় নেই। প্রায় ছয় বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে সজিবের সম্পর্ক ছিল। মাঝখানে একবার মনোমালিন্য হলেও পরে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। তবে মেয়েটির মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না। নিহতের পরিবারের অভিযোগ— ওই দুই মামা, ইকবাল ও কামাল, পরিকল্পিতভাবে সজিবকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, এর মাত্র ছয় দিন আগে (১৯ অক্টোবর) পুরান ঢাকার আরেকটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পুরান ঢাকায় কলেজ শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা

আপডেট সময় :

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসায় ডেকে নিয়ে সজিব (১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বংশালের আগামাসি লেনের একটি চারতলা ভবনের সিঁড়ি থেকে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় সজিবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সজিব স্থানীয় আহমেদ বাউনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা দিয়েছিলেন। বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মরদেহটি অজ্ঞাত থাকলেও পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
তিনি আরও জানান, চারতলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা মরদেহের গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল। যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে সেখানে একটি পরিবার বসবাস করত, তবে বর্তমানে ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক ধারণা, সজিবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহতের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম জানান, সজিবের বাড়ি বংশালের আগামাসি লেনেই। এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর কিছুদিন আগে সে তাবলিগ জামাতে দোহারে গিয়েছিল এবং গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাসায় ফিরে আসে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এক ফোনকল পেয়ে সে বাসা থেকে বের হয়। পরে বিকেলেই পরিবারের কাছে খবর আসে যে, কাছের একটি বাসার সিঁড়িতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
ইসলাম আরও জানান, যে বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটিই ছিল সজিবের প্রেমিকার পরিবারের বাসা। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের কেউই এলাকায় নেই। প্রায় ছয় বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে সজিবের সম্পর্ক ছিল। মাঝখানে একবার মনোমালিন্য হলেও পরে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। তবে মেয়েটির মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না। নিহতের পরিবারের অভিযোগ— ওই দুই মামা, ইকবাল ও কামাল, পরিকল্পিতভাবে সজিবকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, এর মাত্র ছয় দিন আগে (১৯ অক্টোবর) পুরান ঢাকার আরেকটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।