ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বিএনপির

আবদুল্লাহ ফেরদৌস
  • আপডেট সময় : ৭০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচনের ট্রেনে পুরো দেশ। ভেতরে-বাইরে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এরইমধ্যে আসন চূড়ান্ত করার কাজ প্রায় শেষ করার পথে। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টায় দৌড়ঝাঁপ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম এবার একটি পরিবার থেকে একজনকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন আসনে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসনের কাজটিও দ্রুত শেষ করতে চাচ্ছে দলের শীর্ষ মহল।
গত এক সপ্তাহ ধরে দলের গুলশান অফিসে চলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একটি অংশের সাক্ষাৎকার, তাদের বেশীরভাগই নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় শক্ত অবস্থান নিয়ে আছেন, দীর্ঘদিন ধরেই মাঠে, ফ্যাসিষ্ট সরকারের টানা ১৭ বছর তাঁরা নির্যাতন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েও এলাকা ছেড়ে যাননি। এই ত্যাগী নেতারা এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার অন্যতম দাবীদার হয়ে উঠেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ভাবে এগুচ্ছে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, সে মোতাবেক ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আমরা রমজানের আগে নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। সরকারের এমন সিন্ধান্ত চার মাস আগেই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন নিয়ে কম-বেশী অনিশ্চয়তা থাকলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এক পরিবার থেকে একজনকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়ার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিতে নতুন এক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বিএনপি। বহুদিন ধরেই দেশের রাজনীতিতে পারিবারিক প্রভাব, আত্মীয়তার সূত্রে প্রার্থী মনোনয়ন এবং রাজনৈতিক বংশানুক্রমের মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই ওপেন সিক্রেট। এবার সেই ধারা ভাঙতে যাচ্ছে বিএনপি। অনেকের কাছে এটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষরাও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রভাবশালী মহল ও প্রেসার গ্রুপের কলকাঠির আঘাতে ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হতে পারে এমন আশঙ্কা এখনো কাটেনি।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ভাঙা সহজ নয়। বিএনপির এই নীতি ইতিবাচক হলেও, বাস্তবায়নের সময় দেখা যাবে- কতটা তারা দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারে। এটা শুধু প্রার্থিতা নয়, দলীয় সংস্কৃতির বিষয়ও। যদি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও পরিবারকেন্দ্রিক থাকে, তাহলে এই নীতি বাস্তবে মাঠপর্যায়ে কোনো পরিবর্তন আনবে না। বিএনপিকে দেখাতে হবে যে তারা সত্যিই ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে প্রস্তুত।
বিএনপি এক পরিবার এক প্রার্থী নীতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করলেও, পুরোপুরি পরিবারতন্ত্রের বাইরে যেতে পারেনি। সারাদেশে এমন বহু ত্যাগী ও যোগ্য নেতা আছেন, যারা বিগত দেড় দশক ধরে দলের দুঃসময়ে মাঠে ছিলেন, মামলা-হামলা মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু সেসব এলাকায় অনেক ক্ষেত্রেই দলের শীর্ষ নেতাদের পরিবার থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্ধারণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, দলের প্রতি নিবেদিত, ত্যাগী কর্মীরা কি কেবল নেতৃত্বের পরিবারের কারণেই বঞ্চিত হবেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনটাই বলছেন। তাদের বক্তব্য, দলের নেতৃত্ব যদি পরিবারের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে মাঠের ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতাদের জন্য পথ আরও কঠিন হয়ে পড়বে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি যদি সত্যিই পরিবারতন্ত্র ভাঙতে চায়, তাহলে পরিবার ছাড়াও দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের যোগ্যতা ও অবদানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বিএনপির বেশ কিছু সিনিয়র নেতার পরিবারের সদস্যরাও বিগত ১৫-১৬ বছরে দলীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মামলার চাপ এবং রাজনৈতিক হয়রানিতে এলাকা ছেড়ে দূরে থাকতে হয়েছে অনেক নেতাকে। তাদের স্ত্রী, পুত্র বা কন্যারা নানা উপায়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন বেশ ঝুঁকি নিয়ে। কেউ জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন, কেউ কারাগারে থেকেও দলীয় কর্মীদের মনোবল ধরে রেখেছেন। এই দীর্ঘ সময়ে দলের প্রতি তাদের ত্যাগ ও নিবেদনও উপেক্ষা করা যায় না।
পর্যবেক্ষদের মতে, বিএনপির এই সিদ্ধান্ত পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট বার্তা। একইসঙ্গে এটি দলের অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব বাছাইয়ের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। বিএনপির এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা তৈরি করতে পারে। দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি একটি বড় সমস্যা। যদি বিএনপি সফলভাবে এই নীতি কার্যকর করতে পারে, তবে তা অন্যান্য দলেও প্রভাব ফেলবে এবং একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে, পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথটিও প্রশস্ত হবে- এমনটাই মনে করে পর্যবেক্ষক মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বিএনপির

আপডেট সময় :

নির্বাচনের ট্রেনে পুরো দেশ। ভেতরে-বাইরে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এরইমধ্যে আসন চূড়ান্ত করার কাজ প্রায় শেষ করার পথে। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টায় দৌড়ঝাঁপ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম এবার একটি পরিবার থেকে একজনকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন আসনে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসনের কাজটিও দ্রুত শেষ করতে চাচ্ছে দলের শীর্ষ মহল।
গত এক সপ্তাহ ধরে দলের গুলশান অফিসে চলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একটি অংশের সাক্ষাৎকার, তাদের বেশীরভাগই নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় শক্ত অবস্থান নিয়ে আছেন, দীর্ঘদিন ধরেই মাঠে, ফ্যাসিষ্ট সরকারের টানা ১৭ বছর তাঁরা নির্যাতন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েও এলাকা ছেড়ে যাননি। এই ত্যাগী নেতারা এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার অন্যতম দাবীদার হয়ে উঠেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ভাবে এগুচ্ছে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, সে মোতাবেক ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আমরা রমজানের আগে নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। সরকারের এমন সিন্ধান্ত চার মাস আগেই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন নিয়ে কম-বেশী অনিশ্চয়তা থাকলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এক পরিবার থেকে একজনকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়ার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিতে নতুন এক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বিএনপি। বহুদিন ধরেই দেশের রাজনীতিতে পারিবারিক প্রভাব, আত্মীয়তার সূত্রে প্রার্থী মনোনয়ন এবং রাজনৈতিক বংশানুক্রমের মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই ওপেন সিক্রেট। এবার সেই ধারা ভাঙতে যাচ্ছে বিএনপি। অনেকের কাছে এটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষরাও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রভাবশালী মহল ও প্রেসার গ্রুপের কলকাঠির আঘাতে ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হতে পারে এমন আশঙ্কা এখনো কাটেনি।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ভাঙা সহজ নয়। বিএনপির এই নীতি ইতিবাচক হলেও, বাস্তবায়নের সময় দেখা যাবে- কতটা তারা দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারে। এটা শুধু প্রার্থিতা নয়, দলীয় সংস্কৃতির বিষয়ও। যদি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও পরিবারকেন্দ্রিক থাকে, তাহলে এই নীতি বাস্তবে মাঠপর্যায়ে কোনো পরিবর্তন আনবে না। বিএনপিকে দেখাতে হবে যে তারা সত্যিই ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে প্রস্তুত।
বিএনপি এক পরিবার এক প্রার্থী নীতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করলেও, পুরোপুরি পরিবারতন্ত্রের বাইরে যেতে পারেনি। সারাদেশে এমন বহু ত্যাগী ও যোগ্য নেতা আছেন, যারা বিগত দেড় দশক ধরে দলের দুঃসময়ে মাঠে ছিলেন, মামলা-হামলা মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু সেসব এলাকায় অনেক ক্ষেত্রেই দলের শীর্ষ নেতাদের পরিবার থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্ধারণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, দলের প্রতি নিবেদিত, ত্যাগী কর্মীরা কি কেবল নেতৃত্বের পরিবারের কারণেই বঞ্চিত হবেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনটাই বলছেন। তাদের বক্তব্য, দলের নেতৃত্ব যদি পরিবারের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে মাঠের ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতাদের জন্য পথ আরও কঠিন হয়ে পড়বে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি যদি সত্যিই পরিবারতন্ত্র ভাঙতে চায়, তাহলে পরিবার ছাড়াও দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের যোগ্যতা ও অবদানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বিএনপির বেশ কিছু সিনিয়র নেতার পরিবারের সদস্যরাও বিগত ১৫-১৬ বছরে দলীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মামলার চাপ এবং রাজনৈতিক হয়রানিতে এলাকা ছেড়ে দূরে থাকতে হয়েছে অনেক নেতাকে। তাদের স্ত্রী, পুত্র বা কন্যারা নানা উপায়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন বেশ ঝুঁকি নিয়ে। কেউ জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন, কেউ কারাগারে থেকেও দলীয় কর্মীদের মনোবল ধরে রেখেছেন। এই দীর্ঘ সময়ে দলের প্রতি তাদের ত্যাগ ও নিবেদনও উপেক্ষা করা যায় না।
পর্যবেক্ষদের মতে, বিএনপির এই সিদ্ধান্ত পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট বার্তা। একইসঙ্গে এটি দলের অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব বাছাইয়ের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। বিএনপির এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা তৈরি করতে পারে। দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি একটি বড় সমস্যা। যদি বিএনপি সফলভাবে এই নীতি কার্যকর করতে পারে, তবে তা অন্যান্য দলেও প্রভাব ফেলবে এবং একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে, পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথটিও প্রশস্ত হবে- এমনটাই মনে করে পর্যবেক্ষক মহল।