আত্মগোপনে সামিরা ডন ও রুবি
- আপডেট সময় : ৫৪ বার পড়া হয়েছে
ঢালিউড স্বপ্নের নায়ক খ্যাত সালমান শাহ হত্যার প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হকের হদিস মিলছে না। একই সঙ্গে খোঁজ মিলছে না সালমান শাহ হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি মোহাম্মদ আশরাফুল হক ডন-এর। হত্যা মামলা দায়েরের পর ঘটনার মুল হোতা সংশ্লিষ্ট দুজন আত্মগোপনে চলে গেছে। তাদের গ্রেফতারে একাধিক গোয়েন্দা টীম তাদের ঘনিষ্টজন এবং রাজধানীর সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চলমান রেখেছে। গোয়েন্দাদের ধারনা মামলার আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে।
অপরদিকে গনমাধ্যমতর্মীদের প্রশ্নের জবাবে চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, চিত্র নায়ক সালমান শাহ একজন ভালো ছেলে ছিলেন। তার দৃষ্টিতে খুব কাছ থেকে দেখা, নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। মাত্র ২৫ বছরে মৃত্যু হয় তার। পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, নায়কের ব্যক্তিজীবন নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায় শোবিজ দুনিয়ায়। তিনি বলেন, ব্যক্তিজীবনে সালমান একজন ভালো ছেলে ছিল। শুটিংয়ে সাংঘাতিক মনোযোগী ছিল। কোনোদিন শুটিং নিয়ে ঝামেলা করেনি। অন্তত আমার সিনেমায় আমি তা পাইনি। ঝন্টু আরও বলেন, আমার পরিচালিত ‘কন্যা দান’ সিনেমাতে ও অভিনয় করেছিল। ওই সিনেমায় ভালো অভিনয় করেছে সালমান। দর্শকপ্রিয়তায় সে সিনেমা দারুণ ব্যবসা সফল হয়েছিল।
সালমান শাহর মৃত্যু প্রসঙ্গে এই পরিচালক বলেন,যখন সালমান শাহর মৃত্যুর খবর পাই, তখন আমি কক্সবাজারে শুটিংয়ে ছিলাম। আমি বলতে পারবো না ও আত্মহত্যা করেছে নাকি ওকে কেউ খুন করেছে। কারণ তদন্তেও সেটি জানা যায়নি। তবে শোনা কথা অনেকে বলে, সালমান মানসিক বিষাদে ছিল। কিন্তু আমি ওকে কখনো সেভাবে দেখিনি। মানুষ হিসেবে সব সময়ই ওকে সুস্থ, স্বাভাবিক, হাস্যোজ্বল দেখেছি।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার একটি ফ্ল্যাটে মারা যান ঢালিউডের ‘স্বপ্নের নায়ক’ খ্যাত সালমান শাহ। তার মৃত্যুকে স্ত্রী সামিরা হক আত্মহত্যা দাবি করলেও নায়কের মা, বাবা ও পুরো পরিবারের দাবি এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকা-।
দীর্ঘ ২৯ বছর মামলা চলমান থাকার পর অভিনেতার মৃত্যু রহস্য জানতে সম্প্রতি সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাটি রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়।
এদিকে সালমান শাহ হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যা মামলায় এক নম্বর আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য ১০ আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ।
আদালত সূত্র বলেছে, গত ২০ অক্টোবর সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেয়া নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। তদন্ত শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরও সচল ছিল ডন ও সামিরার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপ, ইমোতেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না ডন, সামিরাসহ অন্যান্য অভিযুক্ত আসামিদের সঙ্গে। দেশজুড়ে যখন সালমান শাহর মৃত্যু ইস্যু আলোচনায়, ঠিক সে সময়েই হদিস মিলছে না অভিযুক্ত আসামিদের।
এদিকে আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে এবং দ্রুত গ্রেফতার করতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক। দেশে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ট্র্যাকিং শুরু করেছে পুলিশ। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে বিমানবন্দর ও সীমান্তে বাড়তি সতর্কতাসহ নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় একাধিক পদক্ষেপ।





















