গোবিন্দগঞ্জে ওয়াকফ এস্টেটের জমি থেকে অবৈধ ভূমিদস্যু অপসারণের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ৪৯ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ইয়াকুব উদ্দিন শাহ ওয়াকফ এস্টেটের জমি থেকে অবৈধভাবে ২৩ জন ভূমিদস্যুকে অপসারণের অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে হাবিবুর রহমান অন্যতম। এ বিষয়ে ইয়াকুব উদ্দিন শাহ ওয়াকফ এস্টেটের মোতওয়াল্লী ২৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারী, ইয়াকুব উদ্দিন শাহ ওয়াকফ এস্টেটের বর্তমান মোতওয়াল্লী শাহ জাকির আলম জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি এস্টেটের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারের চেষ্টা করে আসছেন। এই লক্ষ্যে তিনি গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জজ আদালতে ১৯৭/০৫ এবং ১১৪/১৪ নম্বরের দুটি মামলা দায়ের করেন এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করে। অবৈধ দখলদাররা এই আদেশের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতে আপিল করলে জেলা জজ আদালত গোবিন্দগঞ্জ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন।
এরপরও অবৈধ দখলদাররা জমি ছাড়তে রাজি না হওয়ায়, বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শে ১২/২০১৬ মিস ভাইলেশন মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে অবৈধ দখলদারদের ১৫ দিনের সিভিল জেলের আদেশ হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়ায়, ওয়াকফ অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৬৪(১) ধারা মোতাবেক ওয়াকফ প্রশাসক, ঢাকা বরাবর অবৈধ দখলদারদের অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসক ও সভাপতি, জেলা ওয়াকফ উন্নয়ন কমিটি, গাইবান্ধা বরাবর একটি পত্র প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গোবিন্দগঞ্জ এসিল্যান্ডকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কয়েক দফা তদন্ত শেষে ০৩/২০২৩ উচ্ছেদ কেস দায়ের করা হয় এবং গত ১৮/০৩/২০২৪ইং তারিখে জুয়েল মিয়া (সহকারী কমিশনার) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, একজন পুলিশ অফিসার ও পাঁচজন পুলিশ ফোর্স সহ অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
অবৈধ দখলদাররা গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জজ আদালতে মামলা দায়ের করে বিবাদীর উপর মিথ্যা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ লাভ করে। কিন্তু পূর্বে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ থাকায় গত তারিখের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আবেদনটি নামঞ্জুর হয়। এরপরও অবৈধ দখলদাররা ইয়াকুব শাহ ওয়াকফ এস্টেটের জমি থেকে সরে না যাওয়ায়, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হয়েছেন, মোতওয়াল্লী শাহ মোঃ জাকির আলম।
উল্লেখ্য, মোঃ ইয়াকুব উদ্দিন শাহ গত ১৯১৬ইং সালে ৪৪৫৮ নং দলিল মূলে আল আওলাদ ইন্দানা ওয়াকফ করেন। দলিলে মোতওয়াল্লী নিয়োগের শর্তাবলী এবং ওয়াকফকৃত সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য শাহ মোঃ জাকির আলম কে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।















